বাংলাদেশেপুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত বাকল্যাণ্ড বাঁধ একটি তাৎপর্যপূর্ণ স্থাপত্যকীর্তি। ১৮৬৪ সালে ঢাকার তৎকালীন কমিশনার চার্লস থমাস বাকল্যাণ্ড কর্তৃক বাঁধটি নির্মিত হয়।[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

 
১৮৮০ সালে বাকল্যান্ড বাঁধের একটি দৃশ্য

নদীর দক্ষিণে শহরের কোন সম্প্রসারণ ছিল না, কিন্তু নদীমুখই শহরের প্রধান আনন্দকেন্দ্র ও সবচেয়ে সুন্দর অংশ হিসেবে গড়ে ওঠে। ঢাকায় সবসময়ই নদীর তীরে বসবাস করার প্রবণতা ছিল। যেহেতু এদেশে নদীপথই যোগাযোগের প্রধানতম মাধ্যম ছিল, তাই নদী তীরবর্তী স্থানসমূহ অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত হত এবং নদীগুলো ছিল পানি সরবরাহের প্রধান উৎস। রেলপথ তৈরি হবার পর, পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ এবং বৈদ্যুতিক পাখা ও কুলারের আগমন আবাসিক এলাকা হিসেবে নদীর একেবারে তীরবর্তী জায়গাসমূহের গুরুত্ব কমায়। এসকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের আগপর্যন্ত ঢাকার অভিজাত ও ধনী নাগরিকেরা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বসবাস করতেন এবং তাদের অভিজাত বাড়ি ও ভবনগুলো বুড়িগঙ্গার দিকে মুখ করা ছিল। জমিদার, ব্যবসায়ী, বণিকদের আলিশান বাড়িঘর, ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের বাসস্থান, অতুলনীয় সৌন্দর্যমন্ডিত লালবাগ কেল্লার অংশবিশেষ, বড় কাটরা ও ছোট কাটরার মত ঐতিহাসিক পুরোনো ভবন, নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা মসজিদসমূহের গম্বুজ ও মিনারসমূহ ঢাকাকে এমন একটা চেহারা দিয়েছিল যে, পর্যটকেরা যতই এই শহরের নিকটবর্তী হত, দেখে মনে হত শহরটি যেন সমুদ্রের বুক থেকে জেগে ওঠা কোন জাদুর শহর। যদিও নদীটি শহরের জন্য অনেক সমস্যার কারণও ছিল। নদীতে জোয়ার ভাটার প্রভাব ছিল, সুতরাং ভাটার সময় নদীর পানি বহুদূর নেমে গিয়ে কর্দমাক্ত পলিময় উপকূল উন্মুক্ত হয়ে পড়ত, যার ফলে নদী পারাপার অথবা মালবাহী নৌযানসমূহে মালামাল তোলা বা নামানো কঠিন হয়ে পড়ত। [২][৩]

 
ফরাসগঞ্জ,পুরান ঢাকা

১৮৬৪ সালে ঢাকার কমিশনার হিসেবে চার্লস থমাস বাকল্যাণ্ড ঢাকার কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ৫ বছর ধরে এই পদে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। শাহজাদা আজিমুশশান বুড়িগঙ্গার তীরে, লালবাগ কেল্লা হতে ৪০০ গজ দূরে পোশত নামক স্থানে নিজের জন্য একটি প্রাসাদ গড়েছিলেন। সেই প্রাসাদ আজকের দিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও, এর সীমানা প্রতিরক্ষা বাঁধ বহুদিন পর্যন্ত দৃশ্যমান ছিল। বাঁধটি সোজা ডানদিকে অগ্রসর হয়ে বাবুবাজার খালে গিয়ে শেষ হয়েছে। নদীতে নৌকা নিয়ে যাবার সময় এটা পরিষ্কার দেখা যায়। রেনেলের মতে, ১৭৬৫ সালে বাঁধটি উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে চার মাইল সম্প্রসারিত হয়। যদিও মুঘল আমলেই বুড়িগঙ্গার তীরে বাঁধ নির্মিত ছিল, বাকল্যাণ্ডই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাঁধের উপরে ধাতব রাস্তা নির্মান করেন। এভাবেই নদীর তীরবর্তী বাঁধের এই জায়গাটি বাকল্যাণ্ড বাঁধ হিসেবে পরিচিতি পায়, যা কিনা ফরাশগঞ্জ (ফরাসিদের শহর) থেকে বাবুবাজার পর্যন্ত এক মাইল লম্বা ছিল। [৪][৫]

১৮৬৪ সালে নদীর তীরকে ভাঙন ও ক্ষয় থেকে রক্ষা, ভাটার সময় অধিক পলিবাহিত কর্দমাক্ত উপকূল গঠন প্রতিরোধ এবং নদীঘাটে যাত্রীবাহী ও মালবাহী নৌযানসমূহের চলাচল সহজ করার জন্য বাকল্যাণ্ড শহরের দক্ষিণ প্রান্তে নদীর তীর ধরে বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নেন। এছাড়াও নদীর তীরকে সৌন্দর্যমন্ডিত করা ও আনন্দময় হাঁটাচলার সুবিধার জন্য বাঁধের পিছনে পায়ে চলা রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনাও করেন। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি শহরের প্রভাবশালী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনায় বসেন, তাদেরকে এই বাঁধ নির্মানের কার্যক্রমের সুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বলেন এবং বলেন তিনি এই কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল চান। [৪][৬] প্রাথমিকভাবে বাকল্যাণ্ড এই বাঁধ নির্মাণের তহবিল সংগ্রহ করেন ঢাকার সুপ্রতিষ্ঠিত এবং ধনী শ্রেণীর লোকদের নিকট থেকে, যাদের মাধ্যে খাজা আব্দুল গণি, ভাওয়ালের রাজা কালীনারায়ণ রায়, জগন্নাথ রায়চৌধুরী এবং মোহিনীমোহন দাস উল্ল্যেখযোগ্য। নাজির হোসাইন তার বই "কিংবদন্তির ঢাকা" তে ভুট্টো হাজি কেও অন্যতম দাতা হিসেবে উল্ল্যেখ করেছেন। বাকল্যাণ্ড ৬৫,০০০ টাকা সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেন, যদিও অনেকের মতে, তিনি তার ৫ বছরের মেয়াদে কাজ শেষ করে যেতে পারেননি। খুব সম্ভবত পরবর্তী কমিশনার সিমসন এসে বাকল্যাণ্ড বাঁধের কাজ সমাপ্ত করেন। এটা কথিত আছে, বাকল্যাণ্ড যে তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন যা বাঁধ নির্মাণের জন্য যথেষ্ট ছিল না। সে কারণে তার উত্তরসূরী সিমসন স্থানীয়ভাবে আরো ১০,০০০ টাকা তহবিল সংগ্রহ করেন এবং কাজ চলমান রাখতে খাজা আব্দুল গণি থেকে আরো ৮,০০০ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এরপরেও আর্থিক সংকট রয়ে যায়। এটা দেখে খাজা আব্দুল গণি আরো ২,০০০ টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করেন এবং আরো ২,০০০ টাকা মোহিনীমোহন দাশের নিকট থেকে কর হিসেবে নেয়া হয়।[৪][৭] হৃদয়নাথ মজুমদারের আত্মজীবনী হতে আরো কিছু তথ্য পাওয়া যায়।[৮] তার বর্ণনানুসারে, নির্মাণের প্রথম বছরে রাস্তাটি তৈরি হয় নর্থব্রুক হল থেকে ওয়াইজ ঘাট পর্যন্ত। পরের বছর তা তৈরি হয় রূপলাল হাউজ থেকে বাদামতলী ঘাট পর্যন্ত।[৯] পূর্বাংশের কাজ সম্পন্ন হয় রূপলাল দাশের অনুদানে এবং পশ্চিমাংশের কাজ সম্পন্ন হয় নওয়াব আব্দুল গণির অনুদানে। মাঝের অংশটি সম্পন্ন হয় সরকারি অর্থায়নে।[৮]

 
নর্থব্রুক হল, ঢাকা ০৯

স্থাপত্যশৈলীতে তাৎপর্য সম্পাদনা

শুধুমাত্র উনবিংশ শতকই নয় বরং বিংশ শতকের গোড়ার দিকেও বাকল্যাণ্ড বাঁধ ছিল শহরবাসীদের বিনোদন ও অবসরে আনন্দের জন্য অন্যতম পছন্দের জায়গা। তৎকালীন মধ্যবিত্ত সমাজের ঘোরাঘুরির জন্য জায়গাটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ছিল, সি টি বাকল্যাণ্ডের দায়িত্ব পালনকালে সরকারী উদ্যোগে ঢাকায় বহু ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তৈরি হয়। প্রকৃতপক্ষে তাঁর বিদায়ের সময়, ঢাকার মুসলিম, হিন্দু, আরমেনীয় ও ইংরেজদের নিকট থেকে তাঁকে একটি "স্বীকৃতি সনদপত্র" দেয়ার প্রস্তাব করা হলেও এ ধরনের কাজে সরকারি অনুমতি নেই বলে তিনি তা গ্রহণ করতে পারেন নি। বাকল্যাণ্ড বাঁধ ঢাকাবাসীর জন্য তখনকার দিনে নতুন একটি সম্মিলনী স্থান হয়ে ওঠে, কারণ এখান থেকে নদীর দৃশ্য তাদের জন্য অত্যন্ত উপভোগ্য ছিল। হৃদয়নাথ মজুমদারের আত্মজীবনী থেকে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে বসার জন্য এখানে ১২ টি লোহার বেঞ্চ বসানো হয়েছিল, কিন্তু জনগণের ভীড় বেড়ে যাওয়ায় সেগুলো যথেষ্ট না হওয়াতে আরো ৮ টি বেঞ্চ যুক্ত করা হয়। বাকল্যাণ্ড বাঁধে ভ্রমণের ভীড় এটাই প্রমাণ করে তখনকার দিনে এই জায়গাটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর জায়গা ছিল, এমনকি আজ ৩০০ বছর পরও জায়গাটি স্থানীয় জনগণের মিলনমেলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।[৪][১০] বাঁধ নির্মিত হবার পর বাঁধ সংলগ্ন এলাকাটি একটি অভিজাত এলাকায় পরিণত হয় এবং জমিদার শ্রেণীর লোকেরা এই বাঁধের আশেপাশের এলাকায় তাদের প্রাসাদপোদম বাড়িঘর নির্মাণ শুরু করে। বাঁধটির মূলভিত্তি নির্মিত হয়েছিল পাথর দ্বারা এবং এর উপরিভাগ ছিল ইট দিয়ে নির্মিত। সদরঘাটের নিকটে নদীর তীরবর্তী একটি অংশ সবুজ ঘাসে মোড়ানো হয়েছিল, যেটা পরবর্তীতে একটি ক্ষুদ্র উদ্যানে রূপ নেয়। এখানে সরকারী গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এসে স্টীমার থেকে নামতেন অথবা বিকালের পর স্থানীয় কোন সংগীত দল জনগণের বিনোদনের জন্য গানবাজনা করত। এই উদ্যানের মত জায়গাটি শহরের আরেকটি আকর্ষণ হয়ে ওঠে, যা ছিল খুবই উপকারী এবং জায়গাটি ব্যস্ততম নদীপথের দৃষ্য উপভোগ করতে করতে হাঁটার মত সুন্দর জায়গা হয়ে ওঠে, যেখানে লোকেরা নদীর মিষ্টি বাতাস উপভোগ করতে বিকালে বা সন্ধ্যায় ঘুরতে আসতে পারত।[৩][১১][১২]

বর্তমান অবস্থা সম্পাদনা

১৯০০ সালের প্রথম দিকেও বাকল্যাণ্ড বাঁধ ঢাকার নদী তীরবর্তী একটি অভিজাত এলাকা ছিল[১৩], কিন্তু এটি আজ তার জৌলুশ হারিয়েছে। ভারতের বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী পার্থ চ্যাটার্জি ২০০২ সালে একে ঢাকার অন্যতম সংকীর্ণ রাস্তা হিসেবে বর্ণনা করেন, "পথচারীরা অত্যন্ত ধীরগতিতে আবর্জনার স্তুপের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, সবজি ও ফলওয়ালাদের সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দরদাম করছে, রাস্তার উপরে অস্ংখ্য রিকশার সারি, নদীর এক পাশে কুৎসিত দেয়াল উঠে গিয়ে নদীর দৃশ্য দেখতে বাঁধা দিচ্ছে এবং দৃষ্টিসীমানায় কোন গাছগাছালির দেখা মেলে না। এসব দেখে কল্পনা করাও কষ্ট, একসময় এই রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল শহরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় নদী তীরবর্তী প্রশস্ততম রাস্তা হিসেবে।"[১৪] আইয়ুব খানের শাসনামলে, ১৯৬৩ সালে বাঁধের কর্তৃত্ব স্থানীয় জনগণ থেকে সরকারের হাতে চলে যায়, বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য আরো ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে।[১৫][১৬]

 
সদরঘাট-পুরান ঢাকা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. এস.এম মাহফুজুর রহমান (২০১২)। "বাকল্যান্ড বাঁধ"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  2. Taifoor, Syed Muhammed (১৯৬৫)। Glimpses of Old Dhaka: a short historical narration of East Bengal and Aassam (ইংরেজি ভাষায়)। S. M. Perwez। 
  3. Ahmed, Sharif Uddin (২০০৩)। Dhaka: a study in urban history and development, 1840-1921 (ইংরেজি ভাষায়)। Academic Press and Publishers। পৃষ্ঠা 144। আইএসবিএন 9789843209597 
  4. এস.এম মাহফুজুর রহমান (২০১২)। "বাকল্যান্ড বাঁধ"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  5. "Farashganj, a lost history | Dhaka Tribune"www.dhakatribune.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-১১-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৪ 
  6. 1951-, Māmuna, Munatāsīra (১৯৯৩)। Ḍhākā smr̥ti bismr̥tira nagarī (Prathama Prakāśa সংস্করণ)। Ḍhākā: Ananyā। আইএসবিএন 9844121043ওসিএলসি 45260385 
  7. মোহাম্মদ আলমগীর (২০১২)। "গণি, খাজা আব্দুল"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  8. Majumdar, Hriday Nath (১৯২৬)। The Reminiscences of Dacca (ইংরেজি ভাষায়)। 
  9. "Save Ruplal House (video)"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-১১-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৪ 
  10. "Star Magazine"archive.thedailystar.net। ২০১৮-০১-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৪ 
  11. "Eateries of Dacca"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৮-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৪ 
  12. Jamil, Syed Maqsud (২০১১-০২-০৮)। "And so this is Buriganga"। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৪ 
  13. (India), Bengal (১৯১২)। Bengal district gazetteers (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 174। 
  14. Chatterjee, Partha (২০০২)। A Princely Impostor?: The Strange and Universal History of the Kumar of Bhawal। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 5। আইএসবিএন 978-0-691-09031-3 
  15. "Sights, sounds, a lost era"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-০৯-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-০৪ 
  16. Commissioner, Pakistan Office of the Census (১৯৬১)। Population Census of Pakistan, 1961 (ইংরেজি ভাষায়)। Ministry of Home Affairs। পৃষ্ঠা 44।