বাইজেন্টাইন-উসমানীয় যুদ্ধ
বাইজেন্টাইন-উসমানীয় যুদ্ধগুলি ছিলো উসমানী তুর্কী এবং বাইজেন্টাইনীদের ধারাবাহিক দন্দের স্বরুপ যা পরবর্তীতে বাইজেন্টাইন সম্রাজ্যের চূড়ান্ত পতন এবং উসমানী সম্রাজ্যের উত্থানের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বাইজেন্টাইন–উসমানীয় যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: উসমানীয় সাম্রাজ্যের উত্থান এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতন | |||||||
উপরের-বাম দিক থেকে দক্ষিণাবর্তে: কনস্টান্টিনোপল, উসমানীয় জেনিসারি বাহিনী, বাইজেন্টাইন পতাকা, উসমানীয় তামার কামান | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
![]() |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
১২০৪ সালে চতুর্থ ক্রসেডদের দ্বারা বাইজেন্টাইনের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল দখল হয় যা ছিলো পূর্ব-পশ্চিম খ্রিষ্টীয় বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। দুঃশাসন, পরস্পর বিভক্তি এবং বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে যাওয়া বাইজেন্টাইন সম্রাজ্য ঐ সময়ই দুর্বল হয়ে পরেছিলো। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রুমের সেলজুক সুলতান পশিম এশিয়ার মাইনর অঞ্চলে অরাজকতা শুরু করে পরে নিকীয় সম্রাজ্য রোমান শাসনের অধিনে থাকে সেলজুক তুরকীদের তাড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে । অবশেষে ১২৬১ সালে ল্যাটিন সম্রাজ্যের কাছ থেকে কন্সটান্টিপোল নিকীয় সম্রাজ্য পুনরায় উদ্ধার করে। তবে ইউরোপে বাইজেন্টাইন সম্রাজ্যের অবস্থা ছিলো অনিশ্চিত কেননা সেখানে প্রতিযোগী হিসেবে আরো ছিলো ইপিরাস, সাইবেরিয়া এবং দ্বিতীয় বুলগেরিয়ান সম্রাজ্য। সমন্বিত কারণে সুলতানের(এশিয়ায় বাইজেন্টাইনদের প্রধান শত্রু) শক্তি হ্রাস পাওয়ায় বাইজেন্টাইনরা এশিয়ার মাইনর অঞ্চল থেকে সৈন্য সরিয়ে নিজেদের কাছে নিয়ে আসতে থেকে। তবে রুম সুলতানের দুর্বলতা কোনো আশীর্বাদ নিয়ে আসে নি , কেননা গাজী নামক উচ্চ শ্রেনীর কর্মকর্তারা বাইজেন্টাইন্দের অর্থায়নে তাদের আশ্রয় দান করে। তবে বাইজেন্টাইন ও সেলজুকদের সাথে কিছু তুরকীদের আংশ গ্রহণে প্রথম উসমানের নেতৃত্বে নিকীয় এবং কন্সটেন্টিপোলেরা বড় রকম বিপদে পরে যায়। প্রথম ৯০ বছরে উসমানীদের বাইজেন্টাইন সম্রাজ্য তেমন কিছুই করতে পারে নি এবং ১৩৮০ সাল থেকে ১৪৫৩ সালের মধ্যে ধীরে ধীরে উসমানী সম্রাজ্যের উদ্ভব হতে থাকে এবং বাইজেন্টাইন সম্রাজ্য অস্তমিত হতে থাকে ।