বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন
জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বাংলাদেশের আলিয়া মাদরাসাসমূহের শিক্ষকগণের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।[১][২] ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি তৎকালীন ভারত ও বাংলাদেশে ইসলাম ও মাদরাসা শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।[৩][৪]
জমিয়াতুল মোদার্রেছীন | |
সংক্ষেপে | BJM (বি জে এম) |
---|---|
নীতিবাক্য | মাদরাসা রক্ষা |
গঠিত | ১৯৩৭ |
প্রতিষ্ঠাতা | ফুরফুরার পীর মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকি |
প্রতিষ্ঠাস্থান | কলকাতা |
ধরন | শিক্ষক সংগঠন |
উদ্দেশ্য | মাদরাসার শিক্ষক কল্যান |
সদরদপ্তর | ৫৪, এ-বি, গাউসুল আজম মসজিদ, মহাখালী, গুলশান, ঢাকা -১২১২ |
যে অঞ্চলে | বাংলাদেশ |
ক্ষেত্রসমূহ | শিক্ষা, ভাতা, সহযোগিতা |
সদস্যপদ | বাংলাদেশের সমস্ত মাদরাসার শিক্ষক প্রায় ২৫ হাজার মাদরাসার শিক্ষক |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা ও ইংরেজি |
মহাসচিব | শাব্বীর আহমদ মোমতাজী |
প্রথম সভাপতি | মাওলানা এম এ মান্নান |
বর্তমান সভাপতি | এ এম এম বাহাউদ্দিন |
আছে | |
ওয়েবসাইট | https://www.bjm.org.bd/ |
প্রাক্তন নাম | বাংলা-আসাম জমিয়াতুল মোদার্রেছীন |
নামকরণ
সম্পাদনাজমিয়াতুল মোদার্রেছীন আরবি দুটি শব্দ, অর্থ- মাদরাসার শিক্ষকগণ। যেহেতু মাদরাসার শিক্ষকগণ এ সংগঠনটির সদস্য তাই এ নাম।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৭৮০ সালে কলকাতা আলিয়া মাদরাসা স্থাপন হলে এ বাংলা ও আসামে অসংখ্য আলিয়া মাদরাসার কারিকুলামে মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সবমাদরাসা প্রতিষ্ঠার পিছনে ভারতের পীর-মাশায়েখগণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৩৭ সালে ফুরফুরার পীর আবু বকর সিদ্দিকী ও ছারছীনার পীর নেছারউদ্দীন আহমদের চেষ্টায় বাংলা-আসাম জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নামে প্রথম সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে জৌনপুরীর পীর, ফুলতলির পীর, ফেনীর মাওলানা ওবায়দুল হক প্রমুখ এ সংগঠনের উন্নয়নে জড়িত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে মাওলানা এম এ মান্নান এর হাল ধরেন এবং সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে সংগঠনটির কার্যক্রম চলমান আছে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সম্পাদনা- শিক্ষক, ছাত্রদের সমস্যার সমাধান।
- মাদরাসার সার্থ রক্ষা
- আরবি শিক্ষার প্রসার
- ইসলামী সমাজ কায়েমে যোগ্য নাগরিক তৈরী করা। ইত্যাদি।[৫]
কার্যক্রম
সম্পাদনাসংগঠনটির আছে-
- জাতীয় নির্বাহী পরিষদ
- জেলা কমিটি
- উপজেলা কমিটি
- মহানগর কমিটিি।[৬]
এসব কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক, মাদরাসা ও ছাত্রদের সমস্যার সমাধান এবং সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করে।[৭]
সমালোচনা
সম্পাদনাজমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও সাধারণ শিক্ষক সংগঠনদের সাথে এ সংগঠনের মাঝে মাঝে বিরোধ দেখা দেয়। বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশন কর্তৃক সাধারণ শিক্ষিতদের মাদরাসার দায়িত্বে নিয়োগের দাবির ক্ষেত্রে মতবিরোধ দেখা দেয়।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Dainikshiksha। "মাদরাসা শিক্ষা: মুখোমুখি জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও জেনারেল টিচার্স - দৈনিকশিক্ষা"। Dainik shiksha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৪।
- ↑ "'মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন-আধুনিকায়নে সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য' | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। ২০২১-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের শত বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে-মহাসচিব, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫।
- ↑ "শিক্ষামন্ত্রীকে মাদ্রাসা শিক্ষকদের অভিনন্দন"। jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫।
- ↑ Rangamati, আলোকিত রাঙামাটি :: Alokito। "মাদরাসা শিক্ষকদের সরকারি বেতন চালু করেন বঙ্গবন্ধু"। Alokito Rangamati (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৪।
- ↑ রিপোর্টার, স্টাফ। "জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের অভিনন্দন"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "জমিয়তুল মোদার্রেছীনের মানববন্ধন"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Dainikshiksha। "মাদরাসা শিক্ষা: মুখোমুখি জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও জেনারেল টিচার্স - দৈনিকশিক্ষা"। Dainik shiksha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৪।