বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (সংক্ষেপে বিএবি) (ইংরেজি: Bangladesh Association of Banks) হচ্ছে বাংলাদেশের বেসরকারী ব্যাংকসমুহের চেয়ারম্যানদের সংগঠন যেটি মুলত সদস্য ব্যাংকগুলির উপদেষ্টা হিসাবে এবং ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধানে কাজ করে।[১] সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় জব্বার টাওয়ার (১৬ তলা), ৪২ গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকায় অবস্থিত।[২]
সংক্ষেপে | বিএবি |
---|---|
গঠিত | ১৯৯৩ |
উদ্দেশ্য | সদস্য ব্যাংকসমূহের উপদেষ্টা হিসাবে হিসেবে কাজ করা। |
সদরদপ্তর | জব্বার টাওয়ার (১৬ তলা), ৪২ গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
সদস্য | ৩৮ |
চেয়ারম্যান | আব্দুল হাই সরকার |
ওয়েবসাইট | বিএবি |
ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিল ৯টি বেসরকারী ব্যাংক। বিএবি-এর প্রথম সভা ১৯৯৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ঢাকার হোটেল শেরাটনে (বর্তমানে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা) অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
পরিচালনা
সম্পাদনাবিএবি'র পরিচালনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধান একটি কার্যনির্বাহী কমিটির উপর ন্যস্ত থাকে। এটির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ দ্বারা নির্বাচিত হন। এই কমিটির মেয়াদ ২ বছর। কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য ব্যাংকের মনোনীতদের ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হয়। প্রতিটি সদস্য ব্যাংক একজনকে মনোনীত করে। বিএবি'র বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নজরুল ইসলাম মজুমদার (চেয়ারম্যান, এক্সিম ব্যাংক) এবং ২জন ভাইস চেয়ারম্যান যথাক্রমে আবদুস সামাদ লাবু (চেয়ারম্যান, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড) ও আনিসুজ্জামান চৌধুরী (চেয়ারম্যান, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড)।[৩]
চেয়ারম্যান
সম্পাদনা০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সকাল ১১:৩০ টায় অনুষ্ঠিত অ্যাসোসিয়েশনের সভায়, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান জনাব আবদুল হাই সরকার সর্বসম্মতিক্রমে বিএবি'র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।[৪]
কার্যক্রম
সম্পাদনাবিএবি'র মূল কাজ হচ্ছে এর সদস্য ব্যাংকসমূহের উপদেষ্টা হিসাবে হিসেবে কাজ করা। বিএবি'র অন্যান্য কার্যাবলী মধ্যে রয়েছে[৫][৬][৭]-
- ব্যাংকিং খাত যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তার সমাধানের জন্য সদস্যদের মধ্যে মতবিনিময়য়ের মাধ্যমে একটি সর্বজনীন মাপকাঠির বিকাশ ঘটানো[৮];
- ব্যাংকিং খাতের সমস্যা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক, মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করা[৯];
- ব্যাংকিং খাত সম্পর্কিত পরিসংখ্যান এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং প্রচার করা;
- সদস্য ব্যাংকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে জ্ঞানের ব্যবধান দূর করার জন্য সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা;
- ব্যাংক সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সাময়িকী, নিউজলেটার এবং নিয়মিত বুলেটিন প্রকাশ করা;
- ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনার জন্য সময়ে সময়ে নির্দেশনা প্রদান করা;
- ব্যাংকিং-এর সকল ক্ষেত্রে সর্বোত্তম নীতি এবং অনুশীলন প্রতিষ্ঠা করা;
- আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাত ও আলোচনা করা এবং প্রাপ্ত জ্ঞান দেশের ব্যাংকিং খাতে কাজে লাগানো।
সদস্য
সম্পাদনাবিএবি'র বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৩৮টি। বাংলাদেশে পরিচালিত বেসরকারী ব্যাংকসমূহ এ সংস্তার সদস্য হতে পারে। বর্তমান সদস্য ব্যাংকের মধ্যে রয়েছেঃ[১০]
বিএবি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
সম্পাদনাসদস্য ব্যাংকসমূহের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও ব্যাংকিং ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব বিকাশের মাধ্যমে নেতৃত্বের গুণগত মান বৃদ্ধি লক্ষ্যে বিএবি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাজ করে। এজন্য সময়ে সময়ে এটি বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা থাকে যেখানে এর সদস্য ব্যাংকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করে।[১১]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "প্রতিষ্ঠা"। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস। ২০২০-০৫-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১১।
- ↑ "ফের বিএবি'র চেয়ারম্যান হলেন নজরুল ইসলাম মজুমদার"। বাংলা ট্রিবিউন। ২০২০-০৬-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১১।
- ↑ "কার্যনির্বাহী কমিটি"। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস। ২০২০-০৬-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১১।
- ↑ ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবি’র নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন তারিখ ২০২৪-০৯-০৯।
- ↑ "লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য"। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস। ২০২০-০৫-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১১।
- ↑ "করোনভাইরাস পরবর্তী অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ব্যাংকিং খাতের উপর নির্ভর করে"। ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১২।
- ↑ "বেসরকারী ব্যাংকগুলি মুহিতকে 'নেতিবাচক' মিডিয়া প্রচার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২০১৮-০৪-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১২।
- ↑ "খেলাপি ঋণ কীভাবে কমিয়ে আনা যায়?"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১১।
- ↑ "প্রণোদনার আওতায় ঋণ ফেরতের নিশ্চয়তা চান ব্যাংকাররা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১১।
- ↑ "সদস্য ব্যাংকসমূহ"। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস। ২০২০-০৬-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১২।
- ↑ "বিএবি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র"। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস। ২০২০-০৫-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১২।