বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ
বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ হচ্ছে বাংলাদেশের একটি কমিউনিস্ট পার্টি। দলটি বাংলাদেশে বামপন্থীদের জোটবদ্ধ সংগঠন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাথে একত্রে কাজ করে থাকে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ (সিএলবি) এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (পুনর্গঠিত) র মধ্যে ঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ (ইউসিএলবি) নামে আত্মপ্রকাশ করে। ২০২২ সালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) ইউসিএলবি র সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়। দুই পার্টির ঐক্য কংগ্রেসের মাধ্যমে পার্টি "বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ" নামে আত্মপ্রকাশ করে।
বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ | |
---|---|
সংক্ষেপে | আরসিএলবি |
নেতা | ইকবাল কবীর জাহিদ |
বিভক্তি | বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (পুনর্গঠন) |
ছাত্র শাখা | বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী |
মতাদর্শ | সাম্যবাদ মার্কসবাদ–লেনিনবাদ |
বাংলাদেশের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
মস্কোপন্থী সিপিবি ধারার বাইরে পিকিংপন্থী ধারার বৃহত্তম কমিউনিস্ট পার্টি।
গঠনের ইতিহাসসম্পাদনা
বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ ২০১৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (পুনর্গঠন)-এর সমন্বয়ে ঢাকায় গঠিত হয়। মোশাররফ হোসেন নাননু হচ্ছেন দলের সাধারণ সম্পাদক; এছাড়াও আব্দুস সাত্তার, আজিজুর রহমান, রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও আফসার আলী দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। উদ্বোধনী সম্মেলনে ১৯ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করা হয়।[১] ২০২২ সালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) র সাথে ইউসিএলবির ঐক্য হয়। ঐক্য কংগ্রেসের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়। ঐক্য কংগ্রেসে ইকবাল কবীর জাহিদ পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
জোটগত কার্যক্রমসম্পাদনা
এই দলটি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছে। ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই বাম গণতান্ত্রিক জোট গঠিত হলে এটি বর্তমানে এই জোটের সাথে কাজ করে থাকে।
গণসংগঠনসম্পাদনা
বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের একটি গণসংগঠন হলো বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ New Age. 2 left parties merged আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ২০১৩-০৭-১৩ তারিখে