বাংলাদেশী ৫ টাকার কয়েন
পাঁচ টাকা হল বাংলাদেশী টাকার একটি ধাতব মুদ্রা। পাঁচ টাকার মূদ্রা সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচ টাকার মুদ্রার ব্যবহার চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ | |
মূল্য | ৫ ৳ |
---|---|
আকৃতি | গোলাকার |
গাঠনিক উপাদান | ইস্পাত |
অভিমুখ | |
নকশা | শেখ মুজিবুর রহমান |
নকশা | বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক |
বিপরীতদিক | |
নকশা | বাংলাদেশ ব্যাংক |
নকশা | যমুনা সেতু |
ইতিহাস সম্পাদনা
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত পাকিস্তানি রুপি ছিল দেশটির প্রচলিত মুদ্রা। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ সর্বপ্রথম বাংলাদেশী মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়।[১] সরকারি মুদ্রার নাম রাখা হয় টাকা, পরবর্তীতে টাকাকে প্রকাশের চিহ্ন বা সংকেত হিসাবে "৳" কে নির্ধারণ করা হয়। টাকার সর্বনিম্ন একক নির্ধারণ করা হয় এক টাকা। আর এক টাকার শতাংশকে পয়সা নামে অভিহিত করা হয়। অর্থাৎ ৳১ সমান ১০০ পয়সা। ১৯৭৩ সালে ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা ও ৫০ পয়সার প্রচলন শুরু হয়।[১][২]
নকশা সম্পাদনা
১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ প্রথম ৫ টাকার নোট ইস্যু হয়।
১৯৯৩ সালের ১লা অক্টোবর ৫ টাকার কয়েন ইস্যু হয়। এই মুদ্রার নকশার অভিমুখদিকে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক। জাতীয় প্রতীকের কেন্দ্রে রয়েছে পানিতে ভাসমান একটি শাপলা ফুল, শাপলা ফুলটিকে বেষ্টন করে আছে ধানের দুটি শীষ। চূড়ায় পাটগাছের পরস্পরযুক্ত তিনটি পাতা এবং পাতার উভয় পার্শ্বে দুটি করে মোট চারটি তারকা, এবং "বাংলাদেশ ব্যাংক" লেখা ছিল। এই মুদ্রার বিপরীতভাগে ছিল যমুনা বহুমুখী সেতু। এছাড়াও বিপরীতভাগে মুদ্রাটি প্রকাশের বছর, মুদ্রাটির মান অঙ্কে ও ভাষায় লেখা ছিল।
আরো পড়ুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ "বাংলাদেশের মুদ্রার ইতিহাস"। prezi.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০৮।
- ↑ "BDT | Bangladeshi Taka | OANDA" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-২১।
- ↑ "পাঁচ টাকা এখন সরকারি মুদ্রা"। দৈনিক প্রথম আলো। মে ২৮, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১।
- ↑ "সচল মুদ্রা, অচল মুদ্রা"। দৈনিক প্রথম আলো। জানুয়ারি ১৩, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১।