বাঁশতলা শহীদ মিনার

বাঁশতলা শহীদ মিনার ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত একটি স্থান। যেটি দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে অবস্থিত। বাশতলা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ০৫নং সেক্টরের সাব সেক্টর ছিল। স্থানটি ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত রেখা বরাবর অবস্থিত, যার তিন দিকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শাহাদাৎ বরনকারী অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে এখানে সমাহিত করা হয়েছে। এখানে শহীদদের স্মৃতিয় সম্মানে নির্মান করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ। এখানে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ রয়েছে, যেখানে মহান স্বাধীনতা দিবস ও মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। দেশ বিদেশের অনেক পর্যটক শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে এখানে ভীড় করে।[১]

বাঁশতলা শহীদ মিনার
বাঁশতলা শহীদ মিনার
মানচিত্র
সাধারণ তথ্য
অবস্থাসম্পূর্ণ
স্থাপত্য রীতিআধুনিক
অবস্থানসুনামগঞ্জ, বাংলাদেশ
ঠিকানাবাঁশতলা-হকনগর, বাংলাবাজার ইউনিয়ন, দোয়ারাবাজার উপজেলার
স্থানাঙ্ক২৫°০৮′১৫″ উত্তর ৯১°৩৪′৩৫″ পূর্ব / ২৫.১৩৭৪৩° উত্তর ৯১.৫৭৬৩৫° পূর্ব / 25.13743; 91.57635

ইতিহাস

সম্পাদনা

বাঁশতলা-হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের এক উপত্যকা। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৫ নং সেক্টরের চেলা (বাঁশতলা) সাব-সেক্টর সদর দফতর ছিল এটি। এ সাব-সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন এ এস হেলাল উদ্দিন। পরবর্তী সময়ে ছিলেন লে. আব্দুর রউফ ও লে. মাহবুব। এ সেক্টরে যুদ্ধ পরিচালনায় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করেন এম এন আব্দুল হক, শহিদ চৌধুরীসহ আরো অনেকে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ডাকে দেশব্যাপী অভূতপূর্ব অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে এম এন এ হক ডা: হারিছ আলী, হেমেন্দ্র দাস পুরকায়স্থ, ডা: আব্দুল মছব্বির (বাঁশতলা) হাজী মফিজ আলী (বড়খাল), সামছুল হক চেয়ারম্যান (বাংলাবাজার), আব্দুল কাদির ও নয়ন ডাক্তার (নরসিংপুর), ডা: আহসান উল্লাহ (ভাঙ্গাপাড়া), ডা: আব্দুল হামিদ (টেংরাটিলা) মদন মোহন নন্দী (হাসাউড়া), আব্দুল কাদের মেম্বার (কান্দাগাঁও), আলী আহম্মদ (বাংলাবাজার), আব্দুর রইছ চৌধুরী (লক্ষ্মীপুর) প্রমুখ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বাঁশতলায় সমবেত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাঁশতলাসহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের এখানেই দাফন করা হয়।[২]

পাহাড় ঘেরা বাঁশতলা এলাকায় এবং তার আশপাশে মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হন তাদের সমাহিত করা হয় বাঁশতলার এই নির্জনে। সেই স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য নির্মাণ হয় বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ। প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয় করে বাঁশতলায় এই স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন ক্যাপ্টেন হেলাল উদ্দিন।[৩]

স্থাপত্য নকশা

সম্পাদনা

চিত্রশালা

সম্পাদনা


আরও দেখুন

সম্পাদনা


তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বাঁশতলা সংক্ষিপ্ত পরিচিতি" (পিডিএফ) 
  2. "মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা" 
  3. "বাঁশতলার স্মৃতিসৌধ দেখতে"। ২৮ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।