বয়নাড়ের গন্ধকসালা চাল

ওয়ানাড গন্ধকসালা চাল হলো ভারতের কেরালা রাজ্যের ওয়ানাড জেলার কৃষকদের দ্বারা উৎপন্ন এক ধরনের সুগন্ধী চাল। এই সুগন্ধী চাল উৎপাদনের জন্য ওয়ানাডের পানামারাম, সুলতান বাথেরি এবং মান্থভাদি অঞ্চলে উপজাতি সম্প্রদায়ের কৃষকেরা এই প্রজাতির ধানের চাষ করে।[১] ২০১০ সালে ৩২৭ হেক্টর জমিতে গন্ধকসালা এবং ২২ হেক্টর জমিতে জিরকসালা সুগন্ধী চালের চাষ হয়।[২] ওয়ানাড জেলার কৃষকেরা গন্ধকসালা এবং জিরাকশাল এই দুটি সুগন্ধি চালের ধানের চাষ করে থকেন। গন্ধকসালা এবং জিরাকশাল এই দুটি সুগন্ধি চাল বাসমতি চাল এবং জুঁই চালের মতো সুগন্ধযুক্ত সুপরিচিত জাতগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।[৩][৪] গন্ধকসালা চালের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা এবং উচ্চমানের পুষ্টিগুণ রয়েছে। স্বাদে অতুলনীয় এবং রান্নার বৈশিষ্ট্যগত কারণে গন্ধকসালা চাল ঐতিহ্যবাহী হিসাবে বিবাহ ও বিশেষ অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়।

বয়নাড়ের গন্ধকসালা চাল

বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা

জাতীয় উদ্ভিদ জেনেটিক রিসোর্সেস (এনবিপিজিআর) এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যান্ট জেনেটিক রিসোর্স ইনস্টিটিউট (আইপিজিআরআই) দ্বারা নির্দেশিত হিসাবে এমএস স্বামীনাথন রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এমএসএসআরএফ) এই জাতের ধানের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেছে। এই বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করতে ৪০ টিরও বেশি বর্ণনার সাহায্য নেওয়া হয়েছে।[৫]এমএস স্বামীনাথন রিসার্চ ফাউন্ডেশন দ্বারা ওয়ানাডের কালপেট্টায় কমিউনিটি এগ্রোবায়োডাইভারসিটি কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৭ সালে থেকে এই কেন্দ্রটি এই বিশেষ জাতের ধান সংরক্ষণের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে।[৬]

কৃষকের ফসল হিসাবে শংসাপত্র সম্পাদনা

গন্ধকসালা ,জিরাকশালা এবং আরও চারটি জাতের ধানের বীজ কৃষিজাত উদ্ভিদ হিসাবে বিশেষ মান্যতা পেয়েছে। এই জাতীয় ধানের বীজগুলিকে উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও কৃষকদের অধিকার আইনের বিধান অনুসারে ভারত সরকারর কৃষিমন্ত্রক দ্বারা শংসাপত্র দেওয়া হয়। ,

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. T. Nandakumar (১৩ আগস্ট ২০১৪)। "GI-tagged rice varieties to get a boost"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  2. "Morphological and biochemical characterization of aromatic rice(Oryza Sativa L.) cultivars of Wayanad district of Kerala"। Kerala Agricultaral university। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  3. Amritha K. R. (৯ অক্টোবর ২০১৩)। "Wayanad rice set to boil in Germany"The New Indian Express। ৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  4. "Marketing Gandhakasal" (পিডিএফ)। University of Passau, jointly with Bio Viva and MSSRF। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  5. Thirteenth annual Report 2002 - 2003 (পিডিএফ)। Chennai: M. S. swaminathan research Foundation, Centre for Research on Sustainable Agricultural and Rural Development। পৃষ্ঠা 74। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  6. "Wayanad: : A hotspot of wildlifeI and agrobiodiversity in Western Ghats" (পিডিএফ)। MSSRF, Community Agrobiodiversity Center, Kalpetta। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬