বন্দিতা ফুকন একজন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্প লেখক, অনুবাদক, শিশু লেখক এবং প্রধানত আসামের বিজ্ঞান ও কল্পকাহিনী লেখক। তিনি আসাম এবং পুরো উত্তর পূর্বের প্রথম মহিলা প্রকৌশলী যিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হয়েছেন। তিনি একজন অনুবাদক হিসেবে তার সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন এবং শিশু সাহিত্যের জন্য সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১২৬টি বই প্রকাশ করেছেন। তার একটি বই “The Childhood of the Great Scientist”, বোরো ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। বন্দিতা ফুকান হলেন উত্তর প্রাচ্যের প্রথম মহিলা বিজ্ঞান কথাসাহিত্যিক। [১] তিনি জনপ্রিয় অসমীয়া মাসিক ম্যাগাজিন বিসমায় কল্পবিজ্ঞানের গল্প "প্রিয়তমা" দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।[২]

বন্দিতা ফুকন
জন্ম১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮
ঢেকীয়াজুলি, শোণিতপুর জেলা
পেশালেখিকা
ভাষাঅসমীয়া ভাষা
নাগরিকত্বভারতীয়
ওয়েবসাইট
http://banditaphukan.com/

জন্ম ও শিক্ষা সম্পাদনা

১৯৪৮ সালের ১৬শ ফেব্রুয়ারি সোনিতপুর জেলার ঢেকিয়াজুলি শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার শৈশব কেটেছে NEFA (North East Frontier Agency; এখন অরুণাচল প্রদেশ ) তে। তিনি তার মায়ের সাথে আসামে আসেন যখন NEFA-তে স্কুলগুলির মাধ্যম অসমিয়া থেকে হিন্দিতে পরিবর্তিত হয়। এরপর তিনি নগাঁও নগাঁও গার্লস হাই স্কুলে ভর্তি হন। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত নগাঁওয়ে বসবাস ও অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি আসাম কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন। তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আসাম কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, জালুকবাড়িতে পড়তে যান। তিনি একই কলেজ থেকে ১৯৭১ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। আসাম এবং উত্তর পূর্বের প্রথম মহিলা যিনি স্নাতক হয়েছেন হছেন উনি। [৩]

কর্ম জীবন সম্পাদনা

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জনের পর, তিনি আসাম গ্যাস কোম্পানি, অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড, আসাম কন্ডাক্টরস অ্যান্ড টিউবস লিমিটেড এবং আসাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনে বিভিন্ন সম্মানসূচক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এরপর তিনি ২০০১ সালে স্বেচ্ছায় অবসর নেন আসাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন থেকে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি শিল্প কোম্পানিতে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। প্রায় দুই বছর পর তিনি আবার আসামে ফিরে আসেন ও বেশ কয়েকটি বেসরকারি খাতের কোম্পানিতে কাজ নেন। [১] কয়েক বছর পর তিনি সাহিত্যে আত্মনিয়োগ করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা