বনগাঁ জংশন রেলওয়ে স্টেশন
বনগাঁ জংশন রেলওয়ে স্টেশন বনগাঁ শহরের একমাত্র রেলওয়ে স্টেশন। এটি একটি জংশন স্টেশন। স্টেশনটি বনগাঁ-রানাঘাট ও শিয়ালদাহ-বনগাঁ লাইনের প্রান্তিক স্টেশন। এই স্টেশন থেকে এটি লাইন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশ-এ প্রবেশ করেছে। এই স্টেশন থেকে প্রতিদিন ৪০ জোড়ার বেশি ট্রেন চলাচল করে। শিয়ালদাহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে স্টেশনটি ৭৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং রানাঘাট স্টেশন থেকে বনগাঁ স্টেশনের দূরত্ব ৩৪ কিলোমিটার। এছাড়া স্টেশনটি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ সীমান্ত। এই পথে বহু পণ্যবাহী রেল চলাচল করে বাংলাদেশে। এই স্টেশনের সঙ্গে এক সময় খুলনা ও যশোর শহরের সরাসরি রেল যোগাযোগ ছিল। বর্তমানে স্টেশনটি বনগাঁ শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার রেল পরিসেবা প্রদান করে থাকে। স্টেশনটি যশোর রোড থেকে ১.৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।[১]
বনগাঁ জংশন | ||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
কলকাতা শহরতলি রেলওয়ে জংশন স্টেশন | ||||||||||||||||
![]() বনগাঁ রেলওয়ে স্টেশন | ||||||||||||||||
অবস্থান | বনগাঁ, পশ্চিমবঙ্গ![]() | |||||||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৬′ উত্তর ৮৯°০১′ পূর্ব / ২২.৬০° উত্তর ৮৯.০১° পূর্ব | |||||||||||||||
মালিকানাধীন | ভারতীয় রেল | |||||||||||||||
পরিচালিত | পূর্ব রেল | |||||||||||||||
লাইন |
| |||||||||||||||
প্ল্যাটফর্ম | ৩ | |||||||||||||||
রেলপথ | ৬ | |||||||||||||||
নির্মাণ | ||||||||||||||||
গঠনের ধরন | আদর্শ | |||||||||||||||
পার্কিং | না | |||||||||||||||
সাইকেলের সুবিধা | হ্যাঁ | |||||||||||||||
অন্য তথ্য | ||||||||||||||||
অবস্থা | সক্রিয় | |||||||||||||||
স্টেশন কোড | বিএনজি | |||||||||||||||
ভাড়ার স্থান | পূর্ব রেল | |||||||||||||||
ইতিহাস | ||||||||||||||||
চালু | ১৮৮২-১৮৮৪ | |||||||||||||||
বৈদ্যুতীকরণ | ১৯৬৩-১৯৬৪ (২৫ কেভি ভোল্ট) | |||||||||||||||
পরিষেবা | ||||||||||||||||
| ||||||||||||||||
অবস্থান | ||||||||||||||||
ইতিহাসসম্পাদনা
এই স্টেশনটি প্রথম ১৮৮২-১৮৮৪ থেকে চালু হয়। প্রথমে এখানে কয়লা চালিত ট্রেন চলাচল করত। ১৮৮১ সালে সেন্টাল বেঙ্গল রেলওয়ে নামে এক রেল কম্পানি দমদম-খুলনা ও খুলনা-রানাঘাট রেলপথ তৈরি শুরু করে। ১৯০৩ সালে এই রেলপথ এর দায়িত্ব পায় ইস্টর্নার বেঙ্গল রেল।
বিদ্যুতায়নসম্পাদনা
এরপর ১৯৬৩-১৯৬৪ শিয়ালদাহ-বারাসাত-অশকনগর-বনগাঁ বিভাগে বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন চালিত হয়।
পরিকাঠামসম্পাদনা
এই স্টেশনটি রানাঘাট-বনগাঁ ও শিয়ালদাহ-বনগাঁ লাইনের শেষ স্টেশন। স্টেশনটিতে ৩ টি রেল ট্রাক ও ৩ টি প্লাটফর্ম রয়েছে। এখানে সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত দুই প্রকার রেল টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে। এই স্টেশনটি যাত্রী পরিসেবার পাশাপাশি পণ্য-দ্রব্য বহনকরী রেল গুলির পণ্য-দ্রব্য পরিবহনের পরিসেবা দিয়ে থাকে। এই স্টেশন থেকে বনগাঁ-শিয়ালদাহ, বনগাঁ-রানাঘাট, বনগাঁ-বারাসাত, বনগাঁ-ক্যানিং, বনগাঁ-মাঝেরহাট প্রভৃতি লোকাল ট্রেন চলাচল করে।[২]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "স্টেশনের দাবিতে ১৮ ই থেকে লাগাতার রেল অবরদের ডাক বিভূতিভূষণ হল্টে"। গনশক্তি। সংগ্রহের তারিখ ২২-০৮-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ "Train Service in Barasat-Bongaon section Hit After Protest"। এনডিটিভি। ২২ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২-০৮-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)