বজলুল হক হারুন
বজলুল হক হারুন (জন্ম: ১লা মার্চ ১৯৫৪, বিএইচ হারুন নামে সমধিক পরিচিত) হলেন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। তিনি ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[১]
বজলুল হক হারুন | |
---|---|
ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ – ৭ জানুয়ারি ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | শাহজাহান ওমর |
উত্তরসূরী | শাহজাহান ওমর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কানুদাসকাঠী, রাজাপুর, ঝালকাঠি | ১ মার্চ ১৯৫৪
রাজনৈতিক দল |
|
দাম্পত্য সঙ্গী | মনিরা হারুন |
সন্তান | ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে |
বাসস্থান | বাসা: ৪৭/এফ, রোড: ০৮, বনানী, ঢাকা-১২১৩ |
ডাকনাম | বি এইচ হারুন |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাবজলুল হক হারুন মার্চ ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের ঝালকাঠির রাজাপুরের কানুদাসকাঠীতে জন্মগ্রহণ করেন।
তার স্ত্রী মনিরা হারুন, তিন ছেলে শাহ মো. নাহিয়ান হারুন, শাহ মো. আদনান হারুন ও মাহির হারুন এবং মেয়ে হোমায়রা হারুন।[১]
কর্মজীবন
সম্পাদনাবজলুল হক হারুন বাংলাদেশ-সৌদি আরব সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের উপদেষ্টা। প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালকও তিনি।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাবজলুল হক হারুন ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির টিকিটে তৎকালীন পিরোজপুর-২ আসন থেকে অংশ নিয়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর কাছে জামানত হারিয়ে পরাজিত হন।[১]
১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন, কিন্তু মনোনয়ন পাননি।[১]
১৯৯৮ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগে এবং ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে ‘নৌকা’ প্রতীকে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে পরাজিত হন।[১]
তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১][২]
তিনি পুনরায় ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য মনোনীত হন।[৩] দশম জাতীয় সংসদে তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪][১]
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য।[৫]
বিতর্ক
সম্পাদনাবজলুল হক হারুন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর অবৈধ সম্পদ অর্জন, টাকা আত্মসাৎ সহ নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। তার মধ্যে একটি হল রেইনট্রি হোটেল বিতর্ক, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে অস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং যাতে হারুনের ছোট ছেলে মাহির হারুন জড়িত ছিল।[৬] এছাড়া হোটেল ভবন নির্মাণ ও হোটেল চালু করতে তিনি রাজউকের কোনো নিয়মনীতি মানেননি।[৬] ২০০৮ সালে তিনি প্রিমিয়ার ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে ব্যাংক থেকে রুমি এন্টারপ্রাইজের চেক জালিয়াতি করে ১৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।[৭] ২০১৩ সালে তিনি রাজাপুর ডিগ্রি কলেজের ১২ জন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি করেন, যার জন্য তিনি নিয়োগ পরীক্ষা নেন ঢাকায় নিজ অফিসে।[৮][১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ফখরুল ইসলাম (১৯ মে ২০১৭)। "সাংসদ হারুনের পাঁচ বছরেই এত সম্পদ!"। দৈনিক প্রথম আলো। ২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০২৩।
- ↑ "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-০২।
- ↑ "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-০২।
- ↑ "ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি"। www.parliament.gov.bd। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২২।
- ↑ "১১তম সংসদের সদস্যবৃন্দ"। জাতীয় সংসদ। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ২০১৯-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ ক খ "এমপি হারুনের ভাগ্যের চাকা ঘুরছে রকেটগতিতে"। সমকাল। ২০২০-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২২।
- ↑ "এমপি হারুনকে দুদকে তলব ১১ এপ্রিল"। Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২২।
- ↑ "সরকারদলীয় এমপি হারুন ও উপজেলা চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২২।