ফ্রেডরিখ ভোলার
ফ্রেডরিখ ভোলার (৩১ জুলাই ১৮০০ – ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৮২) ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন জার্মান রসায়নবিদ যিনি ইউরিয়া সংশ্লেষণের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। এছাড়া বেশ কিছু মৌলিক পদার্থকে পৃথকীকরণের জন্যেও তিনি খ্যাতি লাভ করেন। ফ্রেডরিখ ভোলারকে “আধুনিক জৈব রসায়নের জনক” হিসেবে অভিহিত করা হয়।[১]
ফ্রেডরিখ ভোলার | |
---|---|
![]() ফ্রেডরিখ ভোলার | |
জন্ম | হলি রোমান সাম্রাজ্য | ৩১ জুলাই ১৮০০
মৃত্যু | ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৮২ গোটিঙ্গেন, জার্মানি | (বয়স ৮২)
বাসস্থান | জার্মানি |
জাতীয়তা | জার্মান |
কর্মক্ষেত্র | জৈব রসায়ন প্রাণরসায়ন |
প্রতিষ্ঠান | বার্লিন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ক্যাসেল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট গোটিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয় |
পিএইচডি উপদেষ্টা | গিওপড মেলিন জন্স জ্যাকব বার্জেলিয়াস |
পিএইচডি ছাত্ররা | হেন্রিখ লিমপ্রিচ্ট ডল্ফ ফিটিগ অ্যাডল্ফ উইলহেম হারম্যান কোব জর্জ লুডউয়িগ আলবার্ট নাইম্যান ভোজটেক সাফারিখ কার্ল স্মিদৎ থিওডর জিঙ্কে |
পরিচিতির কারণ | ইউরিয়ার ভোলার সংশ্লেষণ |
জীবনীসম্পাদনা
ফ্রেডরিখ ভোলার ফ্রাঙ্কফুর্টের এসারশেম অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮২৩ সালে চিকিৎসা শাস্ত্র পড়া সম্পন্ন করেন। ১৮২৬ থেকে ১৮৩১ সাল পর্যন্ত ভোলার বার্লিনের পলিটেকনিক স্কুলে রসায়নের শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি গোটিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নের অধ্যাপক পদে যোগদান করেন। উক্ত পদে তিনি ১৮৮২ সালে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৩৪ সালে ভোলার রাজকীয় সুয়েডীয় বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
রসায়নে অবদানসম্পাদনা
ফ্রেডরখ ভোলারকে জৈব রসায়নের পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৮২৮ সালে আকস্মিকভাবে ইউরিয়া সংশ্লেষনের মাধ্যমে তিনি শতাব্দীকাল ধরে প্রচলিত “প্রাণশক্তি মতবাদের” অবসান ঘটান এবং এর তখন থেকেই আধুনিক জৈব রসায়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়।[২] এই বিক্রিয়া রসায়ন শাস্ত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করে। এটি প্রমাণ করে যে অজৈব পদার্থ থেকে জৈব যৌগ সংশ্লেষণ করা সম্ভব।
গবেষণাকর্ম ও আবিষ্কারসম্পাদনা
ফ্রেডরিখ ভোলার বেরিলিয়াম, সিলিকন এবং সিলিকন নাইট্রাইডের আবিষ্কারক। এছাড়া তিনি ক্যালসিয়াম কার্বাইড সংশ্লেষণ করেন।[৩] ১৮৩৪ সালে ভোলার এবং বিজ্ঞানী লাইবিগ বাদাম তেলের উপর এক গবেষণাকর্ম প্রকাশ করেন। তারা প্রমাণ করেন যে কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপ একটি মৌলিক উপাদানের ন্যায় আচরণ করে, কোনো উপাদানের স্থান পরিগ্রহণ করে এবং রাসায়নিক যৌগ হতে কোন উপাদানের সাথে বিনিময়যোগ্য হতে পারে। এর ফলে যৌগের মৌলিক কাঠামোর ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয় যা রসায়নের অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
প্রকাশনাসম্পাদনা
উইকিমিডিয়া কমন্সে ফ্রেডরিখ ভোলার সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- Lehrbuch der Chemie, Dresden, ১৮২৫, 4 vols.
- Grundriss der Anorganischen Chemie, Berlin, ১৮৩০
- Grundriss der Organischen Chemie, Berlin, ১৮৪০
- Praktische Übungen in der Chemischen Analyse, Berlin, ১৮৫৪
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- Brigitte Hoppe (২০০৭)। "Review of The life and work of Friedrich Wohler (1800-1882) by Robin Keen, edited by Johannes Buttner"। Isis। 98 (1): 195–196। ডিওআই:10.1086/519116।
- George B. Kauffman, Steven H. Chooljian (২০০১)। "Friedrich Wöhler (1800–1882), on the Bicentennial of His Birth"। The Chemical Educator। 6 (2): 121–133। ডিওআই:10.1007/s00897010444a।
- ↑ "History of organic chemistry"। WikiBooks। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১০।
- ↑ ফ্রেডরিখ ভোলার (১৮২৮)। "Ueber künstliche Bildung des Harnstoffs"। Annalen der Physik und Chemie। 88 (2): 253–256। ডিওআই:10.1002/andp.18280880206।
- ↑ Deville, H. and Wohler, F. (১৮৫৭)। "Erstmalige Erwähnung von Si3N4"। Liebigs Ann. Chem.। 104: 256।