ফ্রাঙ্ক পিক অ্যাকার্স
ফ্রাঙ্ক পিক আকার্স, ছিলেন আমেরিকান নেভাল রিয়ার অ্যাডমিরাল, যিনি বিমানবাহী জাহাজে অবতরণের সরঞ্জাম নির্মাতা প্রথম বৈমানিক ছিলেন। [১]
ফ্রাঙ্ক পিক অ্যাকার্স | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | মার্চ ২২, ১৯৮৮ | (বয়স ৮৬)
মাতৃশিক্ষায়তন | মার্কিন নেভাল অ্যাকাদ ( বিএস) হার্ভার্ড ( এমএস) |
দাম্পত্য সঙ্গী | বেলিস হাউস আকার্স |
সামরিক কর্মজীবন | |
আনুগত্য | যুক্তরাষ্ট্র |
সেবা/ | মার্কিন নৌবাহিনী |
কার্যকাল | ১৯২২-১৯৬৩ |
পদমর্যাদা | রিয়ার অ্যাডমিরাল |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | মিডওয়ের যুদ্ধ ডুলিটল রেইড |
পুরস্কার | ডিস্ট ফ্লাইং ক্রস লিজিওন অব মেরিট |
সামরিক ক্যারিয়ার
সম্পাদনাফ্র্যাঙ্ক আকার্স ১৯২২ সালে ইউএস নেভাল একাডেমি থেকে স্নাতক পাশ করেন এবং প্রশান্ত মহাসাগরে পরিচালিত ইউএসএস সামনারে দায়িত্ব পান। ১৯২৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, তিনি নৌ "উইংস অফ গোল্ড" অর্জন করেন এবং বিমান চালক হন। পরে তিনি ১৯৩৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতক শেষ করার পরে, তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে নেভাল এয়ার স্টেশনে ফ্লাইট টেস্ট অফিসার হন। ১৯৩৫ সালের ৩০ জুলাই এই দায়িত্ব অর্পণকালে, তিনি একটি অস্বাভাবিক বিপজ্জনক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এবং দেশের প্রথম বিমানবাহী ইউএসএস ল্যাংলিতে অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন। বাইরের বিশ্বের সাথে চাক্ষুষ যোগাযোগ রোধ করতে তিনি একটি বিশেষ হুড লাগিয়েছিলেন তার বিমানে যা তাকে এমন বিপজ্জনক পরীক্ষাটি করতে সাহস জুগিয়েছিল। দৃষ্টিশক্তি ছাড়া বিমানবাহী জাহাজের ডেকে বিমান অবতরণ করার কৌশল আবিস্কারের জন্য তিনি বিশিষ্ট ফ্লাইং ক্রস অর্জন করেছিলেন। [২]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, তিনি ইউএসএস হর্নেটের ন্যাভিগেটর হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং টোকিওর বিখ্যাত ডুলিটল রেড এবং মিডওয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। যুদ্ধের পরে, ওয়াশিংটনে অ্যারোনটিক্স ব্যুরোর রেডিও এবং বৈদ্যুতিক শাখার প্রধান হিসাবে অবস্থানকালে, তিনি রাডার বোমাবর্ষণ সহ আরও দক্ষ ও সরলীকৃত বিমানের বৈদ্যুতিন সিস্টেমের উন্নয়ন করেছিলেন, যার ফলে তিনি লিজিয়ন অফ মেরিট লাভ করেছিলেন। [২]
যুদ্ধের পরে, ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ইউএসএস সারাতোগার কমান্ডিং অফিসার হিসাবে, তিনি বিমানবাহী জাহাজে একদিনে ৬৪২ বিমান অবতরণের নতুন বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন। ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনিই একমাত্র বিমানচালক যিনি ইনসিডিয়া ওয়ারফেয়ারের নৌ অপারেশনের সহকারী প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। [১] [২] ১৯৬২ সালের ১১ ই জানুয়ারী, তিনি গ্রে ইগল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, নৌ-বিমানচালক হিসাবে তাকে এ্ই সম্মান দেয়া হয়েছিল কেননা তিনি কর্তব্যরত অবস্থায় অন্য যে কারো থেকে বেশি সময় উড়ন্ত অবস্থায় ছিলেন, যা তিনি ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল অবসর গ্রহণ অবধি ধরে রেখেছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Smith, J.Y. (২৫ মার্চ ১৯৮৮)। "Adm. Frank Akers, former test pilot, dies"। The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ ক খ গ "Frank Akers: Rear Admiral, United States Navy"। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "arlington" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ফাইন্ড এ গ্রেইভে ফ্রাঙ্ক পিক অ্যাকার্স (ইংরেজি)
- ইউএসএস সারাতোগা (সিভি -৩) এর কমান্ডিং অফিসার
- নেভির প্রথম ব্লাইন্ড ফ্লাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে