ফ্রন্টিয়ার মেডিকেল কলেজ
ফ্রন্টিয়ার মেডিকেল কলেজ (এফএমসি) (উর্দু, পশতু, হিন্দক: فرنٹیئر میڈیکل کالج) হচ্ছে একটি চিকিৎসা শিক্ষা কেন্দ্র এবং বাহরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট উল্লেখযোগ্য মেডিকেল স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম একটি কলেজ।[১] প্রতিষ্ঠানটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অ্যাবোটাবাদে অবস্থিত। কলেজটি ৫ বছরের মেডিকেল ট্রেনিং শেষে মেডিসিন ও সার্জারি (এমবিবিএস) ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। পাশাপাশি এখানে নার্সিং এবং বেশ কয়েকটি প্যারা মেডিকেল কোর্সও রয়েছে। ফ্রন্টিয়ার মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস এবং বিডিএস প্রোগ্রামের জন্য প্রায় ৭০০ জন এর শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
নীতিবাক্য | শ্রেষ্ঠত্ব এবং উদ্ভাবন |
---|---|
ধরন | প্রাইভেট / বেসরকারি খাত |
স্থাপিত | ১০ এপ্রিল ১৯৯৫ |
অধ্যক্ষ | আব্দুল জামিল খান |
ডিন | অধ্যাপক ডা. গুল মোহাম্মদ |
CEO | আসাদ জামিল খান |
অবস্থান | , |
অধিভুক্তি | বাহারিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তান মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল উচ্চ শিক্ষা কমিশন জেনারেল মেডিক্যাল কাউন্সিল এডুকেশনাল কমিশন ফর ফরেন মেডিকেল গ্রাডুয়েটস ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয় জিনজিয়াং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | http://fmc.edu.pk/ |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯৫ সালে খাইবার পাখতুনখোয়াতে প্রথম বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফ্রন্টিয়ার মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পাকিস্তানের দ্বিতীয় বেসরকারী মেডিকেল স্কুল হিসেবে মর্যাদা পায়। আল-জামিল ট্রাস্ট কর্তৃক স্ব-অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানটি সকল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ১৯৯৫ সালে অ্যাবটাবাদের গ্রামীণ উপকণ্ঠে পাইন বনভূমির তীরে অবস্থিত প্রায় ২০০ কানলের জমির উপর এটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। ভবনটি উচ্চ পর্যায়ের ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয়। কলেজের পাশ্ববর্তী প্রাঙ্গনে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট শাহীন জামিল টিচিং হসপিটাল গড়ে উঠেছে। মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নার্সিং এবং প্যারামেডিক্যাল শিক্ষাও প্রদান করা হয়। খাইবার-পাখতুনখোয়া সরকারের সঙ্গে বেসরকারী-জনসাধারণের যৌথ অংশীদারত্বের চুক্তির ভিত্তিতে ৩৬০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারী ডিএইচকিউ টিচিং হাসপাতাল মহেশ্বরে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হবে।[২][৩][৪][৫]
কলেজ ভবন
সম্পাদনাকলেজটির প্রধান ভবন চতুর্থ তলা বিশিষ্ট ১১০,০০০ বর্গ ফুট এলাকাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি সমাবেশ কক্ষ, ল্যাবরেটরিজ, ডিসিপশন হল, লাইব্রেরী, যাদুঘর, কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, ৫০০-টি আসনের অডিটোরিয়াম, সেমিনার রুম, কলেজের স্টাফ এবং ছাত্রছাত্রী ঘর এবং অফিসসহ সকল বিভাগের ব্যবস্থা করে থাকে। কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগে হাউজিংয়ের জন্য আরো একটি নিজস্ব ভবন রয়েছে।
হাসপাতাল
সম্পাদনাকলেজটিতে দুটি হাসপাতাল শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। শাহীনা জামিল ট্রাস্ট হাসপাতাল কলেজ প্রাঙ্গনে তাদের নিজস্ব শিক্ষা হাসপাতাল রয়েছে। এটি একটি নতুন ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট সাধারণ হাসপাতাল। এখানে ডাক্তার, নার্স এবং প্যারামেডিকেল কর্মীদের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সিনিয়র মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং সমস্ত যোগ্য রোগীদেরকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে থাকে। এখানে ডেন্টাল শিক্ষার্থীরাও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন।
ছাত্র সম্প্রদায়
সম্পাদনা- বিতর্ক প্রতিযোগীতামূলক সংগঠন
- নাটক এবং সাংস্কৃতিক সমিতি
- সাহিত্য সমিতি
- রোগী কল্যাণ সমিতি
- রক্তদান সমিতি
- পরিবেশ সুরক্ষা সোসাইটি
- ফ্রন্টিয়ার মেডিকেল কলেজ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি
- ক্রীড়া সংগঠন
- ছাত্র হেলথ কেয়ার সোসাইটি
- ফার্মাকোলজি সোসাইটি
- ফাইন আর্টস সোসাইটি
- এফএমসি সাবেক ছাত্র সমাজ[৬]
স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ সুবিধা-
সম্পাদনাসকল শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কলেজ শাখার হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। যদি কোন শিক্ষার্থী ছোটখাটো অসুস্থতার জন্য অসুস্থ্য হয়ে পড়ে, তবে তারা বাইরে রোগীদের বিভাগেও চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Bahria University – Official Web Portal"। www.bahria.edu.pk। ২৭ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ FMC News letter Jan 2010
- ↑ FMC Prospectus 2011
- ↑ FMC Medical Journal 2015
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Frontier Medical College Handbook
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা