ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়

ফেনী শহরে অবস্থিত একটি উচ্চ বিদ্যালয়

ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের ফেনী জেলায় অবস্থিত একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে কবি নবীনচন্দ্র সেন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়টি অবিভক্ত পাকিস্তান শাসনামলে সর্বমোট সাত বার সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের খেতাব অর্জন করেছিল।

ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
ঠিকানা
মানচিত্র
কলেজ রোড,



স্থানাঙ্ক২৩°০′৩৬″ উত্তর ৯১°২৩′২৪″ পূর্ব / ২৩.০১০০০° উত্তর ৯১.৩৯০০০° পূর্ব / 23.01000; 91.39000
তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৮৬; ১৩৭ বছর আগে (1886)
প্রতিষ্ঠাতানবীনচন্দ্র সেন
বিদ্যালয় জেলাফেনী জেলা
কর্তৃপক্ষমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর
প্রধান শিক্ষিকাফেরদৌস আরা বেগম
শ্রেণি৬ষ্ঠ- ১০ম
লিঙ্গবালক
শিক্ষার্থী সংখ্যাআনু. ১৬০০
শিক্ষায়তন১৮ একর
দলের নামপাইলটিয়ান
প্রকাশনালণ্ঠন
অন্তর্ভুক্তিমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা
ওয়েবসাইটfgphs.edu.bd

ফেনীর মহকুমা প্রশাসক মৌলবী আহম্মদ, এমএ, ১৮৮৬ সালে বিদ্যালয়ে ১ম ভবন তৈরী করেন। এরপর, ১৮৮৬ সালেই ততকালীন ফেনী মহকুমা প্রশাসক মহাকবি নবীনচন্দ্র সেন বিদ্যালয়টি উদ্বোধন করেন। ১৯৬৭ সনের ১৫ই আগস্ট বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। []

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৮৮৬ সালে ততকালীন ফেনী মহকুমা প্রশাসক মহাকবি নবীনচন্দ্র সেন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। নাম দেন ফেনী হাই স্কুল। পাকিস্তান আমলে সারা পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্কুলকে ব্রিটিশ শিক্ষা প্রকল্প "পাইলট প্রজেক্টের" আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে "ফেনী হাই স্কুল" ও ছিল। পাইলট প্রজেক্টের আওতায় সকল স্কুলের নামের সঙ্গে 'পাইলট' যুক্ত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় স্কুলটি ব্রিটিশ আর্মি ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জাপানি বিমান বোমা হামলা চালানোর সময় একটি বোমা স্কুলের উত্তর পাশের লাল রঙের মূল ভবনটির পাশে পড়ে। ফলে ভবনটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীনসময়েও এটি পাকআর্মি ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসময় স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথিপত্র ধ্বংস হয়। পাকআর্মি ঐসময় স্কুলটিকে টর্চার সেলে পরিণত করেছিলো। স্কুলটির উত্তর-পূর্ব দিকে একটি অচিহ্নিত গণকবর রয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ পাশে ছাত্রাবাসের পাশে জলাপূর্ণ স্থানটিতেও গণকবর রয়েছে। পূর্ব দিকের দালানটি স্কুলের ছিল, ফেনী সরকারি কলেজ কে দেওয়া হয়েছে। '৭১এ নিহত মানুষদের স্মরণে স্কুলের পূর্ব প্রান্তে একটি স্মৃতি স্তম্ভ রয়েছে।

শিক্ষা কার্যক্রম

সম্পাদনা

বিদ্যালয়টিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১৭০০ ছাত্র রয়েছে। এখানে দুইটি শিফটে ক্লাস করানো। ডে শিফট এবং মর্নিং শিফট। সিলেবাস অনুযায়ী স্কুলটিতে বছরে দুইটি পরীক্ষা নেওয়া হয়, অর্ধ-বার্ষিকী এবং বার্ষিকী। তাছারা অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে মডেল টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়।

অবকাঠামো

সম্পাদনা
 
ফেনী পাইলট হাই স্কুলের পুরতন ভবন (বর্তমানে পরিত্যক্ত)

বিদ্যালয়ের লাল রঙের দ্বিতল মূল ভবনটি এখন পরিত্যক্ত। আগে এটিই ছিল প্রশাসনিক ভবন। এখন পাশের তিনতলা বিশিষ্ট নতুন ভবনটিতে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়েছে। এই দুই ভবনের মাঝে অবস্থান করছে বিদ্যালয়ের একতলা বিশিষ্ট মসজিদ। এর ঠিক বিপরীত দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থান করছে বিদ্যালয়ের 'এসেম্বলি হল'। মাঝে রয়েছে বিশাল মাঠ। এসেম্বলি হলের পূর্ব পার্শ্বে রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বাস ভবন এবং এর পূর্ব পার্শ্বে রয়েছে আরেকটি ভবন। নাম 'বিজ্ঞান ভবন'। এখানেও পাঠ কার্যক্রম চালনা করা হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসটি রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বাস ভবনের দক্ষিণ পার্শ্বে।

মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে কার্যক্রম

সম্পাদনা

বিদ্যালয়ের আইসিটি ক্লাবের শিক্ষক জনাব আব্দুল মুকিত এবং এক্সিকিউটিভ মেম্বার হাছিফ আহমেদ তামীম এর সহযোগিতায় মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয় যার নাম " FGPHS PILOTIAN " । ইতি মধ্যে প্রকল্পটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে জনাব আব্দুল মুকিত এবং তামীম। অ্যাপ এর কাজ ৩৫% শেষ হয়েছে বলে জানা যায় । যদি কোনো বাঁধা বা যান্ত্রিক ক্রটি না থাকলে ২০২৪ এর প্রথমে অ্যাপটি প্লে-স্টোর এ মুক্তি পাবে বলে জানা যায় ।

  • ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্টস' অ্যাসোসিয়েশন
  • স্কাউটদল
  • যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট
  • এনসিটিএফ ইউনিট
  • ফেনী গর্ভনমেন্ট পাইলট হাই স্কুল ডিবেটিং সোসাইটি
  • ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় আইসিটি ক্লাব

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৪  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]