ফাসিক

ইসলামী পরিভাষা

ফাসিক (আরবি: فاسق) একটি আরবি শব্দ, যার দ্বারা ইসলামিক আইন ভঙ্গকারী ব্যক্তিকে বোঝানো হয়। একজন ফাসিক ব্যক্তিকে অবিশ্বাসযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ইসলামিক আদালতে একজন ফাসিক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় না।[১] আরবি ফাসিক এবং ফিসক শব্দ দুটি অনেক সময় "অধার্মিক",[১] "লঘু পাপী",[১] "দুশ্চরিত্র" প্রভৃতি বোঝাতেও ব্যবহৃত হয়।[২]

উৎস সম্পাদনা

ফাসিক শব্দটি এসেছে আরবি ফিসক (আরবি: فسق) শব্দ হতে, যার অর্থ "চুক্তিভঙ্গ করা"[৩] বা "বের হয়ে যাওয়া"।[২]

ধর্মতাত্ত্বিক বিতর্ক সম্পাদনা

  • খারিজিতদের নিকট "কর্মবিহীন বিশ্বাস" ছিল মূল্যহীন, তাই যে নামমাত্র ইসলাম পালন করে তদুপরি পাপকার্যে লিপ্ত থাকে সে একজন ফাসিক এবং একইভাবে কাফির.[৪]

প্রকাশ্য ঘোষণা সম্পাদনা

ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেইনি ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের সময় ইরানের শাহ্‌ এবং সাদ্দাম হোসেন উভয়কেই ফাসিক হিসেবে ঘোষণা করেন।[৫]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Majid Khadduri (২৮ নভেম্বর ২০০১)। The Islamic Conception of Justice। JHU Press। পৃষ্ঠা 149–। আইএসবিএন 978-0-8018-6974-7। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১২ 
  2. Amīn Ahsan Iṣlāhī (২০০৭)। Tafsir of Surah al-Fātihan and Surah al-Baqarah। The Other Press। পৃষ্ঠা 149–। আইএসবিএন 978-983-9154-88-7। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১২ 
  3. Dr. Hasanuddin Ahmed (১ মার্চ ১৯৮৭)। An Easy Way to Understanding Qur'an 2 vols। IQRA International Educational Foun। পৃষ্ঠা 1–। আইএসবিএন 978-0-911119-34-3। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১২ 
  4. David Waines (৬ নভেম্বর ২০০৩)। An Introduction to Islam। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 105–। আইএসবিএন 978-0-521-53906-7। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১২ 
  5. Saskia Gieling (৩ ডিসেম্বর ১৯৯৯)। Religion and War in Revolutionary Iran। I.B.Tauris। পৃষ্ঠা 87–। আইএসবিএন 978-1-86064-407-8। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা