ফখরালসাদাত মোহতাশমিপুর

 

ফখরালসাদাত মোহতাশমিপুর
ফখরালসাদাত মোহতাশমিপুর
ব্যক্তিগত তথ্য
মৃত্যু	হিজরী
ধর্ম	ইসলাম
প্রধান আগ্রহ	ব্লগার

ফখরালসাদাত মোহতাশমিপুর হলেন ইরান-ইসলামিক পার্টনারশিপ ফ্রন্টের সদস্য, ব্লগার, বিখ্যাত ইরানী রাজনীতিবিদ মোস্তফা তাজ্জাদেহের স্ত্রী ।

২০০৯ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন

২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে ইরানি জনগণের বিক্ষোভের পর ফখর আল-সাদাত মোহতাশামিপুর সবুজ আন্দোলনের অন্যতম রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। ১৯৮৮ সালের আগের বছরগুলিতে মোহতাশামিপুর একজন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি ইরান-ইসলামিক পার্টনারশিপ ফ্রন্টের সদস্য হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত ব্লগে সামাজিক অবস্থা তুলে ধরেন। ফেসবুক, ইয়াহু ও মেসেঞ্জারসহ সব নেটওয়ার্কে ইরানের শাসন-সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মীদের মধ্যে উদ্ভাবক হিসাবে বিবেচিত হন। ২০০৯ সালের ঘটনার পরের দিনগুলোতে ফখর আল-সাদাত মোহতাশামিপুরের ভূমিকার কারণে তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন। এমনিভাবে তিনি একজন বিশিষ্ট বন্দী মোস্তফা তাজজাদেহর স্ত্রী হিসেবে, মানবাধিকার সম্পর্কিত সংবাদ প্রচারের জন্য এবং শ্রমিক বন্দীদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন।

আটক ও অনশন

২০১১ সালের ১০ মার্চ সবুজ আন্দোলনের নামে বিক্ষোভের সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ২০১১ সালের এপ্রিলে এভিন কারাগারে নির্জন কারাবাস মধ্যে অনশন ধর্মঘট করেন। কয়েকদিনের অনশন ধর্মঘটের পর তার অবেদনের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কারাগারে জীবন

২০১২ সালের জানুয়ারিতে তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো: (১) প্রতিবাদমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য বন্দীদের পরিবারকে সংগঠিত করা, (২) সংস্কারবাদী মহিলা পরিষদের সভায় যোগদান করা এবং (৩) বন্দী পরিবার মীর হোসেন মুসাভি ও মেহেদি কাররুবির ঘরবাড়ি অবরোধ করে ভাঙার জন্য মানুষকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানোর কারণে (৪) স্বৈরশাসক ও অত্যাচারী ইসলামী প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভাষণ দেয়া।

সামাজিক কর্ম

তিনি কারাগারে সাক্ষাতের সময় শুনেছিলেন, মোহতাশামিপুর বরাবরই ভার্চুয়াল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন এবং মাঝে মাঝে তার কারাবন্দী স্ত্রী মোস্তফা তাজজাদেহর কাছ থেকে চিঠি এবং বার্তা প্রকাশ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

ফখর আল-সাদাত মোহতাশামি হলেন আলী আকবর মোহতাশামীর চাচাতো ভাই।