অনশন বা উপবাস বলতে শাব্দিকভাবে বোঝায় কোনরূপ খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ না করা। তবে খাবারের অভাবের কারণে অভুক্ত থাকা অনশন নয়। প্রাচীন অনেক ধর্মেই অনশনের প্রথা প্রচলিত আছে। তবে নিকট অতীতে রাজনৈতিক দাবি আদায়ের জন্য অনশনের ব্যবহার দেখা যায়। মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে অনশনের ব্যাপক ব্যবহার করেন। তার "সত্যাগ্রহ ব্রত" অনুসারে, অনশনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে শুভ শক্তির জাগরণের মাধ্যমে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করা সম্ভব। পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশে মওলানা ভাসানীবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনশন কর্মসূচি পালন করেন। বর্তমানেও রাজনীতি অথবা বিভিন্ন দাবি আদায়ের জন্য এই কর্মসূচি পালন করা হয়। ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী যতীন্দ্র নাথ দাস ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত অবস্থায় ১৯২৯ সালে মারা যান।[১] স্বাধীন ভারতে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলার ভাষা আন্দোলনকারী পট্টী শ্রীরামালুও দীর্ঘদিন অনশনে মারা যান।

একজন অনশনকারীকে জোর খাওয়ানো হচ্ছে

হিন্দুধর্মে বিভিন্ন পূজা পার্বণের পূর্বে অনশন করার রীতি প্রচলিত আছে। অনশন তিন রকম, স্বল্পানশন, অর্ধানশন ও পূর্ণানশন।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "IndianPost"। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৫ 
  2. "অনশন"