প্লাম লুইস
পার্সি টাইসন প্লাম লুইস (ইংরেজি: Plum Lewis; জন্ম: ২ অক্টোবর, ১৮৮৪ - মৃত্যু: ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭৬) কেপ প্রদেশের কেপ টাউনে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯১৩ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পার্সি টাইসন লুইস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কেপ টাউন, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ডারবান, নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | - | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৮৫) | ১৩ ডিসেম্বর ১৯১৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ মার্চ ২০১৮ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন ‘প্লাম’ ডাকনামে পরিচিত প্লাম লুইস।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৯০৭-০৮ মৌসুমের শুরুতে তিনি বেশ কিছু প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছেন। অধিকাংশই ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের সদস্য থাকা অবস্থায় খেলেছেন। ১৯১৩-১৪ মৌসুমে এমসিসি দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায়। সফরের প্রথম খেলায় সফরকারী দলের বিপক্ষে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের সদস্যরূপে ১৮৫ মিনিটে ১৫১ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি।[১] দুই সপ্তাহ পর একই দলের বিপক্ষে কেপ প্রদেশের পক্ষে খেলেন। এবারো তিনি সফলতা পাননি। তাস্বত্ত্বেও প্রথম টেস্ট খেলায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
টেস্ট ক্রিকেট
সম্পাদনা১৩ ডিসেম্বর, ১৯১৩ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে প্লাম লুইসের। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। উভয় ইনিংসেই তিনি শূন্য রান করেন। উভয় ক্ষেত্রেই ‘কট ওলি বোল্ড বার্নস জিরো’ পরিসংখ্যান বহিতে উল্লেখ করা হয়।[২] খেলায় তার দল ইনিংস ও ১৫৭ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল।
বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ
সম্পাদনাপ্রথম বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে ফ্রান্সে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি লেফট্যানেন্ট-কর্নেল পদবীধারী ছিলেন। বেশ কয়েকবার পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন।[৩] যুদ্ধ শেষে ‘এমসি’ ও ‘বার’ লাভ করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে এবার সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন না তিনি।[৪] এরপর তিনি আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[৫]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনা৮ জুলাই, ১৯৭৩ তারিখে বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেট তারকা উইলফ্রেড রোডসের দেহাবসানের পর তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করতে থাকেন। ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭৬ তারিখে নাটালের ডারবানে ৯২ বছর বয়সে প্লাম লুইসের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Western Province v MCC 1913-14
- ↑ South Africa v England, Durban 1913-14
- ↑ "Australia's Karachi heartbreak"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ The Cricketer, April 1976, p. 73.
- ↑ Wisden 1977, p. 1045.
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে প্লাম লুইস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে প্লাম লুইস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী উইলফ্রেড রোডস |
বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার ৮ জুলাই, ১৯৭৩ – ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭৬ |
উত্তরসূরী টাইগার স্মিথ |