পূণেরী পাগড়ী
পূণেরী পাগড়ী (ইংরেজি:Puneri Pagadi), মহারাষ্ট্ৰের পূণে নগরীর গৌরব এবং সন্মানের প্ৰতীক হিসাবে গণ্য করা এক প্ৰকারের পাগড়ী।[১] দুই শতাব্দি আগে এর প্ৰচলন শুরু হয়েছিল।[২] এই পাগড়ী সন্মানের প্ৰতীক হলেও আজকাল কলেজের ঐতিহ্যবাহী দিনসমূহে ব্যবহার করতে দেখা যায়।[৩] এই পাগড়ী স্বকীয় পরিচয় বহন করে বলে স্থানীয়লোকেরা এর " ভৌগোলিক পরিচয়" এর মৰ্যাদা দাবী করে।[৩] ৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সালে তাদের বহুদিনের দাবী পূরণ হয় এবং এই পাগড়ী এক বৌদ্ধিক সম্পদরূপে পরিগণিত হয়।[১][৩][৪][৫][৬]
পূণেরী পাগড়ী | |
---|---|
ভৌগোলিক নির্দেশক | |
বর্ণনা | পূণেরী পাগড়ী হল একপ্রকারের পাগড়ী যা পূণে নগরীর গৌরব এবং সন্মানের প্ৰতীক হিসাবে গণ্য করা হয়। |
ধরন | হস্তশিল্প |
অঞ্চল | পুণে, মহারাষ্ট্র |
দেশ | ভারত |
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | http://ipindia.nic.in/girindia/ |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯ শতকের একজন সমাজ-সংস্কারক মহাদেব গোবিন্দ রাণাদে পোন নগরীতে-প্ৰথম এই পাগড়ীর প্ৰচলন করেন। পরবর্তীতে অনেক বিখ্যাত নেতা যেমন- লোকমান্য তিলক, জে.এস. করণদিকার, ডি.ডি. সাথে, তাতিয়াসাহেব কেলকার এবং দাত্তু বামন পটদারের মত নেতারা এই পাগড়ী পড়তেন।[২] ১৯৭৩ সালে মারাঠি ভাষার নাটক "ঘাসীরাম কটওয়াল’’ এর মাধ্যমে এটি অধিক জনপ্ৰিয় হয়ে পরে।[৩]
ব্যবহার
সম্পাদনাএই পাগড়ী সাধারণত কিছু বিশেষ অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে-শাদী এবং বিদ্যালয়-মহাবিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী দিবসে ব্যবহার করা হয়। যুবকরা "গন্ধাল" কলা প্ৰদৰ্শনে এই পাগড়ী পড়ে। তাছাড়া ঐতিহাসিক ছায়াছবি এবং থিয়েটারে একে ব্যবহার করা হয়।[৩]
বৌদ্ধিক সম্পত্তির অধিকার প্ৰদান
সম্পাদনা১০ জন "শ্ৰী পূণেরী পাগড়ী সংঘ"এর পূণেরী পাগড়ীর "ভৌগোলিক পরিচয়ের মৰ্যাদা দেওয়ার জন্য ভৌগোলিক স্বীকৃতি রেজিষ্ট্ৰারের জন্য আবেদন জানায়।[৩] এবং সাথে বৌদ্ধিক সম্পদের নীতির উৎকৰ্ষতার জন্যেও আবেদন জানায়।[২] পূণেরী পাগড়ীকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা, এর স্বকীয়তা রক্ষা করা এবং পূণেরী সংস্কৃতি ঠিকিয়ে রাখা এর মূল উদ্দেশ্য। ৪ সেপ্টেম্বর,২০০৯ সালে একে ভৌগোলিক পরিচায়কের মৰ্যাদা দেয়ার সাথে সাথে এটি পূণের সাংস্কৃতিক এবং সরকারী পরিচয় বহন করে।[১][৩][৪][৫][৬] ফলে পূণেরী পাগড়ী বৌদ্ধিক সম্পদের অধিকার লাভ করে এবং পূণের বাহিরে পূণেরী পাগড়ীর উৎপাদন তথা বিক্ৰী নিষিদ্ধ করা হল।[৪]
তথ্য সূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Indian association seeks IPR for 'Puneri Pagadi'"। Business Standard। ৭ এপ্রিল ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১২।
- ↑ ক খ গ "Turban legend: Puneri Pagadi may soon get intellectual property tag"। Mid-day। ৬ এপ্রিল ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১২।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ Shruti Nambiar (২ আগস্ট ২০১১)। "The Pagadi Unravelled"। The Indian Express। পৃষ্ঠা 1–2। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১২।
- ↑ ক খ গ "Puneri Pagadi gets GI tag; latest to join protected goods club"। Zee News। ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১২।
- ↑ ক খ "Puneri Pagdi obtains geographical indication status"। OneIndia News। ৩ জানুয়ারি ২০১০। ১৪ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১২।
- ↑ ক খ Chandran Iyer (২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "Puneri Pagadi gets pride of place"। Mid Day। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১২।