সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ যিনি পীর সাবির শাহ নামে বেশি পরিচিত, পাকিস্তানের একজন রাজনীতিবিদ এবং পিএমএল(এন) খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপিকে)'র সাবেক সভাপতি। তিনি ঐ প্রদেশের ১৯৯৩ সালের ২০ অক্টোবর থেকে ১৯৯৪ সালের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরীফের উপদেষ্টা ছিলেন।[১][২]

সিনেটর

পীর সাবির শাহ
پير صابر شاہ
জন্ম (1955-03-13) ১৩ মার্চ ১৯৫৫ (বয়স ৬৯)
অন্যান্য নামসৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ
শিক্ষাপেশাওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণকাদেরী পীর, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং সভাপতি পিএমএল (এন) খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপিকে), সিনেটর (অফিস), সিনিয়র সহ-সভাপতি পিএমএল (এন) পাকিস্তান, পীরে বাঙ্গাল
সন্তানসৈয়দ মুহাম্মদ মেহমুদ শাহ
সৈয়দ মুহাম্মদ আকিব শাহ
পিতা-মাতাসৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (পিতা)
সৈয়দা সাঈদা বেগম (মাতা)
আত্মীয়সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ভাই)
খাইবার পাখতুনখোয়ার ১৮তম মুখ্যমন্ত্রী
গভর্নরখুরশিদ আলী খান
পূর্বসূরীমুফতি মোহাম্মদ আব্বাস
উত্তরসূরীআফতাব আহমদ শেরপাও
কাজের মেয়াদ
২০ অক্টোবর ১৯৯৩ – ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা
কাজের মেয়াদ
১৯৯৭ – ১৯৯৯
প্রধানমন্ত্রীনওয়াজ শরীফ
পাকিস্তানের সিনেট সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৮ মার্চ ২০১৮ – বর্তমান
পানিসম্পদ বিষয়ক সিনেটের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১ জুলাই ২০২২

জন্ম সম্পাদনা

পীর সাবির শাহ ১৯৫৫ সালের ১৩ মার্চ পাকিস্তানের হরিপুরের সিরিকোটে বসবাসরত সৈয়দ পরিবারে শেতালু শরীফে জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ গীসুদারাজ প্রথম ও সৈয়দ মুহাম্মদ মাসুদ মাশওয়ানীর মাধ্যমে তার বংশ ৪১টি ধারায় হজরত মুহাম্মদ (দ.) পর্যন্ত পৌঁছায়।[৩][৪][৫] তার পিতার নাম সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ এবং তার পিতামহ সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি একজন সুফি সাধক ছিলেন।

শিক্ষা সম্পাদনা

তিনি সিরিকোটে একটি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। এরপর অ্যাবটোবাদ গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে অধ্যয়নের পর পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ইসলামাবাদের ইনিষ্টিটিউট অব মডার্ণ ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে আরবী ভাষা ও ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদী ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া তিনি আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দাওরা ও ফিকাহ শাস্ত্রে উচ্চতর অধ্যয়ন করেন।

রাজনীতি সম্পাদনা

পীর সাবির শাহ ১৯৮৫ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। তাকে মুসলিম লীগ তাদের সাথে যোগ দিতে বলেছিল। সিরিকোটের শেতালু শরীফে একটি প্রধান জিরগা ডাকা হয়েছিল। তারা তাকে পাকিস্তান মুসলিম লীগে যুক্ত করতে রাজি হয়। তিনি হরিপুরের পিএফ-৪৩ (প্রাদেশিক সীমানা –৪৩) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৩ ও ১৯৯৭ সালে নির্বাচনে জয়ী হন।

২০১৮ সালে তিনি পুনরায় খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে সিনেটর নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি পানিসম্পদ বিষয়ক সিনেটের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[৬][৭]

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন সম্পাদনা

২০ অক্টোবর ১৯৯৩ সাল থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ১৮ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. http://www.pap.gov.pk/pro-ass/nwfp.htm#cm ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে pap.gov.pk
  2. "Syed Muhammad Sabir Shah"www.senate.gov.pk [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "سید محمد صابر شاہ" (পিডিএফ)। ১৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০২১ 
  4. "Pir Sabir Shah | Ex-C.M of Khyber-Pakhtoonkhwa | PakistanHerald.com"web.archive.org। ২০১৫-১০-০১। Archived from the original on ২০১৫-১০-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-২৫ 
  5. Shah, Syed Yousuf (১৯৩০)। Halat-e-Mashwani (উর্দু ভাষায়)। Lahore: Mohammadi Press। পৃষ্ঠা 160–161। 
  6. "Senate of Pakistan"senate.gov.pk। Archived from the original on ২০২২-১২-২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২২ 
  7. News, Desk। "Senator Sabir Shah elected Chairman of Water Resources Committee"Pakistan Observer। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২২ 
রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
মুফতি মুহাম্মদ আব্বাস (তত্ত্বাবধায়ক)
খাইবার-পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী
১৯৯৩–১৯৯৪
উত্তরসূরী
আফতাব আহমদ শেরপাও