পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আওতায় (বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলা) কল্যাণ ও কিছু প্রশাসনের নিমিত্তে স্থানীয় সরকারের সংগঠন যা ঢাকা ও রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত।[১] সন্তু লারমা পরিষদটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিরও চেয়ারম্যান।[২]
গঠিত | ২৭ মে ১৯৯৯ |
---|---|
সদরদপ্তর | রাঙ্গামাটি, বাংলাদেশ |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা |
ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য অঞ্চলের অবাঙালি উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে নিম্ন-স্তরের দ্বন্দ্ব হয়। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংঘাত নিরসনের জন্য একটি শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ২৭ মে ১৯৯৯ সালে 'পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন ১৯৯৮' অনুসারে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১][৩] ২০১০ সালে বাংলাদেশ উচ্চ আদালত একটি রায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক হিসাবে ঘোষণা দেয়। ২০০০ সালে এম. বদিউজ্জামান ও ২০০৭ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী তাজুল ইসলামের দায়ের করা দুইটি মামলায় এই রায় দেওয়া হয়। ৩ মার্চ ২০১১ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়টি বহাল রাখে। বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। ৯ জানুয়ারি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট উচ্চ আদালতের রায়টি স্থগিত করে।[৪][৫][৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Chittagong Hill Tracts Regional Council"। chtrc.org। ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "CHT situation spinning out of control: Santu"। CHT situation spinning out of control: Santu। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "20 years after peace accord, indigenous Bangladeshis still attacked over land"। ঢাকা ট্রিবিউন। ঢাকা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "HC verdict on CHT regional council: SC adjourns appeal hearing till Jan 23"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Decade-old hills admin at stake"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ এপ্রিল ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Revisiting CHT Peace Accord"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৮।