পাতিশিয়াল

স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতি

পাতিশিয়াল (ইংরেজি: Golden Jackal) (বৈজ্ঞানিক নাম: Canis aureus) হচ্ছে ক্যানিডি পরিবারের এক প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[]

Golden jackal
সময়গত পরিসীমা: Late Pleistocene – Recent
Golden jackal in Tel Aviv
Golden jackals howling
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য: অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব: কর্ডাটা (Chordata)
শ্রেণি: স্তন্যপায়ী (ম্যামেলিয়া)
বর্গ: শ্বাপদ বর্গ (মাংসাশী)
পরিবার: Canidae
গণ: Canis
Linnaeus, 1758[]
প্রজাতি: C. aureus
দ্বিপদী নাম
Canis aureus
Linnaeus, 1758[]
Subspecies
  • C. a. aureus
  • C. a. cruesemanni
  • C. a. ecsedensis
  • C. a. indicus
  • C. a. moreoticus
  • C. a. naria
  • C. a. syriacus
Refer to the section "Subspecies" and the column "Distribution"
Range of the golden jackal

বৈশিষ্ট্য

সম্পাদনা

শিয়াল নিশাচর। তবে কখনো খুব সকালেও দেখা যায়। পেটে ক্ষুধা থাকলে দিনের বেলায়ও বের হয়। সন্ধ্যায় শিয়াল ডেকে ওঠে। দিনের আলো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝোপের ভেতর, মাটির গর্তে লুকিয়ে পড়ে। সাধারণত দলে চলে, একাকীও ঘুরতে দেখা যায়। এরা সর্বভূক। প্রধান খাবার পোকামাকড়, পাখি, ছোট আকারের মেরুদণ্ডী প্রাণী, টিকটিকি, মৃতদেহ, শাকসবজি, আখের রস, ভুট্টা ইত্যাদি। খাবারের অভাব দেখা দিলে লোকালয়ে হানা দেয় হাঁস-মুরগি ধরতে। তবে খাদ্যের অভাব যখন প্রবল হয়েছে, তখনই শিয়াল লোকালয়ে এসে পোষা হাঁস-মুরগির ওপর হানা দিয়েছে। তাই আজও গাঁয়ের মানুষ শিয়াল দেখলে যে করেই হোক মারার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। পাতিশিয়ালের আকার আমাদের পোষা কুকুরের মতোই। লেজটি গুটিয়ে রাখে অর্থাৎ নিচের দিকে নামানো থাকে। গায়ের রং বাদামি, পেছনের অংশে কালো লোম থাকে। সিলেটের মৌলভীবাজার ও বড়লেখায় শিয়ালের ভালোই ডাক শোনা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, বর্ষার সময় মানুষের হাতে শিয়াল মারা পড়ে বেশি। খাবারের জন্য তখন লোকালয়ে আসতেই হয় এদের। আর তখনই মানুষের হাতে নিরীহ এই প্রাণীর মৃত্যু ঘটে।

আফ্রিকার বাইরে এটিই শিয়ালের একমাত্র প্রজাতি। পাতিশিয়ালের ১৩টি উপপ্রজাতি রয়েছে।[] আইইউসিএন এটিকে সবচেয়ে কম বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রেখেছে, কারণ বিভিন্ন স্থানে এর বিস্তার রয়েছে। []

আরো পড়ুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Hoffmann, M.; Arnold, J.; Duckworth, J. W.; Jhala, Y.; Kamler, J. F.; Krofel, M. (২০১৮)। "Canis aureus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন2018: e.T118264161A163507876। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2018-2.RLTS.T118264161A163507876.en । সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২  অজানা প্যারামিটার |errata= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "iucn" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  2. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; linnaeus1758 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  3. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৯৬
  4. ওজনক্র্যাফট, ডাব্লু.সি. (২০০৫)। "Order Carnivora"উইলসন, ডি.ই.; রিডার, ডি.এম। Mammal Species of the World: A Taxonomic and Geographic Reference (৩য় সংস্করণ)। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 574। আইএসবিএন 978-0-8018-8221-0ওসিএলসি 62265494 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা