পাঠারি রাজ্য
পাঠারি রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ ব্রিটিশ ভারতে এটি মধ্য ভারত এজেন্সির ভোপাল এজেন্সিতে অবস্থিত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি ছিলো।[১] রাজ্যটির রাজধানী পাঠারি শহরটি বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে বিদিশা জেলায় অবস্থিত। এটি ৭৮ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্রফল জুড়ে বিস্তৃত ছিলো এবং ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে এর জনসংখ্যা ছিলো ৬,২৯৩ জন৷[২]
পাঠারি রাজ্য पठारी | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৭৯৪–১৯৪৮ | |||||||
ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত পাঠারি রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
রাজধানী | পাঠারি | ||||||
আয়তন | |||||||
• ১৮৯২ | ৭৮ বর্গকিলোমিটার (৩০ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৮৯২ | ৬,২৯৩ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৭৯৪ | ||||||
১৯৪৮ | |||||||
| |||||||
বর্তমানে যার অংশ | বিদিশা জেলা মধ্যপ্রদেশ, ভারত |
ইতিহাস
সম্পাদনামোগল সেনাবাহিনীর আফগানি বরকজাই দলের এক পাঠান যোদ্ধা হায়দার মহম্মদ খান ১৭৯৪ খ্রিস্টাব্দে পাঠারি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন৷[৩] প্রাথমিকভাবে এটি মোগল সাম্রাজ্যের একটি জায়গীর ছিলো৷
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর এই পাঠারি রাজ্য ভারতীয় অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। স্বাধীন ভারতে প্রাথমিকভাবে ১৫ই জুন ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে এটিকে মধ্যভারত ও পরে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের পয়লা নভেম্বর তারিখে নবগঠিত মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে অংশীভূত করা হয়।[৪]
শাসকবর্গ
সম্পাদনাপাঠারি দেশীয় রাজ্যের শাসকগণ ধর্মীয়ভাবে মুসলিম ছিলেন এবং তার নবাব উপাধিতে ভূষিত হন৷ রাজ্যের শেষ নবাব মহম্মদ আবদার রহিম খান ভারতে যোগদানের সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেন৷
নবাব
সম্পাদনা- ১৭৯৪ – ১৮৫৯ হায়দার মহম্মদ খান
- ১৮৫৯ – ১৯১৩ আবদাল করিম খান
- ১৮৫৯ – ১৮৭২ ....-রাজ প্রতিনিধি
- ৩১ জুলাই ১৯১৩ – ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ মহম্মদ আবদার রহিম খান
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ David P. Henige (২০০৪)। Princely states of India: a guide to chronology and rulers। Orchid Press। পৃষ্ঠা 22। আইএসবিএন 978-974-524-049-0।
- ↑ Imperial Gazetteer of India, v. 20, p. 29.
- ↑ Princely States of India K-W
- ↑ "Pathari Princely State"। ১৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৫।