পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি
পাকিস্তান সামরিক একাডেমী হচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই একাডেমী পাকিস্তানের একজন রাষ্ট্রপতি তৈরি করে যিনি হচ্ছেন ১৯৬৪ সালে এই একাডেমী থেকে ২য় লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন পাওয়া পারভেজ মুশাররফ যিনি ১৯৯৮ সালে পূর্ণ জেনারেল হয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পাকিস্তান সামরিক একাডেমী পাকিস্তানের জাতীয় আদর্শ ধারণ করে আসছে এবং ১৯৬৫ সালের যুদ্ধ (ভারতের সঙ্গে) সহ কার্গিল যুদ্ধ সহ এই একাডেমী থেকে পাশ করা তরুণ কর্মকর্তা বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি অ্যাব্টাবাদের কাকুল গ্রামে অবস্থিত।[১] দুই বছর মেয়াদী মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এখানে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের কর্মকর্তা- প্রশিক্ষণার্থীরা যাদেরকে ক্যাডেট বলা হয়, নব্বইয়ের দশক থেকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাকিস্তান)-এর অধীন থেকে ক্যাডেটদের ডিগ্রী দেওয়া হচ্ছে যেটা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অধীনে।[২]
উর্দু: پاکستان ملٹری اکیڈمی | |
বাংলায় নীতিবাক্য | পুরুষদের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট প্রশিক্ষণ |
---|---|
ধরন | সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (মৌলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) |
স্থাপিত | আগস্ট ১৪, ১৯৪৮ |
অধিনায়ক | একজন মেজর জেনারেল |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৩,০০০ |
অবস্থান | , , পাকিস্তান |
পোশাকের রঙ | সবুজ, সাদা, লাল |
ওয়েবসাইট | https://pakistanarmedforces.com/pakistan-military-academy/ |
পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমী বা সংক্ষেপে পিএমএ ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ইংরেজ অফিসার দ্বারা, কর্নেল (পরে ব্রিগেডিয়ার) ফ্রান্সিস ইঙ্গাল ছিলেন এই বিদ্যাপীঠের প্রথম অধ্যক্ষ; পাকিস্তান রাষ্ট্রের জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর এই বিদ্যায়তনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার কথা থাকলেও তিনি অসুস্থ ছিলেন বিধায় খাজা নাজিমুদ্দিন (পাকিস্তানের ২য় গভর্নর-জেনারেল) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসেন।[৩] ১৯৫০ সালে স্বাধীন পাকিস্তানি ক্যাডেটদের প্রথম ব্যাচ কমিশন পেয়েছিলো এই একাডেমী থেকে।[৩] ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত মোট ৩০টি ব্যাচ কমিশন পেয়েছিলো।[৪] শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য এই একাডেমী মূলত হলেও ২০০০-এর দশকে নারীদের জন্য 'লেডি ক্যাডেট কোর্স' চালু হয় তবে সেটা দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ নয়, প্রশিক্ষণের মেয়াদ মাত্র ৪ মাস আর চাকরির মেয়াদ মাত্র ১০ বছর।[৫] এবং নারীরা পদাতিক, গোলন্দাজ, সাঁজোয়া এই ধরনের যুদ্ধ শাখায় কমিশন পাননা আর তাদেরকে আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক হতে হয় এবং তাদের কমিশন স্বল্পমেয়াদী, অন্য দিকে সেনা চিকিৎসা শাখার নারীরা এই একাডেমী থেকে প্রশিক্ষণ পাননা এবং চিকিৎসক নারীদের কমিশন দীর্ঘমেয়াদী।[৬] পুরুষদের দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে আড়াই বছরও হয়েছে, আবার ১৯৬৫ সালের ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে ক্যাডেটদেরকে ৯ মাসে (বা কোনো কোনো ব্যাচের ক্ষেত্রে ৬ মাস) কমিশন দেওয়া হয়েছে, এছাড়াও পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমীর ওয়ার কোর্সের (বিশেষ প্রশিক্ষণ) প্রশিক্ষণ ছিলো ৬ মাস।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "PMA is Allma Mater of Officers of Pakistan Army"। ২১ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "The Affiliation of NUST with PMA"। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "History of Brigadier Ingall"। Defence Journal। ১৪ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ "Pakistan Military Academy – Cadets Training"। Pakistanarmy.gov.pk। জানুয়ারি ২৫, ১৯৪৮। মে ৭, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ৩, ২০১১।
- ↑ "PMA passing out parade held"। pakistantoday.com.pk। ৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "Women in Pak Military: A story of feminine valour in pictures"। pakistatoday.com.pk। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাপাকিস্তান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |