শেখ রাসেল সেনানিবাস
শেখ রাসেল সেনানিবাস (পদ্মা সেনানিবাস, মাওয়া সেনানিবাস, জাজিরা সেনানিবাস নামেও পরিচিত) হলো বাংলাদেশের শরীয়তপুরের জাজিরায় অবস্থিত একটি সেনানিবাস।[১] মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া ও শরীয়তপুর জেলার জাজিরা নিয়ে এই সেনানিবাস গঠিত। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার জন্য এই সেনানিবাস নির্মাণ করা হয়েছে।[২] বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই সেনানিবাসের নাম শেখ রাসেলের নামে রেখেছে।[৩]
শেখ রাসেল সেনানিবাস | |
---|---|
শরীয়তপুর | |
ধরন | সেনানিবাস |
ভবন/স্থাপনা/ক্ষেত্রের তথ্য | |
পরিচালক | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
নিয়ন্ত্রক | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ মাওয়া এবং জাজিরা প্রান্তে দুটি অস্থায়ী সেনানিবাস স্থাপন করা হয়।[৪] পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২৯ মার্চ তারিখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থায়ী সেনানিবাসের উদ্বোধন করেন।[৫]
সেনানিবাসটি ২৩৫ একর জমি জুড়ে অবস্থিত। এই সেনানিবাসে তিনটি প্রধান ইউনিট রয়েছে যা ১৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য গঠিত ৯ পদাতিক ডিভিশনের অধীনে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড এই সেনানিবাসে রয়েছে।[৬][৭]
ইউনিট সমূহ
সম্পাদনা- ৯৯তম কম্পোজিট ব্রিগেড
- ১x যান্ত্রিক পদাতিক ব্যাটালিয়ন
- ১x আকাশ প্রতিরক্ষা গোলান্দাজ (আর্টিলারি) রেজিমেন্ট
- ১x রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার্স ব্যাটালিয়ন
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৯ মার্চ ২০২২। ৩১ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২২।
- ↑ "শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৯ মার্চ ২০২২।
- ↑ "রাসেলের ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে আর্মি অফিসার হবে: প্রধানমন্ত্রী"। দৈনিক যুগান্তর। ২৯ মার্চ ২০২২।
- ↑ "স্বপ্নজয়ের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী"। দৈনিক ভোরের কাগজ। ২৪ জুন ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ "শেখ রাসেল সেনানিবাস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী"। দৈনিক সমকাল। ২৯ মার্চ ২০২২।
- ↑ "শেখ রাসেল সেনানিবাস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৯ মার্চ ২০২২।
- ↑ "'শেখ রাসেল সেনানিবাস' এর শুভ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৯ মার্চ ২০২২।