পদ্মপ্রিয়া জনকীরামন

ভারতীয় অভিনেত্রী

পদ্মপ্রিয়া জনকীরামন (জন্ম: ২৮শে ফেব্রুয়ারি ১৯৮০; শুধুমাত্র পদ্মপ্রিয়া নামে অধিক পরিচিত) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং মডেল। তিনি একজন প্রশিক্ষিত ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পী[১] ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তেলুগু ভাষার চলচ্চিত্র সিনু বাসন্তী লক্ষ্মী-এ অভিনয় করার মাধ্যমে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেছিলেন। অতঃপর তিনি বেশ কয়েকটি মালয়ালমতামিল ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তিনি প্রায় ৩০টি মালয়ালম চলচ্চিত্রে, ৯টি তামিল চলচ্চিত্রে, ২টি বাংলা চলচ্চিত্রে, ৩টি তেলুগু চলচ্চিত্রে, ২টি কন্নড় চলচ্চিত্রে এবং ২টি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেছেন। তিনি কাঝচা, করুতা পক্ষিকল, পাঝাসসি রাজা নামক মালায়ালম চলচ্চিত্র এবং থাভামাই থাভামিরুন্ধুমিরুগম নামক তামিল চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে।

পদ্মপ্রিয়া
২০০৮ সালে পদ্মপ্রিয়া
জন্ম
পদ্মপ্রিয়া জনকীরামন

(1980-02-28) ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ (বয়স ৪৪)
পেশা
কর্মজীবন২০০৪ – বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীজেসমিন শাহ (বি. ২০১৪)

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

পদ্মপ্রিয়া জনকীরামন ১৯৮০ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি তারিখে ভারতের দিল্লিতে একটি তামিল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা জানকীরামন ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার ছিলেন। তাঁর মায়ের নাম বিজয়া। পদ্মপ্রিয়া পাঞ্জাবে বড় হয়ে উঠেছিলেন।[১][২] তিনি তাঁর বাবা-মায়ের কাছেই তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছেন।

তিনি অন্ধ্র প্রদেশের সেকেন্দ্রাবাদের তিরুমলাগিরির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় হতে তাঁর স্কুল জীবন সম্পন্ন করেছিলেন।[১] পরবর্তীতে তিনি আলওয়ালের লয়োলা একাডেমীতে পড়াশোনা করেছিলেন, যেখান থেকে তিনি বি কম ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন।[৩] এরপরে তিনি হরিহরের কেআইএমএস থেকে অর্থায়ন (ফিনান্স) নিয়ে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তারপর তিনি জিই ক্যাপিটালের হয়ে (ঝুঁকি পরামর্শদাতা) বেঙ্গালুরুগুরুগ্রামে কাজ করছিলেন।[২] জিই ক্যাপিটালের পরে তিনি বেঙ্গালুরুতে সিম্ফনির সাথে সংযুক্ত ছিলেন। তাঁর অবসর সময়ে তিনি মডেলিংয়ের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন, যা পরবর্তীকালে তাঁকে চলচ্চিত্র জগত এবং অভিনয়ের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। তিনি ২০০১ সালে মিস অন্ধ্র প্রদেশ-এর খেতাব জয় করেছিলেন। অন্ধ্র প্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে পদ্মপ্রিয়া একটি সংগীত অ্যালবামে কাজ করেছিলেন।[৪]

তিনি ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির পরিবেশ আইন বিভাগ হতে একটি স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা[৫] এবং নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ হতে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছিলেন।[৬]

কর্মজীবন সম্পাদনা

পদ্মপ্রিয়া জনকীরামন ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তেলুগু চলচ্চিত্র সীনু বসন্তি লক্ষ্মী-তে (যেটি তামিল চলচ্চিত্র কাসি-এর পুনর্নির্মাণ ছিল, যা আবার মালায়ালম চলচ্চিত্র বসন্থিয়ুম লক্ষমিয়ুম পিন্নে জানুম-এর পুনর্নির্মাণ) অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পদার্পণ করেছেন। তিনি এই চলচ্চিত্রে একজন যৌন নিপীড়িত এবং অন্ধ দরিদ্র বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পদ্মপ্রিয়া বলেছেন, তিনি "বন্ধুত্বের স্বার্থে" এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছিলেন।[৪]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

পদ্মপ্রিয়া ২০১৪ সালের ১২ই নভেম্বর তারিখে মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জেসমিন শাহের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন; তাঁর স্বামী জেসমিন শাহ গুজরাতের বাসিন্দা,ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির সদর দফতর এবং আবদুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাবে দক্ষিণ এশিয়ার কর্মপন্থা প্রধান (পলিসি হেড) হিসাবে কাজ করছেন।[৭] উভয়ই কলম্বিয়া এবং নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন এবং সেসময়য়ই তাঁরা একে অপরের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Multi-faceted artiste"। Chennai, India: The Hindu। ২২ এপ্রিল ২০০৯। ২৫ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০০৯ 
  2. "Padmapriya – "I have a soft corner for Siddharth""। Behindwoods। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০০৯ 
  3. "Padma Priya"। primetimeprism.com। ১৯ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০০৯ 
  4. Padmapriya: An Army Kid Turned Actor – Trivandrum News ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে. Yentha.com (6 January 2012). Retrieved on 31 March 2012.
  5. "Linkedin Credentials" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০২০ 
  7. "Actress Padmapriya gets married"। behindwoods.com। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৪ 
  8. "Southern actress Padmapriya gets hitched"। Zee News। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা