নেপিডো

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র মিয়ানমারের (বার্মা) রাজধানী নগরী

নেপিডো[টীকা ১] (বর্মী: နေပြည်တော်; উচ্চারিত: [nèpjìdɔ̀]) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র মিয়ানমারের রাজধানী শহর। "নেপিডো" শব্দের অর্থ "রাজাদের আবাসভূমি"।[] ২১শ শতকের শুরুর দিকে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সমভূমি অঞ্চলে দেশের নতুন প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে শহরটিকে প্রতিষ্ঠা ও নির্মাণ করা হয়। ৬ নভেম্বর ২০০৫ সালে ইয়াঙ্গুনের পরিবর্তে নেপিডোকে মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী স্থাপন করা হয়। ২০০৬ সালের ২৭ মার্চ এর আনুষ্ঠানিক নাম ঘোষণা করা হয়। []

নেপিডো
နေပြည်တော်
এনপিটি
রাজধানী
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: উপ্পাতাসান্তি প্যাগোডা, পানি ফোয়ারা উদ্যান, মন্ত্রণালয় এলাকা, জেমস জাদুঘর, ইউনিয়ন সংসদ
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: উপ্পাতাসান্তি প্যাগোডা, পানি ফোয়ারা উদ্যান, মন্ত্রণালয় এলাকা, জেমস জাদুঘর, ইউনিয়ন সংসদ
নেপিডো মিয়ানমার-এ অবস্থিত
নেপিডো
নেপিডো
মিয়ানমারের নেপিডোর অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ১৯°৪৪′৫১″ উত্তর ৯৬°০৬′৫৪″ পূর্ব / ১৯.৭৪৭৫০° উত্তর ৯৬.১১৫০০° পূর্ব / 19.74750; 96.11500
দেশ মিয়ানমার
অঞ্চলনেপিডো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল []
উপজেলা৮টি শহরতলী
স্থাপন২০০৫
অন্তর্ভুক্তি২০০৮
আসননেপিডো সিটি হল
সরকার[]
 • শাসকনেপিডো উন্নয়ন কমিটি
 • চেয়ারম্যানMyo Aung (মেয়র)
আয়তন[]
 • মোট৭,০৫৪.৩৭ বর্গকিমি (২,৭২৩.৭১ বর্গমাইল)
উচ্চতা১১৫ মিটার (৩৭৭ ফুট)
জনসংখ্যা []
 • মোট৯,২৪,৬০৮
 • জনঘনত্ব১৩১.১/বর্গকিমি (৩৩৯.৫/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলএমএমটি (ইউটিসি+০৬:৩০)
এলাকা কোড০৬৭

ইতিহাস

সম্পাদনা

২০০২ সালে পিনমানা শহরের কাছে, দেশের প্রাক্তন রাজধানী রেঙ্গুন বা ইয়াঙ্গুন থেকে ৩২০ কিলোমিটার উত্তরে নেপিডো শহরের নির্মাণকাজ শুরু হয়।[] মিয়ানমার সরকার ২০০৫ সালে প্রথমে পিনমানা শহরে, পরে নেপিডো শহরে তার প্রধান কার্যালয়গুলি সরিয়ে নেয়। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে নেপিডোকে মিয়ানমারের রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হয়। শুরুর দিকে নেপিডোতে শুধু কিছু সরকারি ভবন, বিলাসবহুল হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও একটি বিমানবন্দর ছাড়া আর তেমন কিছুই ছিল না। এখানে মূলত সরকারি কর্মচারীরা বাস করতেন। তাদের পরিবার অবশ্য রেঙ্গুনেই বাস করত, কেননা নেপিডোতে বিপণী বিতান, রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য সেবা তেমন সুলভ ছিল না। তবে শহরে সার্বক্ষণিক অব্যাহতভাবে বিদ্যুৎসেবা পাওয়া যায়, যা মিয়ানমারের অন্য শহরের জন্য বিরল। নেপিডোর বিমানবন্দরটি মূলত সামরিক বাহিনীদের সদস্যদের পরিবহনের কাজেই ব্যবহৃত হয়। শহরটি রেঙ্গুন থেকে সড়কপথে ও রেলপথে (পিনমানা হয়ে) সংযুক্ত। ২০১২ সালে শহরটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়।[]

নেপিডো শহরটি সম্পূর্ণরূপে পূর্বপরিকল্পিত একটি শহর, অনেকটা অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা ও ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়া শহর দুইটির মত। এটি নেপিডো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Naypyidaw Union Territory) নামক একটি স্বতন্ত্র প্রশাসনিক বিভাগে অবস্থিত।[] এখানে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের বাস। প্রায় ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই নগরীটি বিশাল, এমনকি আকারে এটি যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন শহরেরও চার গুণ বড়, কিন্তু এর জনঘনত্ব খুবই কম (প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ১৩১ জন)।[]

নগর পরিষেবা

সম্পাদনা
 
নেপিডোতে অবস্থিত সাফারি পার্ক

নেপিডোতে মিয়ানমারের সরকারের কার্যালয়সমূহ, আইনসভা, সর্বোচ্চ আদালত, রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ, মিয়ানমারের মন্ত্রীসভার সরকারি বাসভবন, মিমিয়ানমারের মন্ত্রণালয়সমূহের সদর দফতর ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। উপ্পাসান্তি প্যাগোডা বা শান্তি প্যাগোডা শহরটির একটি দর্শনীয় স্থান।

পরিবহন

সম্পাদনা

নেপিডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শহরের প্রধান বিমানবন্দর।

  1. এই বর্মী ভাষার স্থাননামটির বানানে সঠিক বর্মী উচ্চারণের সবচেয়ে কাছাকাছি ও সহজপাঠ্য প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "တိုင်းခုနစ်တိုင်းကို တိုင်းဒေသကြီးများအဖြစ် လည်းကောင်း၊ ကိုယ်ပိုင်အုပ်ချုပ်ခွင့်ရ တိုင်းနှင့် ကိုယ်ပိုင်အုပ်ချုပ်ခွင့်ရ ဒေသများ ရုံးစိုက်ရာ မြို့များကို လည်းကောင်း ပြည်ထောင်စုနယ်မြေတွင် ခရိုင်နှင့်မြို့နယ်များကို လည်းကောင်း သတ်မှတ်ကြေညာ"Weekly Eleven News (বর্মী ভাষায়)। ২০ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২৩ 
  2. "News Briefs"The Myanmar Times। Myanmar Consolidated Media। ২০ মার্চ ২০০৬। ২৭ জুন ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০০৬ 
  3. Pedrosa, Veronica (২০ নভেম্বর ২০০৬)। "Burma's 'seat of the kings'"Al Jazeera। ২৩ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০০৬ 
  4. Department of Population, Myanmar.
  5. "An Introduction to the Toponymy of Burma (October 2007) – Annex A" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ জুলাই ২০১৩ তারিখে p. 8, The Permanent Committee on Geographic Names (PCGN), United Kingdom
  6. Dulyapak Preecharushh। "Myanmar's New Capital City of Naypyidaw"Engineering Earth। Academia.edu: 1021–1044। ১ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০২০ 
  7. Marshall Cavendish Corporation (2007). World and Its Peoples: Eastern and Southern Asia. Marshall Cavendish. p. 650.
  8. "This 'empty' city is more than four times the size of London"indy100 (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ জুন ২০১৭। ১০ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৭ 
নেপিডো
পূর্বসূরী
ইয়াঙ্গুন
মিয়ানমারের রাজধানী
৬ জানুয়ারি ২০০৫ – বর্তমান
উত্তরসূরী