নেপালের প্রদেশ
নেপালের প্রদেশগুলো (নেপালি: नेपालका प्रदेशहरू; নেপালকা প্রদেশাহরু) ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নেপালের নতুন সংবিধানের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত হয়। বিদ্যমান জেলাগুলোকে মোট ৭টি প্রদেশে ভাগ করা হয়।
নেপালের প্রদেশসমূহ नेपालका प्रदेशहरू নেপালকা প্রদেশাহরু | |
---|---|
শ্রেণি | প্রদেশ |
অবস্থান | যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী নেপাল |
প্রতিষ্ঠার তারিখ |
|
সংখ্যা | ৭ |
জনসংখ্যা | ক্ষুদ্রতম: কর্ণালী, ১,৫৭০,৪১৮ বৃহত্তম: প্রদেশ নং ৩, ৫,৫২৯,৪৫২ |
আয়তন | ক্ষুদ্রতম: প্রদেশ নং ২, ৯,৬৬১ বর্গকিলোমিটার (৩,৭৩০ মা২) বৃহত্তম: কর্ণালী, ২৭,৯৮৪ বর্গকিলোমিটার (১০,৮০৫ মা২) |
সরকার |
|
উপবিভাগ |
বর্তমান এই প্রাদেশিক ব্যবস্থার পূর্বে নেপালকে ১৪টি প্রশাসনিক অঞ্চলে ভাগ করা হতো। এই প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোকে আবার ৫টি বিকাস ক্ষেত্রে সমন্বিত করা হতো। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে নেপালে এই প্রশাসনিক ব্যবস্থা রদ করে নতুন প্রাদেশিক কাঠামো চালু করা হয়।
ইতিহাস
সম্পাদনানেপালের নতুন সংবিধানের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিদ্যমান জেলাগুলোকে বিন্যস্ত করে সাতটি প্রদেশ গঠিত হয়। এর মধ্যে নওয়ালপরাসী ও রুকুম জেলাকে ভেঙে দুটি ভিন্ন প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রতিটি জেলাতেই আরও প্রশাসনিক বিভাগ বিদ্যমান। নেপালে মোট ৬টি মহানগর, ১১টি উপ-মহানগর, ২৭৬টি নগরপালিকা (পৌরসভা) ও ৪৬০টি গ্রামপালিকা (বা গাওপালিকা; গ্রাম প্রশাসন) রয়েছে।[১]
২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে সাতটি প্রদেশের অস্থায়ী সদর দপ্তর ঘোষণা করা হয়।[২] সংবিধানের ২৯৫(২) ধারা মোতাবেক, প্রদেশের স্থায়ী নাম সংশ্লিষ্ট প্রদেশ সভার সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে নির্ধারিত হবে।
প্রশাসন
সম্পাদনাপ্রাদেশিক সরকার
সম্পাদনাপ্রদেশসমূহের প্রশাসনিক ক্ষমতা সংবিধান ও আইন অনুসারে প্রাদেশিক মন্ত্রিপরিষদের ওপর ন্যস্ত। জরুরি অবস্থায় অথবা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রবর্তনকালীন প্রদেশের প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদেশপ্রধানের ওপর ন্যস্ত হবে।
প্রতিটি প্রদেশেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত প্রদেশ প্রধান বা গভর্নর রয়েছে। সংবিধান ও আইন অনুসারে সুনির্দিষ্ট ক্ষমতা ও দায়িত্ব তিনি পালন করেন। গভর্নর প্রদেশসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়।
প্রদেশ সভা
সম্পাদনাপ্রদেশসভা বা প্রাদেশিক আইনসভা এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা।[৩] প্রদেশসভার মেয়াদ পাঁচ বছর।
প্রদেশ সভার নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ (অন্যান্য দলের সম্মিলিত আসনের চেয়ে বেশি) আসনে বিজয়ী দল প্রদেশের সরকার গঠন করে। কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে জোট সরকার গঠন করতে পারে।
তালিকা
সম্পাদনাপ্রদেশ | রাজধানী | গভর্নর | মুখ্যমন্ত্রী | জেলার সংখ্যা | আয়তন (কিমি²) | জনসংখ্যা (২০১১) | ঘনত্ব (/কিমি²) | মানচিত্র |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
কোশি প্রদেশ | বিরাটনগর (অস্থায়ী) | প্রফেসর ড. গোবিন্দ বাহাদুর তুমবাহাং | শেরধন রাই | ১৪ | ২৫,৯০৫ | ৪,৫৩৪,৯৪৩ | ১৭৫ | |
মধেশ প্রদেশ | জনকপুর (অস্থায়ী) | রত্নেশ্বর লাল কায়স্থ | মোহাম্মদ লালবাবু রাউত | ৮ | ৯,৬৬১ | ৫,৪০৪,১৪৫ | ৫৫৯ | |
বাগমতী প্রদেশ | হেটোউডা (অস্থায়ী) | অনুরাধা কৈরালা | ডরমনি পৌডেল | ১৩ | ২০,৩০০ | ৫,৫২৯,৪৫২ | ২৭২ | |
গণ্ডকী প্রদেশ | পোখরা | বাবুরাম কন্বর | পৃথ্বী সুব্বা গুরুং | ১১ | ২১,৫০৪ | ২,৪০৩,৭৫৭ | ১১২ | |
লুম্বিনী প্রদেশ | বুটওয়াল (অস্থায়ী) | উমাকান্ত ঝা | শঙ্কর পোখারেল | ১২ | ২২,২৮৮ | ৪,৪৯৯,২৭২ | ২১৯ | |
কর্ণালী প্রদেশ | বীরেন্দ্রনগর | দুর্গা কেশর খানাল | মহেন্দ্র বাহাদুর শাহী | ১০ | ২৭,৯৮৪ | ১,৫৭০,৪১৮ | ৪১ | |
সুদূরপশ্চিম প্রদেশ | গোদাবরী | মোহন রাজ মল্ল | ত্রিলোচন ভট্ট | ৮ | ১৯,৫৩৯ | ২,৫৫২,৫১৭ | ১৩০ | |
নেপাল | কাঠমান্ডু | রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী |
প্রধানমন্ত্রী খড়্গ প্রসাদ শর্মা ওলি |
৭৭ | ১৪৭,১৮১ | ২৬,৪৯৪,৫০৪ | ১৮০ |
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Kathmandu Post (২০১৭)। "744 new local units come into effect"। Kanntipur Publications Pvt. Ltd.।
- ↑ "Govt fixes temporary state HQs, guvs"। Kathmandu: Kathmandu Post। ২০১৮। ২০১৮-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৩।
- ↑ "CA approves ceremonial prez, bicameral legislature"। Kanptipur Media Group। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৭।
Provincial parliaments will be unicameral. "The CA also approved a mixed electoral system for parliamentary election with 60 percent directly elected and 40 percent proportionally elected."
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |