নূরুল হক ভূঁইয়া

বাংলাদেশী অধ্যাপক ও ভাষা আন্দোলনের কর্মী

নূরুল হক ভূঁইয়া ছিলেন একজন বাঙালি রসায়নের অধ্যাপক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি তমদ্দুন মজলিসের একজন প্রথম সারির নেতা ছিলেন এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় গঠিত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রথম সমন্বয়কারী ছিলেন।[]

নূরুল হক ভূঁইয়া
প্রতিষ্ঠানতমদ্দুন মজলিস

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

নূরুল হক ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের কুলঘেষা গোবিন্দপুর গ্রামে ১৯১৯ সালের ৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া।

নূরুল হক ভূঁইয়া গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৪৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে বিএসসি (অনার্স) এবং ১৯৪৫ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ভাষা আন্দোলন

সম্পাদনা

তিনি তমদ্দুন মজলিসের একজন প্রবীণ নেতা এবং ভাষা আন্দোলনের সময় গঠিত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের প্রতিষ্ঠাতা প্রভোস্ট ছিলেন। তিনি ১৯৪৭ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

১৯৪৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত রসায়ন বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৭২ সালে ফলিত রসায়ন বিভাগ সৃষ্টি করা হলে তিনি সেই বিভাগে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অধ্যাপক হিসাবে অবসর গ্রহন করেন। তবে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[] পাটের অগ্নিরোধক মিশ্রন এবং দ্রুত গতিবেগ সম্পন্ন বিমান ও অন্যান্য ইঞ্জিনের প্রয়োগযোগ্য ‘সলিড লুব্রিকেন্ট’ জাতীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃৃতি লাভ করেন।

পারিবারিক জীবন

সম্পাদনা

তার স্ত্রীর নাম ফাতেমা খাতুন। তিন পুত্র চার কন্যার জনক। নূরুল ইসলাম ১৯৯৮ সালের ২রা এপ্রিল বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বশীর আল-হেলাল (২০০৩)। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। ঢাকা: আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ২২২। আইএসবিএন 984-401-523-5 
  2. "সোনারগাঁয়ে ভাষা সংগ্রামী নূরুল হকের নামে সড়ক দাবি"সমকাল। ৫ মার্চ ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২২