নুরুননাহার ফয়জননেসা

নুরুননাহার ফয়জননেসা (জন্ম: ১৯৩১ — মৃত্যু: ৩১ মার্চ, ২০০৪) বাংলাদেশের নারী শিক্ষাবিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত সিন্ডিকেট এবং জাতীয় বেতন কমিশনের প্রথম নারী সদস্য []

নুরুননাহার ফয়জননেসা
জন্ম১৯৩১
মৃত্যু৩১ মার্চ, ২০০৪
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
মাতৃশিক্ষায়তনচট্টগ্রাম সরকারি কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণশিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত সিন্ডিকেট এবং জাতীয় বেতন কমিশনের প্রথম নারী সদস্য
দাম্পত্য সঙ্গীঅধ্যাপক সৈয়দ মকসুদ আলী
সন্তানসাদিয়া আফরিন মল্লিক

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

সম্পাদনা

নুরুননাহার ফয়জননেসার জন্ম ১৯৩১ সালে। তার বাবার নাম খান সাহেব কাজী সদরুল। তিনি কলকাতার শাখাওয়াত মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয় এবং ভিক্টোরিয়া ইন্সস্টিটিউটে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ১৯৪৯ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পূর্ণাঙ্গ বৃত্তি পেয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। []

কর্মজীবন

সম্পাদনা

১৯৬৯ সালে নুরুননাহার ফয়জননেসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুলে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিচার্স (আইইআর) বিভাগে যোগ দেন এবং ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রভোস্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন নুরুননাহার ফয়জননেসা। দীর্ঘ কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি রেডিও বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, পে কমিশন, বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেন্টার, ছায়ানট পর্ষদ, এশিয়ান রিজিওনাল পপুলেশন অ্যাসোসিয়েশন, রোকেয়া শাখাওয়াত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বেগম রোকেয়া প্রবীন আবাসসহ নানা সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।[] এছাড়া তিনি কর্মজীবী নারীদের সন্তানদের লালন-পালন কেন্দ্র ছায়ানীড়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।[]

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

নুরুননাহার ফয়জননেসা’র স্বামী অধ্যাপক সৈয়দ মকসুদ আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার কন্যা সাদিয়া আফরিন মল্লিক সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত আছেন।[]

পুরস্কার ও সম্মাননা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহি:সংযোগ

সম্পাদনা