বেগম রোকেয়া পদক
বেগম রোকেয়া পদক নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার অবিস্মরণীয় অবদান স্বীকৃতি উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের একটি রাষ্ট্রীয় পদক। প্রতিবছর ডিসেম্বরের ৯ তারিখ বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকারি ভাবে এই পদক প্রদান করা হয়।[১]
| |
---|---|
প্রদানের কারণ | নারী আন্দোলন |
অবস্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুরস্কারদাতা | বাংলাদেশ সরকার |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৯৯৫ |
সর্বশেষ পুরস্কৃত | ২০২২ |
প্রবর্তনের ইতিহাস
সম্পাদনানারী কল্যাণ সংস্থা ১৯৯১ সাল থেকে এই নামের একটি পদক প্রদান করা শুরু করে। সরকারি ভাবে ১৯৯৬ সাল থেকে এই পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কৃত প্রত্যেককে এককালীন চার লক্ষ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণ পদক এবং একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়। [২]
পদক লাভের বিভিন্ন ধাপসমূহ
সম্পাদনাপ্রতি বছর ৩০শে জুন তারিখের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পূর্ববর্তী বছরের জন্য মনোনয়ন আহবান করে। ১৫ই অক্টোবর তারিখের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাছাই কমিটি পুরস্কার পাবার উপযুক্ত মহিলাদের নামের তালিকা জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্তত মন্ত্রিসভা কমিটির বিবেচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করে। প্রতি বৎসর ৯ ডিসেম্বর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘‘বেগম রোকেয়া দিবস’’ অনুষ্ঠানে এই পদক প্রদান করা হয়।[২]
পদক বিজয়ীদের নাম
সম্পাদনা- ১৯৯৫ - শামসুন নাহার মাহমুদ (মরণোত্তর)[৩]
- ১৯৯৬ - সুফিয়া কামাল, নীলিমা ইব্রাহিম[৩]
- ১৯৯৭ - নূরজাহান বেগম
- ১৯৯৯ - এঞ্জেলা গোমেজ
- ২০০১ - হেনা দাস, মালিহা খাতুন ও বেগজাদী মাহমুদা নাসির
- ২০০২ - জোহরা বেগম কাজী
- ২০০৩ - তৈয়বা মজুমদার, মালেকা আশরাফ
- ২০০৪ - দিলারা চৌধুরী, হুসনা বানু খানম
- ২০০৫ - রোয়েয়া মান্নান
- ২০০৭ - লতিফা আকন্দ, হোসনে আরা বেগম
- ২০০৮ - সুলতানা সারওয়াত আরা জামান, নাসরিন পারভিন হক (মরণোত্তর)
- ২০০৯ - রাজিয়া হোসেন, মমতাজ হোসেন
- ২০১০ - মেহের কবীর, আয়েশা জাফর
- ২০১১- বেগম মেহেরুন্নেসা খাতুন, হামিদা খানম (মরণোত্তর)
- ২০১২- অধ্যাপক মাহফুজা খানম ও সৈয়দা জেবুন্নেসা হক
- ২০১৩ - ঝর্ণাধারা চৌধুরী ও অধ্যাপক হামিদা বানু শোভা
- ২০১৪ - মমতাজ বেগম এবং গোলাপ বানু
- ২০১৫ - বিবি রাসেল এবং তাইবুন নাহার রশিদ (মরণোত্তর)
- ২০১৬ - আরোমা দত্ত এবং বেগম নূরজাহান
- ২০১৭ - মাজেদা শওকত আলী, বেবি মওদুদ (মরণোত্তর), সুরাইয়া রহমান, শোভা রানী ত্রিপুরা এবং মাসুদা ফারুক রত্না
- ২০১৮ - জিন্নাতুননেসা তালুকদার, জোহরা আনিস, শিলা রায়, রমা চৌধুরী (মরণোত্তর) এবং রোকেয়া বেগম (মরণোত্তর)
- ২০১৯ - বেগম সেলিনা খালেক, অধ্যক্ষ শামসুন নাহার, ড. নুরুননাহার ফয়জননেসা (মরণোত্তর), পাপড়ি বসু এবং বেগম আখতার জাহান[৪]
- ২০২০ - প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, কর্নেল (ডাঃ) নাজমা বেগম,এসপিপি,এমপিএইচ, মঞ্জুলিকা চাকমা, বেগম মুশতারী শফি, ফরিদা আক্তার [৫]
- ২০২১ - অধ্যাপিকা হাসিনা জাকারিয়া বেলা, অর্চনা বিশ্বাস, শামসুন্নাহার রহমান পরাণ (মরোণোত্তর), অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এবং ড. সারিয়া সুলতানা।[৬]
- ২০২২ - রহিমা খাতুন, প্রফেসর কামরুন নাহার বেগম, ফরিদা ইয়াসমিন, নাছিমা বেগম এবং ড. আফরোজা পারভীন।[৭]
- ২০২৩- খালেদা একরাম (মরণোত্তর), ডা. হালিদা হানুম আখতার, কামরুন্নেসা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর), রণিতা বালা এবং নিশাত মজুমদার।[৮][৯]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলি (১৫/০৫/২০১৭)" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ "বেগম রোকেয়া পদক (সংশোধিত) নীতিমালা ২০১৭"। https://mowca.gov.bd। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ ক খ নীলিমা ইব্রাহিম ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ আগস্ট ২০১৩ তারিখে, গুণীজন আমাদের প্রেরণার উৎস। দ্য ডেইলি স্টার, প্রকাশিত হয়েছে ১৮ই জুন ২০০৬।
- ↑ "বেগম রোকেয়া পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "রোকেয়া পদক পেলেন পাঁচজন"। দৈনিক প্রথম আলো। ০৯ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ‘বেগম রোকেয়া পদক’ পেলেন ৫ বিশিষ্ট নারী, বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
- ↑ বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন ৫ নারী, কালের কণ্ঠ, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
- ↑ ডেস্ক, নিউজ। "পাঁচ নারীকে রোকেয়া পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী"। bdnews24। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৫।
- ↑ "৫ কৃতি নারীকে বেগম রোকেয়া পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৫।