নীল টেংরাকাঁটা
নীল টেংরাকাঁটা বা নীল হরগজা বা হরকুচ, কটকি (বৈজ্ঞানিক নাম: Acanthus ilicifolius) (ইংরেজি: Sea Holly বা Holy Mangrove) বাদাবনের ঝোপ ধরনের গাছ বা গুল্ম। এটি একটি গৌণ বাদাগাছ।
নীল টেংরাকাঁটা | |
---|---|
Acanthus ilicifolius | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Asterids |
বর্গ: | Lamiales |
পরিবার: | Acanthaceae |
গণ: | Acanthus |
প্রজাতি: | A. ilicifolius |
দ্বিপদী নাম | |
Acanthus ilicifolius L. |
বিবরণ
সম্পাদনানীল টেংরাকাঁটার শাখা থেকে বেরোনো ছোট্ট শীষের মাথায় ফুল ফোটে। ফুলের রঙ নীল ও পাতা গাঢ় সবুজ। এদের পাতা খুব শক্ত । হরগজা ফুলে প্রচুর উৎকৃষ্ট মানের মধু হয়। নিজেকে রক্ষা করার জন্য গাছগুলোর পাতার গোড়ায় ও অগ্রভাগে কাঁটা থাকে। হরগজার ফুল থেকে ক্যাপসুলের মতো ফল হয়। এর কাটা অনেক শক্ত।
অন্যান্য গাছ
সম্পাদনাএকান্থাসি পরিবারের অন্যান্য প্রজাতি সাধারণ পরিবেশেও বেড়ে উঠতে পারে। বেড়ে ওঠার পরিবেশ বিবেচনায় একে লালবাদার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। লালবাদা মানে হলো উদ্ভিদ-প্রজাতিটি অতিরিক্ত লবণাক্ততায় বেড়ে উঠতে ও টিকে থাকতে পারে। এর কাণ্ড অশক্ত। তাই এ গাছ কিছুটা সোজা হয়ে, লতার মত বা চারপাশে ছড়িয়ে বেড়ে উঠতে পারে। এই গাছ সাধারণত উপকূলীয় হ্রদ, ডোবা, জলাভূমি ও সমুদ্র সৈকতে এ গাছগুলো জন্মায়।
বৈশ্বিক বিস্তৃতি
সম্পাদনানীল টেংরাকাঁটা অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, পূর্ব তিমুর, ভিয়েতনাম[১] এবং প্যাসিফিক দ্বীপে পাওয়া যায়।[২][৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ http://www.iucnredlist.org/details/168780/0
- ↑ Barker, R. M. (১৯৮৬)। "A taxonomic revision of Australian Acanthaceae" (পিডিএফ)। Journal of the Adelaide Botanic Gardens। 9: (1–) 64–75 (–286)। ৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৩।
- ↑ টেমপ্লেট:AustTRFPK6.1