নিরাপদ রায় ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের বিপ্লবী।

নিরপদ রায় ১৮৯৪ সালে নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার বাগানছড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম রজনীকান্ত রায়। ছাত্রাবস্থায় নিজ গ্রামের কার্তিক চন্দ্র দত্তের সুবাদে বিপ্লবী নায়ক বারীণ ঘোষের সংস্পর্শে আসেন তিনি। তিনি গুপ্ত সমিতিতে যোগ দেন এবং মুরারিপুকুর বিপ্লবী কেন্দ্রের সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন।

বিপ্লবী জীবন এবং কারাগারে যাবজ্জীবন

সম্পাদনা

মুরারিপুকুরে তল্লাশির সময় ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ গোলাবারুদ, অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে। এই ঘটনাই আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলার সূচনা করে। আলিপুর বোমা মামলায় নিরাপদ রায় সহ আরও অনেক বিপ্লবীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা কারারুদ্ধ হন এবং তিনি এবং ৩৯৭ জন বাঙালি বিপ্লবী বন্দী আন্দামানের সেলুলার জেলে অকল্পনীয় নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের মুখোমুখি হন। কঠোর পরিস্থিতি তাঁদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলেছিল। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে অবশেষে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং তাঁর গ্রামে ফিরে আসেন।[]

পরবর্তী জীবন

সম্পাদনা

সুভাষচন্দ্র বসু ম্যাট্রিক পাস করার পর নদীয়ায় তাঁর বন্ধু ও বিপ্লবী নায়ক হেমন্ত কুমার সরকারের পৈতৃক বাড়িতে যান। সুভাষ চন্দ্র বসু রায়ের আশীর্বাদ চেয়েছিলেন, যিনি তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, "বড় হয়ে দেশের জন্য কাজ করো এবং নিজের শিকড়কে কখনও ভুলে যাবে না।

নিরাপদ রায় ১৯২১ সালে পরলোকগমন করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. https://cmsadmin.amritmahotsav.nic.in/district-reopsitory-detail.htm?25292
  2. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গণ, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ৭৯।