নিমাড়ি ভাষা
নিমাড়ি, মধ্যপ্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে ত তথা ভারতের মধ্য-পশ্চিমাংশে অবস্থিত নিমাড় অঞ্চলের একটি প্রচলিত কথ্যভাষা৷ ভূখণ্ডটি মহারাষ্ট্র রাজ্যের উত্তরে ও মধ্যপ্রদেশের মালব অঞ্চলের দক্ষিণাংশে অবস্থিত৷
নিমাড়ি ভাষা | |
---|---|
দেশোদ্ভব | ভারত |
অঞ্চল | নিমাড় অঞ্চল, মধ্যপ্রদেশ |
মাতৃভাষী | ২৩,০৯,২৬৫ (২০১১ জনগণনা)[১] জনগণনায় বহুসংখ্যক নিমাড়িভাষীকে হিন্দিভাষীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ |
ইন্দো-ইউরোপীয়
| |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | noe |
গ্লোটোলগ | nima1243 [২] |
সাহিত্য
সম্পাদনানিমাড়ি ভাষার বিখ্যাত লেখক হলেন, গৌরীশঙ্কর শর্মা, রামনারায়ণ উপাধ্যায় প্রভৃৃতি৷[৩] নিমাড়ি ভাষা মুলত খরগাঁও, বরওয়ানি, হারদা ও খান্ডোয়া জেলাতে প্রচলিত৷ আঞ্চলিক ভাষাতে সাহিত্যচর্চায় রামনারায়ণ উপাধ্যায়, মহাদেব প্রসাদ চতুর্বেদী, প্রভাকর জ্বি দুবে, জীবন জোশী প্রমুখ লেখকদের অবদান অনস্বীকার্য৷ 'আম্মার বোল' প্রকাশনীর ভগবত গীতার অনুবাদ ও "মধ্য" হলো মহাদেব প্রসাদ চতুর্বেদী রচিত প্রথমদিকের দুটি নিমাড়ি ভাষার মহাকাব্য৷ প্রভাকর জ্বি দুবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সাহিত্যসম্মান পুরষ্কারপ্রাপ্ত৷ তিনি ওঁকারেশ্বর শিব জ্যোতির্লিঙ্গ স্থানের নিকটে অবস্থিত বড়োয়াহা নামক ছোট শহরের বাসিন্দা৷ তিনি একাধিক মঞ্চনাট্য ও অলংকৃৃত করেছেন৷ তিনি তার বিখ্যাত রচনা গাম্মাত স্বং এর জন্য স্মরণীয়৷ ইসুরি একাডেমী থেকে তিনি ঠুমকা বইটির জন্যও পুরষ্কৃত হন৷
বিতর্ক
সম্পাদনাঅঞ্চলভিত্তিক জনসংখ্যার নির্ণয় সর্বশেষ ২০১১ খ্রীস্টাব্দে সম্পন্ন হয়৷ প্রাথমিকভাবে নিমাড়িকে হিন্দির একটি আঞ্চলিক উপভাষা হিসাবে উপস্থাপন করা হয়, কিন্তু বহুক্ষেত্রে এমন দেখা গেছে যে বিপুল সংখ্যক নিমাড়িভাষীকে মুল হিন্দি ভাষার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা হিন্দি ভাষার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রদর্শণে সহায়তা করেছে৷ নিমাড়ি ভাষার মতো বেশ কিছু ভাষা স্থানীয়দের হীনম্মন্যতা ও কুটনৈতিক কারণে সংকটাপন্ন৷
অঞ্চল
সম্পাদনাএটি দক্ষিণ পশ্চিম মধ্যপ্রদেশের ভাষা৷ ভাষাটির বিস্তার তিনটি নিমাড় অঞ্চলের জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে৷
- মধ্যপ্রদেশ - ২২৯৩৮৪১
- দেওয়াস জেলা - ৪৮৪৭০(৩.১০%)
- ধার জেলা - ৩৩৪১২৮(১৫.২৯%)
- ইন্দোর জেলা - ৪৫৪৯৫(১.৩৯%)
- খরগাঁও জেলা - ৯৭০২৪১(৫১.৮০%)
- বড়ওয়ানি জেলা - ৩৩০৩৫১(২৩.৮৪%)
- আলিরাজপুর জেলা - ৩৪৮০(০.৪৮%)
- খাণ্ডোয়া জেলা - ৫৩১৭০৮(৪০.৫৯%)
- বুরহানপুর জেলা - ১৬৯৯০(২.২৪%)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Statement 1: Abstract of speakers' strength of languages and mother tongues - 2011"। www.censusindia.gov.in। Office of the Registrar General & Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৭-০৭।
- ↑ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "নিমাড়ি"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- ↑ https://web.archive.org/web/20131203040331/http://www.sumania.com/lang/allindi9.html