খরগাঁও জেলা
খরগাঁও জেলা হল ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। খরগাঁও শহরটির জেলা সদর। জেলাটি ইন্দোর বিভাগের অন্তর্গত। ২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে খরগাঁও জেলা মোট জনসংখ্যা ছিল ১,৮৭৩,০৪৬ জন এবং আয়তনে ৮০৩০ বর্গ কিলোমিটার।
খরগাঁও জেলা | |
---|---|
মধ্যপ্রদেশের জেলা | |
মধ্যপ্রদেশে খরগাঁও জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | মধ্যপ্রদেশ |
বিভাগ | ইন্দোর |
সদর দপ্তর | খরগাঁও |
সরকার | |
আয়তন | |
• মোট | ৮,০৩০ বর্গকিমি (৩,১০০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৮,৭৩,০৪৬ |
• জনঘনত্ব | ২৩০/বর্গকিমি (৬০০/বর্গমাইল) |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৬৩.৫৮% |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৬৫ |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
ওয়েবসাইট | http://khargone.nic.in |
ইতিহাস
সম্পাদনাখরগাঁও জেলার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রাচীন যুগে, মহিষমতীর হাইহায়গণ (বর্তমান মহেশ্বর) এই অঞ্চল শাসন করত। মধ্যযুগের প্রথম দিকে, অঞ্চলটি মালওয়ারের পারমার রাজবংশ এবং আসিরগড়ের আহিরদের অধীনে ছিল। মধ্যযুগের শেষের দিকে, অঞ্চলটি মান্ডুর মালওয়া সালতানাত অধীনে চলে গিয়েছিল। ১৫৩১ খ্রিস্টাব্দে, গুজরাতের সুলতান বাহাদুর শাহ এই অঞ্চলটিকে তাঁর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। ১৫৬২ খ্রিস্টাব্দে, আকবর সমগ্র মালওয়াসহ এই অঞ্চলটিকে মোগল সাম্রাজ্যের সাথে যুক্ত করেছিলেন। ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে, মারাঠা সাম্রাজ্যের পেশওয়া এই অঞ্চলটিকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে, পেশওয়া এই অঞ্চলটিকে মারাঠা শাসকদের, ইন্দোরের হোলকার, গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া এবং ধারের পোনওয়ারদের মধ্যে বিতরণ করেছিলেন। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতার পর দেশীয় রাজ্যের সংযোগ হওয়ার পরে, এটি মধ্য ভারত রাজ্যের পশ্চিম নিমার জেলার একটি অংশে হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। খরগাঁও জেলাটি কেন্দ্রীয় প্রদেশ এবং বেরারের নেরবুদ্দা (নর্মদা) বিভাগের অংশ ছিল, যা ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পরে মধ্য ভারত (পরে মধ্যপ্রদেশ) রাজ্যতে পরিণত হয়েছিল।[১] ১৯৫৬ সালের ১লা নভেম্বর এই জেলাটি নবগঠিত মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। ২৫শে মে ১৯৯৮ সালে পশ্চিম নিমার জেলাকে, খরগাঁও এবং বারওয়ানি জেলা দুটি জেলাতে বিভক্ত করা হয়েছিল।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাজনসংখ্যা
সম্পাদনা২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুসারে খরগাঁও জেলা মোট জনসংখ্যা ছিল ১,৮৭৩,০৪৬ জন।[২] যা কসোভো[৩] অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়া রাজ্যর সমান।[৪] জনসংখ্যার হিসাবে জেলাটি ভারতে ২৫২তম স্থানে রয়েছে (মোট ৬৪০টির এর মধ্যে)।[২] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৩৩ জন লোক বসবাস করে (প্রতি বর্গমাইলে ৬০০ জন)।[২] ২০০১-২০১১ এর দশকে খরগাঁও জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২২.৮১% শতাংশ।[২] লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৯৬৩ জন নারী রয়েছে।[২] সাক্ষরতার হার ৬৩.৯৮%।[২]
২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনার সময় খরগাঁও জেলার ৭১.৬০% জনগণ হিন্দি তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে ব্যবহার করে থাকে।[৫]
ভাষাসমূহ
সম্পাদনা২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনার সময় খরগাঁও জেলার ৭১.৬০% জনগণ হিন্দি, ২৪.৩১% ভিলি, ১.৯৮% উর্দু, ০.৬১% গুজরাটি এবং ০.৪৩% মারাঠি তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে ব্যবহার করে থাকে।[৫]
মূল ভাষাগুলির মধ্যে নিমাড়ি পশ্চিম নিমারে সর্বাধিক কথ্য ভাষা। মধ্যপ্রদেশে প্রায় ১০,০০০ ভাষাভাষী গুজরাটি, বরেলি পাল্যা, ভিল ভাষায় কথা বলে থাকে।[৬] বরেলি রথভি, আরেকটি ভিল ভাষা দেবনাগরী লিপিতে লেখা আছে প্রায় ৬৪,০০০ দ্বারা কথিত[৭] এবং ভিলাই ভাষা ১১,৫০,০০০ ভাষাভাষী দ্বারা কথিত।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Hunter, William Wilson, Sir, et al. (1908). Imperial Gazetteer of India, Volume 6. 1908-1931; Clarendon Press, Oxford
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- ↑ US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
Kosovo 1,825,632 July 2011 est.
- ↑ "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ১৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
West Virginia 1,852,994
- ↑ ক খ 2011 Census of India, Population By Mother Tongue
- ↑ M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bareli, Palya: A language of India"। Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮।
- ↑ M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bareli, Rathwi: A language of India"। Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮।
- ↑ M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Bhilali: A language of India"। Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।