নিজাম আলি খান, দ্বিতীয় আসাফ জাহ
নওয়াব মীর নিজাম আলি খান সিদ্দিকি বাহাদুর দ্বিতীয় আসাফ জাহ (৭ মার্চ ১৭৩৪ – ৬ আগস্ট ১৮০৩) ছিলেন হায়দ্রাবাদের নিজাম। তিনি ১৭৬২ থেকে ১৮০৩ সাল পর্যন্ত নিজাম হিসেবে শাসন করেছেন। তিনি প্রথম আসাফ জাহ ও তার স্ত্রী উমদা বেগমের চতুর্থ পুত্র। তার সরকারি নাম ছিল দ্বিতীয় আসাফ জাহ, নিজামুল মুলক, নিজামউদ্দৌলা, নওয়াব মীর নিজাম আলি খান সিদ্দিকি বাহাদুর, ফাতেহ জং, সিপাহ সালার, দক্ষিণাত্যের নওয়াব সুবাদার।
মীর নিজাম আলি খান সিদ্দিকি দ্বিতীয় আসাফ জাহ | |
---|---|
![]() | |
হায়দ্রাবাদের নিজাম | |
শাসনকাল | ১৭৬২–১৮০৩ |
{{{পূর্বসূরি}}} | সালাবাত জং |
{{{উত্তরসুরি}}} | তৃতীয় আসাফ জাহ |
জন্ম | হায়দ্রাবাদ রাজ্য, মুঘল সাম্রাজ্য (বর্তমান ভারত) |
মৃত্যু | ৬ আগস্ট ১৮০৩ চৌমহল্লা প্রাসাদ, হায়দ্রাবাদ, হায়দ্রাবাদ রাজ্য, মুঘল সাম্রাজ্য (বর্তমান তেলেঙ্গানা, ভারত) | (বয়স ৬৯)
ধর্ম | ইসলাম |
পিতামাতা |
|
হায়দ্রাবাদের নিজামসম্পাদনা
দক্ষিণাত্যের ফৌজদারসম্পাদনা
১৭৫৯ সালে তিনি দক্ষিণাত্যের প্রধান কমান্ডার ও প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান। মারাঠাদের বিরুদ্ধে তার সফল লড়াইয়ের কারণে তিনি কমান্ডার হিসেবে সুনাম অর্জন করেছিলেন।
দক্ষিণাত্যে দ্বিতীয় শাহ আলমের সুবাদারসম্পাদনা
১৭৬১ সালে সংঘটিত পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মারাঠাদের আধিপত্য খর্ব হয়। এরপর নিজাম তাদের তার ৬০,০০০ সৈনিক নিয়ে পুনের দিকে অগ্রসর হন এবং শান্তি স্থাপনের জন্য মারাঠাদের বাধ্য করেন। এরপর তিনি বিদার দুর্গ অবরোধ করেন এবং পরে সালাবাত জংকে গ্রেপ্তার করা হয়। একাজ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল। শাহ আলমের জারি করা ফরমানে ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সমর্থিত সালাবাত জংকে দক্ষিণাত্যের সুবেদারের পদ থেকে অপসারণ করা হয় এবং তার স্থলে নিজাম আলি খানকে তার উত্তরসুরি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।[১]
১৭৬২ সালের ৮ জুলাই নিজাম আলি খান দক্ষিণাত্যের সুবেদার হন। মারাঠাদের অঞ্চলের খুব নিকটে হওয়ায় ১৭৬৩ সালে তিনি রাজধানী আওরঙ্গবাদ থেকে হায়দ্রাবাদে স্থানান্তর করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
পেশওয়ার বিরুদ্ধে নিজামের হস্তক্ষেপসম্পাদনা
মাধবরাও পেশওয়ার সাথে দূরত্ব ও মতপার্থক্যের কারণে ১৭৬২ সালে রঘুনাথরাও নিজামের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন। নিজাম পুনার দিকে অগ্রসর হন। ১৭৬৩ সালে দ্বিতীয় মাধবরাও রাক্ষসভূবনের যুদ্ধে নিজামকে পরাজিত করেন। এরপর মারাঠাদের সাথে নিজামের সন্ধি স্থাপিত হয়।[২]
১৭৯৫ সালে দ্বিতীয় মাধবরাও তাকে খারদার যুদ্ধে পরাজিত করেন। এর পরে তাকে দৌলতাবাদ, আওরঙ্গবাদ ও শোলাপুরের অধিকার ছেড়ে দিতে হয় এবং ৩০ মিলিয়ন রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।[৩]
ফরাসি সেনাপতি মসিয়ে রেমন্ড নিজামের সামরিক অধিনায়ক, কৌশলবিদ ও উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মৃত্যুসম্পাদনা
নিজাম আলি খান ১৮০৩ সালের ৬ আগস্ট ৬৯ বছর বয়সে হায়দ্রাবাদের চৌমহল্লা প্রাসাদে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
নিজাম আলি খান, দ্বিতীয় আসাফ জাহ
| ||
পূর্বসূরী আসাফউদ্দৌলা মীর আলি সালাবাত জং |
হায়দ্রাবাদের নিজাম ৮ জুলাই ১৭৬২ – ৬ আগস্ট ১৮০৩ |
উত্তরসূরী তৃতীয় আসাফ জাহ |