নিউফেল ওয়াতা

ফরাসি মুষ্টিযোদ্ধা বা বক্সার

নিউফেল ওয়াতা (আরবি: نوفل واطح , জন্ম ৮ই নভেম্বর, ১৯৮৫ লিয়ঁতে) একজন ফরাসিআলজেরীয় পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা। তিনি তার অপেশাদার কর্মজীবনের সাফল্যের জন্য বেশি বিখ্যাত। তিনি মাডাগাস্কারের তানানারিভেতে অনুষ্ঠিত ২০০৭ আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নশিপে সুপার হেভিওয়েট বিভাগে স্বর্ণপদক জয়ী। এছাড়া তিনি আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত সারা আফ্রিকা গেমসে রৌপ্যপদক জয় ও ২০০৮ অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেন। ওয়াতা ফরাসী ফুটবলার করিম বেঞ্জেমার দুরসম্পর্কীয় ভাই। দুই জনের পরিবার আলজেরিয়ার বেনি জেলিল শহরের অধিবাসী। আলজেরীয় প্রখ্যাত গায়িকা হানিফার মা সম্পর্কে নিউফেলের ঠাকুর্দার বোন হন।

নিউফেল ওয়াতা

পদক রেকর্ড
পুরুষদের মুষ্টিযুদ্ধ
সারা আফ্রিকা গেমস
 আলজেরিয়া-এর প্রতিনিধিত্বকারী
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ২০০৭ আলজিয়ার্স সুপার হেভিওয়েট
ভূমধ্যসাগরীয় গেমস
 ফ্রান্স-এর প্রতিনিধিত্বকারী
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ২০০৫ আলমেইরা হেভিওয়েট

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৯৮সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের অব্যবহিত পরেই নিউফেল তার মুষ্টিযোদ্ধার জীবন শুরু করেন। যখন বাকি সব বাচ্চারা ফুটবলে ব্যস্ত ছিল, তিনি মুষ্টিযুদ্ধকে বেছে নেন আর অনুশীলন শুরু করেন ক্লাব পাগলিস্টিক ভিলুরবানিস জিমে। মাত্র দুইমাসের অনুশীলনের পর তার প্রথম শিক্ষামূলক লড়াইয়ে তিনি বিজয়ী হন। এরপর ২০০০ সালে মিডলওয়েট বিভাগে (-৭৫কেজি) তিনি ফরাসি চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর ২০০১ সালে অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে ফরাসি লাইট হেভিওয়েট (-৮১কেজি) খেতাব জেতেন।

হেভিওয়েট হিসাবে নিউফেল, ২০০২ ও ২০০৩ জুনিয়র (অনূর্ধ্ব ১৯) জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন। তিনি জুনিয়র বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত হন রবার্ট আলফন্সোর কাছে।

২০০৫-এ স্টিফেন গোমিসকে আর ২০০৬-এ জন মবাম্বকে পর পর দু'বার নক আউটে হারিয়ে ফরাসি চ্যাম্পিয়ন হন ২০১ পাউন্ডের নিউফেল। ২০০৫ ভূমধ্যসাগরীয় গেমসে তিনি ব্রোঞ্জ পদক জেতেন।

এর পরেই তিনি ফরাসি ফেডারেশনের অনুমতি চান মুষ্টিযুদ্ধে তার দেশ আলজেরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করার।

২০০৭ সালে তিনি মবাম্বার কাছে পরাজিত হন এবং ওজন শ্রেণী বাড়িয়ে সুপার হেভিওয়েটে আলজেরিয়ার প্রতিনিধিত্ব শুরু করেন। সাথে সাথেই ২০০৭ সালে তিনি সারা আফ্রিকা গেমসে আহমেদ সমির আব্দেলহালিমের কাছে ৮:১৭তে পরাজিত হয়ে রৌপ্যপদক জয় করেন।

২০০৮-এ অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করেন সেনেগালের স্টেফান গোমিস ও মরোক্কোর মোহামেদ আমানিসিকে ২১:৮ ফলে যোগ্যতাঅর্জনকারী লড়াইয়ে হারিয়ে।

২০০৮-এর এপ্রিলেও তিনি মবাম্বার সাথে তার চতুর্থ লড়াই লড়েন। আশ্চর্যজনক ভাবে, যখন নিউফেল ১:২০ ফলে জিতছিলেন তখন শেষ রাউন্ডে লড়াই থামিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্তে মবাম্বাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

২০০৮ সালের জুন মাসে তিনি সেন্ট কোয়েন্টিনের প্রাক-অলিম্পিক টুর্নামেন্ট জিতে নেন জার্মান এরিক ফাইফারকে হারিয়ে। নিউফেল অলিম্পিকের প্রস্তুতি শুরু করেন জাঁ ব্যাপটিস্ট মেন্ডির কোচ, হৌয়ারি আমরির সাথে।

অলিম্পিকে ১৬জনের রাউন্ডে তিনি ভেনেজুয়েলার হোসে পেরেজকে পরাজিত করেন, কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য পদকজয়ী ভাচিস্লাভ গ্লাজকভের কাছে ৪:১০ ফলে পরাজিত হন।

২০০৯ সালে আহমার্ট কোমার্ট টুর্নামেন্টে" তিনি ২০০৭ প্যান অ্যাম ও ২০০৮ বিশ্বকাপ বিজেতা রবার্ট আলফন্সোকে দ্বিতীয় রাউন্ডে এক ঘুঁষিতে নক আউট করে মধুর প্রতিশোধ নেন।

পেশাদার জীবন সম্পাদনা

নিউফেল ২০০৯সালে পেশাদার হন।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা