জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর
জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর (ⓘ ইংরেজি: Jamia Islamia Obaidia Nanupur আরবি: الجامعة الاسلامية العبيدية النانوفور) সংক্ষেপে নানুপুর মাদ্রাসা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুরে অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। এই প্রতিষ্ঠানটি দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতিকে ভিত্তি করে পরিচালিত হয় এবং বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসা সমূহের মধ্যে এটিই সর্বপ্রথম অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম চালু করেছিল[২] সুলতান আহমদ নানুপুরী ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে (৬৪ বছর পূর্বে) এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[৩]
الجامعة الاسلامية العبيدية النانوفور | |
![]() উত্তর দিক হতে নানুপুর মাদ্রাসা | |
প্রাক্তন নাম | ওবাইদিয়া হাফেজুল উলুম |
---|---|
নীতিবাক্য | اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ পড় তোমার প্রভুর নামে |
ধরন | কওমি মাদ্রাসা |
স্থাপিত | ১৯৫৮ ইং ১৩৭৯ হিজরি |
অধিভুক্তি | বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ |
ধর্মীয় অধিভুক্তি | দেওবন্দি |
বাজেট | ২০,০০,০০,০০০ (১৯-২০) |
আচার্য | শাহ সালাহ উদ্দীন নানুপুরী[১] |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৩৫ (২০২০) |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ২০ |
শিক্ষার্থী | ৯০০০ (২০২১) |
অবস্থান | |
শিক্ষাঙ্গন | পল্লী অঞ্চল |
ওয়েবসাইট | jionanupur |
![]() |
অবস্থান সম্পাদনা
চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এবং নানুপুর বাজার হতে ১ কিলোমিটার দূরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটির উত্তর-পশ্চিমে ২ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে মাইজভান্ডার মাজার এবং পূর্ব দিকে রয়েছে চট্টগ্রামের, নানুপুর লায়লা কবির ডিগ্রি কলেজ।
স্বেচ্ছাসেবা সম্পাদনা
আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সম্পাদনা
বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত এই বেসরকারি সেবা সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন হেলালুদ্দিন বিন জমিরুদ্দিন। ১৯৯৮ সালে মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা শাহ জমিরুদ্দিন'ই এই স্বেচ্ছাসেবা সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[৪]
রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে সেবা ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা, গভীর নলকূপ স্থাপন, দুর্যোগকালে ত্রাণ বিতরণ সহ বহু সেচ্ছাসেবী কর্ম প্রতিষ্ঠানটি করেছে। চট্টগ্রামের হালিশহরে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের জন্য একটি স্বতন্ত্র হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে এই সেচ্ছাসেবী সংস্থাটি[৫]। এছাড়াও সেচ্ছাসেবী হিসেবে কোভিড-১৯ রোগে মৃত ব্যক্তিদের দাফনকর্মও সম্পাদনা করেছে এই সংস্থাটি।[৪]
আল মানাহিল নার্চার হাসপাতাল সম্পাদনা
চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজারে এই 'ফিল্ড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার' টি অবস্থিত। এটিতে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।[৬]
ইতিহাস সম্পাদনা
শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।[৭] প্রতি বছর রমজান মাসে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার মানুষ এই মাদ্রাসায় ইতেকাফ থাকেন।[৮]
অবকাঠামো সম্পাদনা
প্রবেশপথ সম্পাদনা
মসজিদ সম্পাদনা
শিক্ষাব্যবস্থা সম্পাদনা
ইবতেদায়ী থেকে নির্দিষ্ট বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা, সবগুলো বিভাগই রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটিতে।
- ইবতেদায়ী বিভাগ
- হিফজুল কুরআন
- আলিম বিভাগ (স্নাতক)
- দাওরা বিভাগ (স্নাতকোত্তর)
- উচ্চতর গবেষণা বিভাগ
মুহতামিমবৃন্দ সম্পাদনা
ক্রম | মুহতামিম | সময়কাল |
---|---|---|
১ | সুলতান আহমদ নানুপুরী | ১৯৫৮-১৯৮৫ |
২ | জমির উদ্দিন নানুপুরী | ১৯৮৫-২০১১ |
৩ | শাহ সালাহ উদ্দীন নানুপুরী | ২০১১-বর্তমান |
আরও দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "নানুপুরের পীর সালাহউদ্দীন নানুপুরী অসুস্থ"। খুতবাহ টিভি।
- ↑ "কওমীতে সর্বপ্রথম অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের নানুপুর মাদ্রাসা"। একুশে জার্নাল। ২০১৯-০৩-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৩।
- ↑ "জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুর : একটি বিশ্বজনীন কওমি মাদরাসা"। কমাশিসা। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০২০।
- ↑ ক খ "চট্টগ্রামে করোনাসেবায় আল মানাহিল"। কালের কন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৩।
- ↑ "করোনা রোগীর চিকিৎসায় হাসপাতাল প্রস্তুত করছে আল-মানাহিল"। The Daily Star Bangla। ২০২০-০৬-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৩।
- ↑ "চট্টগ্রামে করোনা ডেডিকেটেড আল-মানাহিল হাসপাতালের যাত্রা শুরু"। https://wwww.jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৩।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "এক দুনিয়া বিমুখ আধ্যাত্মিক রাহবার আল্লামা শাহ ছোলতান আহমদ নানুপুরী"। দৈনিক ইনকিলাব। ২৫ আগস্ট ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০২০। line feed character in
|শিরোনাম=
at position 35 (সাহায্য) - ↑ Dhakatimes24.com। "দেশের সর্ববৃহৎ ইতিকাফের আসর হয় যেখানে"। Dhakatimes News। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০৬।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে - আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ।