নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়[খ] হলো চুয়াডাঙ্গা জেলার সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যালয়। এটি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নে অবস্থিত।[৩]
নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় | |
---|---|
অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৩৮′১৭.৪৭″ উত্তর ৮৮°৩৯′৩৬.২১″ পূর্ব / ২৩.৬৩৮১৮৬১° উত্তর ৮৮.৬৬০০৫৮৩° পূর্ব |
তথ্য | |
অন্য নাম | হাজার দুয়ারী বিদ্যালয় |
প্রাক্তন নাম | রাধারানী ইন্সটিটিউশন |
ধরন | উচ্চ বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | অজানা[ক] |
প্রতিষ্ঠাতা | নফরচন্দ্র পাল চৌধুরী |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর |
বিদ্যালয় জেলা |
|
ইআইআইএন | ১১৫৩৮৫[১][২] |
প্রধান শিক্ষক | মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান[১] |
শিক্ষকমণ্ডলী | ১৬[১] |
লিঙ্গ | পুরুষ, নারী উভয়ই |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | আনু. ৭০০ জন |
জমির পরিমাণ | ৯.২২ একর |
ইতিহাস সম্পাদনা
ব্রিটিশ শাসনামলে নাটুদাহের জমিদার শ্রী নফরচন্দ্র পাল চৌধুরী তার স্ত্রী রাধা রানীর অনুরোধে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।[৪] শুরুতে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা তেমন ছিল না। তবে পরবর্তীতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়তে থাকলে ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে নফলচন্দ্র একটি চারতলা ভিতবিশিষ্ট একতলা দালান নির্মাণ করেন।[৪] আবার তিনি প্রথম তলার ১৫ কক্ষ বিশিষ্ট ভবন সংলগ্ন এলাকায় প্রধান শিক্ষকের জন্য চেম্বারসহ পাকা অফিস কক্ষও নির্মাণ করে দেন এবং ৯ দশমিক ২২ একর জমি বিদ্যালয়টির জন্য দান করেন। তিনি তার স্ত্রীর নামানুসারে এই বিদ্যালয়টির নামকরণ করেন রাধারানী ইন্সটিটিউশন।[৫] ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়।[৬] ১৯৬১ সালে কলকাতা শিক্ষা বোর্ডের পূর্ব রেজিষ্ট্রেশনে প্রতিষ্ঠানটি নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়।[৫] বর্তমানে এটি যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত। নির্মাণ কাজের শুরুর দিকে কলকাতার একটি প্রকৌশল সংস্থার প্রস্তুত নকশায় ব্লু-প্রিন্টের চারদিকের করিডোরসহ ১৫ কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি তলায় ২৫০টি করে চারতলা ভবনটিতে সর্বমোট দরজার সংখ্যা ছিল এক হাজার। এ জন্য এই বিদ্যালয়টি হাজার দুয়ারী বিদ্যালয় নামে পরিচিত।[৫]
টীকা সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ "EMIS | DSHE"। emis.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫।
- ↑ "Natuda Secondary School - Sohopathi | সহপাঠী" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫।
- ↑ ক খ "দামুড়হুদার হাজার দুয়ারী বিদ্যালয়ের ইতিহাস"। Odhikar। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫।
- ↑ ক খ কক্ষ, বার্তা (২০২১-০৮-১২)। "দামুড়হুদার জমিদার নফর পাল চৌধুরীর স্মৃতিবিজড়িত মূল সিংহ দুয়ার এখনও"। বিটিসি নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ Dainikshiksha (২০১৬-১২-২১)। "১১০ বছর শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় - দৈনিকশিক্ষা"। Dainik shiksha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫।
- ↑ "দামুড়হুদা"। damurhuda.chuadanga.gov.bd। ২৬ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০২৩।