নাগপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন

নাগপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে অবস্থিত একটি রেলওয়ে স্টেশন ।

নাগপুর জংশন
আঞ্চলিক রেল এবং হালকা রেল স্টেশন
অবস্থানগোস্বামী তুলসীদাস রোড, নাগপুর, পিন - ৪৪০০০১, মহারাষ্ট্র
ভারত
স্থানাঙ্ক২১°০৯′১২″ উত্তর ৭৯°০৫′২০″ পূর্ব / ২১.১৫৩৪° উত্তর ৭৯.০৮৮৯° পূর্ব / 21.1534; 79.0889
উচ্চতা৩০৮.৬৬০ মিটার (১,০১২.৬৬ ফু)
মালিকানাধীনভারতীয় রেল
লাইনহাওড়া-নাগপুর-মুম্বাই লাইন
দিল্লি-চেন্নাই লাইন
নাগপুর-হায়দ্রাবাদ লাইন
নাগপুর–বিলাসপুর বিভাগ
নাগপুর-নাগভিড় ন্যারোগেজ
নাগপুর-ছিণ্ডওয়াড়া ন্যারোগেজ
প্ল্যাটফর্ম১০ (৮ টি ব্রডগেজ ও ২ টি ন্যারো গেজ)
রেলপথ১৩
নির্মাণ
গঠনের ধরনভূমিগত
পার্কিংহ্যাঁ
অন্য তথ্য
অবস্থাচালু
স্টেশন কোডNGP
অঞ্চল মধ্য রেল
দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেল
বিভাগ নাগপুর
ইতিহাস
চালু১৮৬৭; ১৫৭ বছর আগে (1867)
বৈদ্যুতীকরণ1988-89 (বল্লারশাহ-ওয়ার্ধা-নাগপুর)
1990-91 (নাগপুর-আমলা)
1991-92 (থার্সা-নাগপুর)[১]
আগের নামবেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে
যাতায়াত
যাত্রীসমূহআনু. ১.৬ লাখ প্রতিদিন
অবস্থান
মানচিত্র

ইতিহাস সম্পাদনা

নাগপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন, যা নাগপুরের একটি অন্যতম পুরাতন এবং ব্যস্ত রেলওয়ে স্টেশন, ১৯২৫ সালের ১৫ জানুয়ারী তৎকালীন গভর্নর স্যার ফ্রাঙ্ক এ স্টেশনটির উদ্বোধন করেন ।[২] নাগপুরের রেলওয়ে স্টেশনগুলো অনেক পূর্বেই স্থািত হয়েছিলো, ভারতের স্বাধীনতারও পূর্বকালীন সময়ে, যেহেতু তখনকার সময় হতে নাগপুর ভারতের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসাবে পরিচিত ছিল । ১৮৬৭ সালের শুরুর দিকে নাগপুর রেলওয়ে স্টেশন প্রতিষ্ঠা লাভ করতে শুরু কর । ১৮৮১ সালে, নাগপুর ছত্রিশগড় প্রদেশের মধ্য দিয়ে ভায়া হয়ে ভারতের অপর একটি গুরু্বপূর্ণ শহর কলকাতার সাথে সংযুক্ত হয় ।

মূল নাগপুর রেলওয়ে স্টেশন বর্তমান স্টেশনের অবস্থান হতে পূর্বদিকে ছিল । বর্তমানের নাগপুর রেলওয়ে স্টেশন অবশ্য ভারতের স্বাধীনতা লাভের পূর্ববর্তী সময়ে ১৯২৪ সালের দিকে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ।

সার্ভিস সম্পাদনা

বিভিন্ন স্থান হতে আগত সর্বমোট প্রায় ২৪২ [৩] টি ট্রেন নাগপুর স্টেশনে থামে, এগুলোর মধ্য রয়েছে প্যাসেঞ্জার, এক্সপ্রেস, মেইল, দুরন্ত, রাজধানী, গরীব রথ ট্রেন ইত্যাদি । এগুলোর মধ্যে, প্রায় ৫৩ টি ট্রেন প্রতিদিন চলাচল করে থাকে এবং ২৬টি ট্রেন নাগপুর হতে ছাড়ে । প্রয় ১.৬ লক্ষ যাত্রী নাগপুর স্টেশনের মাধ্যমে যাতায়াত করে থাকে ।[৪]

গুরুত্ব সম্পাদনা

নাগপুর রেলওয়ে স্টেশন শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র প্রদেশের দ্বিতীয় রাজধানী শহর কিংবা দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্হানগুলোর গন্তব্যের জন্যই নয়, বরং এর অন্যতম অবস্থানের জন্য ব্যাপকভাবে গুরুত্বপূর্ণ । স্টেশনটি দেশের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং সেই কারণে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র প্রদেশের জন্য নয়, সারা ভারতীয় উপমহাদেশের জন্যই নাগপুর স্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশন ।[৫]

উন্নয়ন সম্পাদনা

ভারতের যে ২২টি স্টেশন আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তার মধ্যে নাগপুর রেলওয়ে স্টেশন অন্যতম ।পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে স্টেশনটিতে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে এবং স্টেশনটিতে নিরাপত্তা, সাবধানতা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি সহ নানাবিধ সুবিধার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় ।[৬]

নাগপুর স্টেশনের কাছে অবস্থিত অজনি স্টেশনটিকে একটি টার্মিনাস হিসাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে নাগপুর থেকে অধিক যাত্রীর চাপ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে । এছাড়া অজনিকে একটি কোচিং কমপ্লেক্স হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে ।[৭]

শহরের অন্যান্য স্টেশন সম্পাদনা

প্রধান স্টেশনের পাশাপাশি শহরের অন্যান্য রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে অজনি, ইটওয়ারি, কালামনা এবং গোধানি ইত্যাদি । নাগপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে অজনি স্টেশনের দূরত্ব ৩ কিলোমিটার । এটি ইন্ডিয়ান রেলওয়ের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত চলাচল পথ, যেখানে ক্রুরা নাগপুর স্টেশন হতে অজনি স্টেশনের ওয়ার্কশপে চলাচল করে থাকে ।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Electrification History"। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০০৪ 
  2. "90 years of Nagpur station Building"। nagpurtoday.in। ১৪ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৬ 
  3. "Arrivals at NGP/Nagpur Junction"। indiarailinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৬ 
  4. "Nagpur Railway Station Services"। cleartrip.com। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৬ 
  5. "Travel to Nagpur"mapsofindia.com। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৬ 
  6. "Nagpur to get model railway station"The Times of India। ২২ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৬ 
  7. "Nagpur railway station to be developed into world class terminal"। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৬ 
  8. "Indian Railways – 10 Interesting Facts"। zeenews.india.com। ২৫ জুলাই ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৬