নরওয়ে-বাংলাদেশ সম্পর্ক
বাংলাদেশ-নরওয়ে সম্পর্ক বলতে বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যকার আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ককে বোঝায়। বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন এসপেন রিক্টর-সেভেন্ডসেন।[১][২] ঢাকায় নরওয়ের একটি দূতাবাস রয়েছে।
বাংলাদেশ |
নরওয়ে |
---|
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৭২ সালের ১৪ এপ্রিল নরওয়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং ঢাকার গুলশানে একটি দূতাবাস খুলে।[১] ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ এর দশক পর্যন্ত, বাংলাদেশ নরওয়ে থেকে বৈদেশিক সাহায্যের এক বৃহত্তম গ্রহীতা দেশ ছিল।[৩] নরওয়ে গ্রামীণ ব্যাংককে অর্থায়নও করেছে।[৩] নরওয়ের কাছ থেকে পাওয়া সাহায্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ চতুর্থ বৃহত্তম সাহায্য গ্রহীতা রাষ্ট্র। [৪]
কনসার্ট নরওয়ে বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে কাজ করছে।[৫] দিলেক আয়হান, নরওয়ের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মোবাইল ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন।[৬]
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব, শহীদুল হক, ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ অসলো সফর করেন এবং ওয়েগার ক্রিশ্চিয়ান স্ট্রমেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন।[৭]
২০১৭ সালের মার্চ মাসে, নরওয়ে এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য একসাথে কাজ করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।[৮]
২০২৮-এর ২৮ জুন বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক সান্ত্বনা অনুষ্ঠিত হয়।[৯]
২০২০-এর ৩ মার্চ বাংলাদেশ ও নরওয়ে ঢাকায় দ্বিতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সভা আয়োজন করে।[১০] নরওয়ে বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করে।[১১] ২০২০ সালের আগস্ট মাসে, নরওয়ে সরকার বাংলাদেশে জাহাজ পুনর্ব্যবহার কার্যক্রমকে উন্নত করার লক্ষ্যে $১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেয়।[১২] বাংলাদেশ নরওয়ে থেকে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানায়।[১৩]
নরওয়ের কোম্পানি টেলিনরের মালিকানাধীন গ্রামীণফোন হল বাংলাদেশের বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ পরিষেবা প্রদানকারী এবংবাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের সাথে বিরোধের জেরে নরওয়েজিয়ান সরকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে কোম্পানিটিকে সহায়তা প্রদান করে।[১৪][১৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "About the Embassy"। Norgesportalen (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮।
- ↑ "Bangladesh for stronger trade ties with Sweden, Spain, Norway"। Dhaka Tribune। ২০২০-১০-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮।
- ↑ ক খ "Bangladesh"। Norad (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮।
- ↑ "Norwegian Diplomacy in South Asia"। thediplomaticsociety.com। ২০২১-০৮-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮।
- ↑ Ferdous, Fahmim (২০১৫-০৬-১২)। "From Norway, with love"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৯।
- ↑ Islam, Muhammad Zahidul (২০১৬-০১-২২)। "Health, mobile banking pique Norway's interest"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৯।
- ↑ "Ministry of Foreign Affairs"। mofa.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৭-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮।
- ↑ "UNDP, Norway sign $747,306 agreement"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৫-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৯।
- ↑ "Bangladesh eyes blue economy cooperation with Norway; shares draft MoU"। UNB (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮।
- ↑ "Bangladesh and Norway hold 2nd Political Consultations"। Embassy of Bangladesh, Stockholm, Sweden (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৮।
- ↑ "Norway interested to invest in ship recycling industry in Bangladesh"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-২১। ২০২০-১০-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৯।
- ↑ "Norway to provide $1.5m to support improved ship recycling in Bangladesh"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। UNB। ২০২০-০৮-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৯।
- ↑ "Invest more in economic zones, ICT, jute sectors: PM to Norway"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। UNB। ২০২১-০২-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৯।
- ↑ "Norway for quick resolution of Grameenphone-BTRC complications"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৯।
- ↑ "Norway wants amicable solution to GP's issues"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৯।