দ্য রাজ প্যালেস
দ্য রাজ প্যালেস ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে অবস্থিত আড়াই শতাব্দীরও অধিক পুরোনো একটি রাজ প্রাসাদ যা বর্তমানে একটি ঐতিহ্যবাহী গ্র্যান্ড হোটেলে রূপান্তরিত করা হয়েছে।[১]
হোটেলটি ভারত সরকার দ্বারা "ভারতের সেরা ঐতিহ্যবাহী হোটেল" এবং ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ড দ্বারা পরপর সাত বার "বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ঐতিহ্যবাহী হোটেল" হিসাবে ভূষিত এবং পুরস্কৃত হয়েছে।[২] এ সম্পদটি ওয়ার্ল্ড (SLH) এর "স্মল লাক্সারি হোটেল" এর একজন সদস্য। এটা জিকেভি(GKV) গ্রুপ কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত, যে কোম্পানীটির তথ্য প্রযুক্তি শিল্পেও পদচারণা রয়েছে।[৩]
ইতিহাস সম্পাদনা
১৫০৩ খ্রিষ্টাব্দে, মহারাজা পৃথ্বীরাজ সিং জি আম্বারের শাসক ছিলেন, যা জয়পুর নির্মিত হওয়ার আগের রাজধানী ছিল । ১৫৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তার বংশধরদের মধ্যে একজন ঠাকুর মনোহর দাস জি, তৎকালীন অ্যাম্বারের প্রধানমন্ত্রী, যিনি রাজপুত ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা ছিলেন । ঠাকুর সাহেব এবং জয়পুরের মহারাজা মানসিং একত্রে ২২ টি যুদ্ধে জয়লাভ করেন । আফগানিস্তানের কান্দাহার যুদ্ধে তিনি শত্রুপক্ষের পতাকা ছিনিয়ে এনে রাজাকে উপহার দেন, বিনিময়ে তিনি আম্বারের সত্যিকারের পতাকা লাভ করেন এবং প্রচুর সম্পদের অধিকারী হন ।[৪]
তার বংশধরদের একজন ঠাকুর মোহন সিং জি,[৫] যিনি চাউমুর শাসনকর্তা ছিলেন এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ১৭২৭ সালে জয়পুরের প্রথম প্রাসাদ নির্মাণ করেন, যা বর্তমানে “রাজ প্যালেস” নামে পরিচিত । প্রাসাদটিতে এখনও তার ১৬তম প্রজন্মের বংশধররা বাস করে এবং বর্তমানে প্রাসাদটির মালিক রাজকুমারী জয়ন্দ্রা কুমারী ।
বর্তমান অবস্থা সম্পাদনা
প্রিন্সেস জয়ন্দ্রা কুমারীর তত্ত্বাবধানে, ৮০০ শ্রমিকের একটি দল ১৯৯৫ সালে প্রাসাদটির করিডোর, আবাসিক কোয়ার্টার এবং আঙ্গিনায় সংস্কার কাজ শুরু করে ।[৬] আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি প্রাসাদটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখা হয় । প্রাসাদটিকে ১৯৯৭ সালের ১০ আগস্ট একটি গ্র্যান্ড ঐতিহ্যবাহী হোটেল হিসাবে চালু করা হয় । স্যুইটে একটি ব্যক্তিগত জাদুঘর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হোটেলটিতে "মিউজিয়াম স্যুইট" প্রতিষ্ঠা করা হয় যা বিশ্বের যে কোনো হোটেলের ক্ষেত্রে একটি অনন্য নজির ।[৭] সংস্কারকৃত প্রাসাদটিতে প্রাপ্ত সুবিধাসমূহ যে কোনো অতিথির জন্য যেনো সহজলভ্য হয়, সে দিকে বিশেষ নজর রাখা হয় ।[৭][৮]
হোটেলেটি "স্মল লাক্সারি হোটেল অব দ্যা ওয়ার্ল্ড", "ফাইভ স্টার এলায়েন্স" ও "ভিসা লাক্সারি কালেকশন" এর সদস্য হওয়ার মর্যাদা লাভ করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
পুরস্কার ও স্বীকৃতিসমূহ সম্পাদনা
- ২০০৭ বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় হেরিটেজ হোটেল [৯]
- ২০০৮ এশিয়ার নেতৃত্বস্থানীয় হোটেল স্যুইট [৯]
- ২০০৮ বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় হেরিটেজ হোটেল [৯]
- ২০০৯ এশিয়ার নেতৃত্বস্থানীয় হোটেল স্যুইট [৯]
- ২০০৯ বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় হেরিটেজ হোটেল [৯]
- ২০১০ এশিয়ার নেতৃত্বস্থানীয় হোটেল স্যুইট [৯]
- ২০১০ বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় হেরিটেজ হোটেল [৯]
- ২০১১ এশিয়ার নেতৃত্বস্থানীয় হোটেল স্যুইট [৯]
- ২০১১ বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় হেরিটেজ হোটেল [৯]
- ২০১২ এশিয়ার নেতৃত্বস্থানীয় হোটেল স্যুইট [৯]
- ২০১২ বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় হেরিটেজ হোটেল [৯]
- ২০১৩ এশিয়ার নেতৃত্বস্থানীয় হোটেল স্যুইট [৯]
- ২০১৩ বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় হেরিটেজ হোটেল [৯]
- ২০১৪ এশিয়ার নেতৃত্বস্থানীয় হোটেল স্যুইট [৯]
- রাষ্ট্রীয় রত্ন পুরস্কার
- ইন্টারন্যাশনাল গোল্ডস্টার মিলেনিয়াম পুরস্কার ।
- ব্যবসা ও গুণগত মানের জন্য প্রেস্টিজ-নিউ মিলেনিয়াম অ্যাওয়ার্ড সকল গ্রাহকের সন্তুষ্টির জন্য, ২০০৫ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আমেরিকান ট্রাভেল এজেন্ট এসোসিয়েশন কর্তৃক মনোনীত ।
- ৩২তম আন্তর্জাতিক পুরস্কার- হোটেল ক্যাটারিং এবং ট্যুরিজম এর জন্য, মাদ্রিদ, স্পেন ২০০৬ সাল ।
- ২০০৬ সালে সেরা ঐতিহ্যবাহী হোটেল এর জন্য জাতীয় পর্যটন পুরস্কার (সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের জন্য) ।
- সিএনএন এর মতে হোটেল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট "এশিয়ার সেরা স্যুইট এবং বিশ্বের প্রথম ইন-স্যুইট জাদুঘর" ।[১০]
- সিএনএন এর মতে রাজ প্যালেস হচ্ছে "বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল গন্তব্য" ।
- "স্মল লাক্সারি হোটেল অব দ্যা ওয়ার্ল্ড" (এসএলএইচ)এর সদস্য ।
- "ফাইভ স্টার এলায়েন্স" এর সদস্য । [১১]
- "ভিসা লাক্সারি কালেকশন" এর সদস্য ।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "The Raj Palace, Jaipur Hotel, Luxury City Retreat, India, SLH"। www.slh.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "The Raj Palace on World Travel Awards"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "Raj Palace Hotel Jaipur Heritage Hotels"। www.rajpalace.com। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "CHOMU"। freepages.genealogy.rootsweb.ancestry.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "CHOMU"। members.iinet.net.au। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "Raj Palace is 'best heritage hotel' - The Times of India"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ ক খ "Jaipur: Raj Palace's most luxurious suite to cost a whopping R 48 lakh a night"। daily.bhaskar.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "About The Raj Palace Jaipur"। cleartrip.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ "The Raj Palace"। World Travel Awards। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "Rocking Rajasthan palaces: Live with, not like, an Indian prince"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "Get to Know The Raj Palace - Five Star Alliance"। fivestaralliance.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬।