দ্য টাইম মেশিন (১৯৭৮-এর চলচ্চিত্র)

১৯৭৮-এর চলচ্চিত্র

দ্য টাইম মেশিন ১৯৭৮ সালের মার্কিন বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক-রোমাঞ্চকর টেলিভিশন চলচ্চিত্র। ছবিটি ক্ল্যাসিকস্‌ ইলাস্ট্রেটেড-এর একটি অংশ হিসেবে প্রযোজনা করেছে সুন ক্ল্যাসিক পিকচার্স। ওয়ালেস বেনেটের চিত্রনাট্যে ছবিটি পরিচালনা করেছেন হেনিং শেলারআপ[] ছবিটিতে এইচ. জি. ওয়েলসের মূল উপন্যাস থেকে পটভূমি কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে এবং ১৯৭০-এর দশকের পটভূমিতে চিত্রিত হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন জন বেক, হুইট বিসেল, প্রিসিলা বার্নস, আর. জি. আর্মস্ট্রং, জন জারেম্বা প্রমুখ। ছবিটি ১৯৭৮ সালের ৫ নভেম্বর এনবিসিতে সম্প্রচারিত হয়।

দ্য টাইম মেশিন
দ্য টাইম মেশিন (১৯৭৮-এর চলচ্চিত্র) স্ক্রিনশট
ভিত্তিএইচ. জি. ওয়েল্‌স কর্তৃক দ্য টাইম মেশিন
লেখকওয়ালেস বেনেট
পরিচালকহেনিং শেলারআপ
অভিনয়ে
সঙ্গীত রচয়িতাজন ক্যাকাভাস
মূল দেশযুক্তরাষ্ট্র
মূল ভাষাইংরেজি
নির্মাণ
নির্বাহী প্রযোজকচার্লস সেলিয়ার
প্রযোজকজেমস সিমন্স
চিত্রগ্রাহকস্টিফেন ডব্লিউ. গ্রে
সম্পাদকট্রেভর জলি
ব্যাপ্তিকাল৯৫ মিনিট
নির্মাণ কোম্পানিসুন ক্ল্যাসিক পিকচার্স
মুক্তি
মূল নেটওয়ার্কএনবিসি
মূল মুক্তির তারিখ৫ নভেম্বর ১৯৭৮ (1978-11-05)

কাহিনী সংক্ষেপ

সম্পাদনা

১৯৭০ দশকের বিজ্ঞানী নেইল পেরি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কাল্পনিক প্রতিরক্ষা সংস্থা মেগা কর্পোরেশনের একজন সদস্য। তার সহকর্মী ব্র্যানলি তাকে মেগা কর্পোরেশনের একজন গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। পেরি দ্রুত স্যাটেলাইট প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষ, যা দিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসকে যে কোন বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। তার খ্যাতির কারণে একটি সময় যন্ত্র প্রকল্পের জন্য $২০ মিলিয়ন অনুদান পায়। তার প্রকল্প শেষ হওয়ার এক মাস পর কর্পোরেশন তার কাছে প্রকল্প জমা চায় যা দিয়ে তারা নতুন যুদ্ধাস্থ প্রকল্প শুরু করবে। পেরি প্রকল্পটি জমা দেওয়ার আগে এটি ব্যবহার করেন এবং তিনি ১৮৫৫ সালে চলে যান। এছাড়া ভবিষ্যতে গিয়ে তার এলয় ও মর্লকদের সাথে সাক্ষাৎ হয়। ভ্রমণ শেষে তিনি ফিরে এসে হ্যাভারসন ও ওয়াশিংটনের কাছে তার রিপোর্ট পেশ করেন। তিনি দেখেন তার পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে উৎসাহী নন। ফলে পেরি তাদের সময় যন্ত্র তাদের না দিয়ে উইনা ও এলয়দের কাছে চলে যান। তার এখন মর্লকদের থেকে মুক্ত।

কুশীলব

সম্পাদনা

চিত্রধারণ

সম্পাদনা

কিছু আধুনিক যুগের দৃশ্যের জন্য উটাহ-এর সল্ট লেক সিটির কলিয়ার অ্যান্ড হেইন্স ফিনান্সিয়াল কনসাল্ট্যান্টস বিল্ডিংটি ব্যবহৃত হয়েছিল। জেমস কলিয়ার ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে কোম্পানিটির সভাপতি ছিলেন এবং তার অফিসটি হ্যাভারসনের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মর্লকদের দৃশ্যটি পার্ক সিটি, উটাহ এবং একটি কয়লা খনিতে ধারণ করা হয়।[]

১৯৬০ সালের চলচ্চিত্রের সাথে পার্থক্য

সম্পাদনা

১৯৬০ সালের চলচ্চিত্রের ডেভিড ফিলবির চরিত্রটির স্থানে পেরির সহকারী আগনেস চরিত্রটি স্থান পায়। মেগা কর্পোরেশনের অভিপ্রায়ে পেরির বিরোধিতার কথা জানতে পেরে আগনেস পেরির গায়েব হয়ে যাওয়ার পর ব্র্যানলির থাকতে উৎসাহকে উপেক্ষা করেন। সে ভাবত নেইল পেরি কি আদৌ ফিরে আসবে, "যাই হোক, সময় তার পক্ষে আছে" (১৯৬০-এর চলচ্চিত্রের ফিলবির শেষ উক্তির মত)। হুইট বেসিল এই চলচ্চিত্র ও ১৯৬০ সালের চলচ্চিত্র দুটিতেই অভিনয় করেন।

সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া

সম্পাদনা

চলচ্চিত্র সমালোচক ডেভিড সিন্ডেলার বলেন এই চলচ্চিত্রটি পুরোপুরি উপন্যাস থেকে বিচ্যুত। তিনি বলেন ছবিটির যুদ্ধবিরোধী বার্তা জর্জ পালের চলচ্চিত্রের চেয়েও ভালো ও চাতুর্যময় ছিল। তার কাছে পেরির উপনিবেশিক যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যালিফোর্নিয়ার গোল্ড রাশ মজার উদ্রেক ছিল এবং এলয়দের উপস্থিতি তার কাছে সমসাময়িক মার্কিন যুবকদের মত লেগেছে।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "The Time Machine Project"। Webcache.googleusercontent.com। ২০১০-১২-১৬। ২০১৪-১০-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  2. "Time machine TV movie from 70's - Time Machine, The (1960, 1978, 2002) [original and re-adaptations] Forums"। Forums.sciflicks.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  3. The Time Machine (1978)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা