দ্য টাইম মেশিন (১৯৬০-এর চলচ্চিত্র)

দ্য টাইম মেশিন (প্রচারের জন্য এইচ. জি. ওয়েলসের দ্য টাইম মেশিন নামেও পরিচিত) ১৯৬০ সালের সময় ভ্রমণ বিষয়ক মার্কিন বিজ্ঞান কল্পকাহিনী চলচ্চিত্র। ছবিটি প্রযোজনা করেছে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার এবং পরিচালনা করেছেন জর্জ পাল। এতে অভিনয় করেছেন রড টেইলর, অ্যালান ইয়ং, ইভেতে মিমিয়েউক্স, সেবাস্টেইন ক্যাবট, হুইট বিসেল প্রমুখ। ছবিটি হার্বার্ট জর্জ ওয়েলস রচিত ১৮৯৫ সালের একই নামের বিজ্ঞান কল্পকাহিনী উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত।

দ্য টাইম মেশিন
Poster for the 1960 film The Time Machine.jpg
পরিচালকজর্জ পাল
প্রযোজকজর্জ পাল
চিত্রনাট্যকারডেভিড ডানকান
উৎসহার্বার্ট জর্জ ওয়েলস কর্তৃক 
দ্য টাইম মেশিন
(১৯৮৫-এর উপন্যাস)
শ্রেষ্ঠাংশে
বর্ণনাকারীরড টেইলর
সুরকাররাসেল গার্সিয়া
চিত্রগ্রাহকপল ভোজেল
সম্পাদকজর্জ তমাসিনি
পরিবেশকমেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার
মুক্তি
  • ১৭ আগস্ট ১৯৬০ (1960-08-17)
দৈর্ঘ্য১০৩ মিনিট
দেশযুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়$৮২৯,০০০[১]
আয়$২,৬১০,০০০[১]

ভিক্টোরিয়ান ইংল্যান্ড-এর একজন উদ্ভাবক একটি যন্ত্র তৈরি করেন যা তাকে দূরবর্তী ভবিষ্যতে নিয়ে যায়। সে ভ্রমণকালে আবিষ্কার করে মানবজাতির বংশধরেরা দুই প্রজাতিতে বিভক্ত হয়, এক প্রজাতি শিশুদের মত দেখতে এলয় এবং আরেক প্রজাতি ভূ-অভ্যন্তরবাসী মর্লক যারা এলয়দের খেয়ে বেঁচে থাকে।

জর্জ পাল এর আগে ১৯৫৩ সালে ওয়েলসের বই অবলম্বনে দ্য ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস্‌ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন এবং দ্য টাইম মেশিন ছবিটির একটি সিক্যুয়াল করতে চান, কিন্তু তার আগেই তিনি মারা যান। তার বাকি কাজটুকু নিয়ে নির্মিত হয় টাইম মেশিন: দ্য জার্নি ব্যাক, যা অনেকটা এই চলচ্চিত্রের সিক্যুয়ালের মত। ১৯৮৫ সালে এই চলচ্চিত্রের কিছু অংশ নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র দ্য ফ্যান্টাসি ফিল্ম ওয়ার্ল্ডস্‌ অফ জর্জ পাল নির্মিত হয়।

দ্য টাইম মেশিন চলচ্চিত্রটিতে চিত্রধারণের সময় ভ্রমণকারীর ভবিষ্যৎ ভ্রমণের সাথে দ্রুত সময়ের পরিবর্তনের জন্য একটি বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করে।

কাহিনী সংক্ষেপসম্পাদনা

১৯০০ সালের ৫ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়ান ইংল্যান্ড-এর একজন উদ্ভাবক একটি যন্ত্র তৈরি করেন। সে তা দেখানোর জন্য তার চার বন্ধুকে রাতের খাবারে নিমন্ত্রণ করে। যন্ত্রটি তাকে দূরবর্তী ভবিষ্যতে নিয়ে যায়। সে ভ্রমণকালে আবিষ্কার করে মানবজাতির বংশধরেরা দুই প্রজাতিতে বিভক্ত হয়, এক প্রজাতি শিশুদের মত দেখতে এলয় এবং আরেক প্রজাতি ভূ-অভ্যন্তরবাসী মর্লক যারা এলয়দের খেয়ে বেঁচে থাকে।

কুশীলবসম্পাদনা

হোম মিডিয়া মুক্তিসম্পাদনা

দ্য টাইম মেশিন একাধিকবার বেটাম্যাক্সভিএইচএস ভিডিও ক্যাসেটে, ক্যাপাসিটেন্স ইলেকট্রনিক ডিস্ক (সিইডি) এবং লেটারবক্সিংপ্যান ও স্ক্যান লেজারডিস্ক-এ মুক্তি পায়। ছবিটি ২০০০ সালের অক্টোবর মাসে ডিভিডি ও ২০১৪ সালের জুলাই মাসে ব্লু-রে ডিস্ক-এ মুক্তি পায়।

সঙ্গীতসম্পাদনা

দ্য টাইম মেশিন ছবির মূল সঙ্গীতের সুর করেন রাসেল গার্সিয়া। মূল সঙ্গীতের সিডি ১৯৮৭ সালে প্রকাশ করা হয়।

গানের তালিকাসম্পাদনা

  1. শিরোনাম গান / নাম
  2. লন্ডন ১৯০০ (ফিলবিস থিম)
  3. টাইম মেশিন মডেল
  4. দ্য টাইম মেশিন
  5. কুইক ট্রিপ ইনটু দ্য ফিউচার
  6. অল দ্য টাইম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড
  7. বিউটিফুল ফরেস্ট / দ্য গ্রেট হল
  8. ফিয়ার
  9. উইনা (লাভ থিম)
  10. রেস্‌কিউ
  11. রিমিনিসিং
  12. মর্লকস্‌
  13. শেষ নাম (রিপ্রাইজ)
  14. ফাইট উইথ দ্য মর্লকস্‌
  15. টাইম ট্রাভেলার
  16. এস্‌কেপ
  17. প্রেয়ার / অফ অ্যাগেইন
  18. ট্র্যাপড্‌ ইন দ্য ফিউচার
  19. লাভ অ্যান্ড টাইম রিটার্ন
  20. শেষ শিরোনাম
  21. আটলান্টিস, দ্য লস্ট কন্টিনেন্ট (ওভার্চার)

নির্মাণসম্পাদনা

জর্জ পাল প্রথমে এইচ. জি. ওয়েলস চরিত্রের জন্য ডেভিড নিভেন বা জেমস ম্যাসনদের মত মধ্য-বয়স্ক কোন ব্রিটিশ অভিনেতাকে নিতে মনঃস্থির করেন। পরে তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবং তাদের চেয়ে কম বয়স্ক অস্ট্রেলীয় অভিনেতা রড টেইলরকে নির্বাচন করেন যে এথলেটিক ও আইডিয়ালিস্টিক হবে। এই চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়েই টেইলরের কোন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন।.[২]

বক্স অফিসসম্পাদনা

মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের রেকর্ড অনুযায়ী চলচ্চিত্রটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় $১,৬১০,০০০ এবং বাইরে $১ মিলিয়ন আয় করে, এবং মোট লাভ হয় $২৪৫,০০০।[১]

ছবিটি ফ্রান্সে ৩৬৩,৯১৫ ফ্রাঙ্ক আয় করে।[৩]

পুরস্কার ও সম্মাননাসম্পাদনা

কমিক বইসম্পাদনা

১৯৯৩ সালের সিক্যুয়াল/প্রামাণ্যচিত্রসম্পাদনা

১৯৯৩ সালে ছবিটির সিক্যুয়াল ও এই ছবির উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র টাইম মেশিন: দ্য জার্নি ব্যাক নির্মিত হয়। ছবিটি পরিচালনা করেন ক্লাইদ লুকাস এবং চিত্রনাট্য লিখেন এই ছবির মূল চিত্রনাট্যকার ডেভিড ডানকান। এতে অভিনয় করেন রড টেইলর, অ্যালান ইয়ং, হুইট বিসেল যারা মূল ছবিতে অভিনয় করেছেন। এছাড়া ডেভিড ডানকান এবং অস্কার বিজয়ী জিনি ওয়ারেনটিম বারকেও দেখা যায়।

আরও দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. The Eddie Mannix Ledger, Los Angeles: Margaret Herrick Library, Center for Motion Picture Study .
  2. Vagg, Stephen (২০১০)। Rod Taylor: An Aussie in Hollywood। Bear Manor Media। পৃষ্ঠা 64। 
  3. French box office for 1961 at Box Office Story
  4. টেমপ্লেট:Gcdb issue
  5. Dell Four Color #1085 — কমিকবুক ডেটাবেজ

গ্রন্থপঞ্জিসম্পাদনা

বহিঃসংযোগসম্পাদনা

Streaming audio

টেমপ্লেট:জর্জ পাল টেমপ্লেট:এইচ. জি. ওয়েলস