দ্বিতীয় আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহ
ফিরোজ ফিরোজ শাহের আমল থেকে ভাটির দেশের ফিরোজপুর, বেনিয়া চক্রের ছোঁয়া লেগে পাল্টে হলো পিরোজপুর।’’
ফিরোজ শাহ সরদার | |
---|---|
[[|পিরোজপুরের সরদার]] | |
রাজত্ব | ১৭০০-১৭৫৩ |
জন্ম | ১৬৯৫ |
মৃত্যু | ১৭৫৩ |
রাজবংশ | সরদার রাজবংশ |
ধর্ম | ইসলাম |
পিরোজপুর নামকরণের একটা সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়।
[১] ১৮৫৯ সালের ২৮ অক্টোবর ফিরোজপুর মহাকুমা স্থাপিত হয় তখন বাগেরহাটের (মোড়েলগঞ্জ,শরণখোলা,কচুয়া) ফিরোজপুর মহাকুমা অন্তর্ভুক্ত ছিলো
পিরোজপুর নামকরণের একটা সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়
১৭০০ সালের দিকে ফিরোজ শাহ সরদার নামে এক যুবকের আগমন ঘটে বড় একটা জাহাজে করে সন্ধ্যা নদীতে প্রবেশ করে এবং আরো পচ্চিমে চলে আসে পরবর্তীতে বলেশ্বর নদীতে প্রবেশ করে এবং দামোদর খালের পাশে আস্তানা তৈরি করে এবং বড় একটি কেল্লা তৈরি করে সেখানে কিছুদিন থাকে পরবর্তী সময়ে বর্তমান সি আই পাড়া, উদয়কাঠীর একদম মাথায় নদীর ধারে একটি বিশাল ইটের বাটা তৈরি করে এবং ওই ইট দিয়ে জঙ্গলের আরো ভিতরে চলে যায় এবং একটি বড় বাড়ি তৈরি করে
ফিরোজ শাহ সরদার ৷ তবে ফিরোজ শাহ সরদারের আগে যারা ছিলো তাদের নাম খুঁজে না পাওয়া গেলেও ফিরোজ শাহ এসেছিলেন এই অঞ্চলে শাসন আমলে ফিরোজ সরদারের বয়স বাড়ার সাথে সাথে সরদারি শুরু করেন আগা বাকেরকখান নিজে পাহাড়া দিতেন পদ্মা মেঘনার বুক ৷ এবং আগা বাকেরখান রুপসা নদী পাহারা দেওয়া সরদার, দারাটানা নদী পাহারা দেওয়া সরদার, বলেশ্বর নদী পাহারা দেওয়া সরদারদের নিয়ে সাথে আরো একশত লোক কে সাথে নিয়ে প্রবেশ করলেন নবাব বাড়িতে এবং নবাব বাড়িটির ভিতরে চার( ৪) সরদার এবং আগা আবাকেরখান ও নবাব বাড়িটির উঠানে সরদার,দের সাথে আসা ঐ লোকজন খাওয়া দাওয়া করার পর যে ৫ জন নবাব বাড়িটির ভিতরে ছিলো তাদের যে শরবত দেওয়া হয় তাতে বিষ মিশানো হয়েছিলো তখন মোট পাঁচ (৫) জন কে শরবতের বদলে বিষ দেওয়া হয় আর ঔই পাঁচ জনের মধ্যে একজন গ্রহন করে এবং বুঝে ফেলে শরবতে বিষ মিশানো হয়েছে পরে সকল কে জানানো হলে সকলে তরোয়াল মেলে উঠে দাড়ায় তখন ওই অবস্থায় তাদের আক্রমণ করে ওপর দিকে বাহিরে যারা ছিলো তারা যখন প্রতিবাদ শুরু করে তাদের ওপর ও আক্রমণ করেন চারপাশ থেকে সৈন্যরা এবং নবাব বাড়িটির ভিতরে ৪-৫ জন শহীদ হয় সেখানে ১৭৫৩ সালে ফিরোজ শাহ সরদার আগাবাকেরখান সহ আরো ১৭ জন শহীদ হয় ৷ সিএস রেকর্ড অনুযানী ফিরোজ শাহ সরদার শহীদ হওয়ার পর ক্রমশ ঠাসতে ঠাসতে যখন শেষ ঠাস দিবে তখন কোন পর্যন্ত আসছে সিএস রেকর্ড অনুযায়ী যখন বঙ্গবন্ধু স্কুলের কোনা হতে সরদার বাড়ি বর্ডার বরাবর দিয়ে ছুঁয়ে ফেলছে তখনই দেশের পতাকা বদলে গিয়েছে এবং পুরান সরদার বাড়িটি টিকে গেছে আর না হলে এ বাড়িটি হিন্দু জমিদারদের অংশ হয়ে যেত ৷ ফিরোজ শাহ সরদার মারা যাওয়ার পর মারতে মারতে ব্রিটিশদের আগমনের পর ব্রিটিশদের ঔই দালালরা চলে আসে পুরান সরদার বাড়িটির পাশে ইট দিয়ে দেয়াল বানিয়ে সরদারদের উপর নজর রাখতো নাবাব সৈন্যরা এবং সরদাররা আবার পাল্টা আঘাত না করতে পারে তার জন্য বড় একটি পাচিল তৈরি করে এবং পরবর্তী সময়ে সরদাররা পাল্টা আঘাত করলে ব্রিটিশ দালালগুলো পালিয়ে যায় এবং বাড়িটি দখল করে নেয় সরদার, রা ৷ এবং ১৭৫৩ সালে নবাব বাড়িতে শহীদ হওয়া ফিরোজ শাহ সরদার এর নামে এ জেলার নামকরণ করা হয় ফিরোজপুর নামে যা পরবর্তী তে পিরোজপুর নামে পরিচিতি পায় ৷ ১৮৫৯ সালে ফিরোজপুর মহাকুমা নামে অন্তর্ভুক্ত হয় ৷ এবং ১৯৮৪ সালে জেলায় রুপান্তরিত হয় এবং আস্তে আস্তে এ জেলার নাম পরিবর্তন হয়ে পিরোজপুর নামে পরিচিতি পায় ৷ ১৭৫৩ সালে শহীদ হওয়া ফিরোজ শাহ সরদারের কবর টি পুরাতন সরদার বাড়ি কবরস্থানে দাফন করা হয় ৷
আরও দেখুন
সম্পাদনা- হোসেন শাহি রাজবংশ
- বাংলার শাসকগণ
- বাংলার ইতিহাস
- বাংলাদেশের ইতিহাস
- ভারতের ইতিহাস
- ফিরোজ শাহ সরদার
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "পিরোজপুর নামকরণের পটভূমি"। ২৩ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০২।