দিদার সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি
দিদার সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি হলো বাংলাদেশের একটি সমবায় ভিত্তিক জন-কল্যাণমূলক সংগঠন।[১] মানব সেবায় অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে এটিকে “পল্লী উন্নয়নে স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[১][২]
গঠিত | ১৯৬৫ |
---|---|
ধরন | সমবায় ভিত্তিক সংগঠন |
আইনি অবস্থা | সচল |
উদ্দেশ্য | নিম্নবিত্তদের সহায়তা করা |
অবস্থান |
|
যে অঞ্চলে কাজ করে | ![]() |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা |
প্রতিষ্ঠাতা | মোহাম্মদ ইয়াছিন[১] |
প্রধান অঙ্গ | পরিচালনা পর্ষদ |
ওয়েবসাইট | www |
প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি
সম্পাদনাইতিহাস
সম্পাদনাগ্রামের চায়ের দোকানের মালিক মোহাম্মদ ইয়াছিন তার দোকানে আগত ৮ জন রিক্সা ও ভ্যান চালক মোঃ বেনু মিয়া, মোঃ নুরু মিয়া, মোঃ আতর আলী, মোঃ নিলু মিয়া, মোঃ চরু মিয়া, মোঃ অহিদ মিয়া, মোঃ আব্দুুল খালেক এবং মোঃ রফিক মিয়াকে নিয়ে প্রত্যেক সদস্য প্রতিদিন ১ আনা করে জমা রাখাবে - এই শর্তে ১৯৬০ সালে ৯ অক্টোবর তারিখে ৯ সদস্যবিশিষ্ট এই সমবায় সমিতিটির গোড় পত্তন করেন।[১]
কর্মকাণ্ড
সম্পাদনাঅবদান
সম্পাদনাপুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনা১৯৬২ সালে জাতীয় সমবায় দিবস" উপলক্ষে তৎকালীন প্রদেশিক গভর্ণর সমবায় ইউনিয়ন হতে পুরস্কার প্রদান করেন। ১৯৬২ সাল অবধি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কয়েকবার সমিতিকে পুরস্কার ও প্রশংসাপত্র প্রদান করেন। ১৯৭৬ সালে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ও অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দিদার সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতিকে" রাষ্ট্রপতি পুরস্কার" প্রদান করেন। ১৯৭৭ সালে কুমিল্লা ফাউন্ডেশন " থেকে স্বর্ণপদক প্রদান করে। ১৯৮২ সালে যথাক্রমে বাংলাদেশ ও জেলার শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি হিসাবে বাংলাদেশ সরকার" স্বর্ণপদক ও রৌপপদক" প্রদান করেন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সার্বিক অবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৩][৪][৫] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে।[২]। ১৯৮৮ খ্রি. সনে আন্তর্জাতিক পুরস্কার র্যামনম্যাগ সাই (এ্যাওয়ার্ড) অর্জন ও পল্লী উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য অত্র সমিতির প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোঃ ইয়াসিন ১৯৯০ খ্রি. সনে “স্বাধীনতা পদক” পুনরায় অর্জন করেন। ২০২০ সালের জাতীয় শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি পুরস্কার স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন দিদার সমিতির চেয়ারম্যান জনাব আবু তাহের ( মনু )।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ "কুমিল্লার দিদার সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতি: উন্নয়নের এক মডেল হিসাবে সর্বজনস্বীকৃত"। বাসস। ১৭ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম। [[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য); ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য) - ↑ "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"। কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"। এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭।