দিঘীনালা বনবিহার
দিঘীনালা বনবিহার (চাকমা: 𑄘𑄨𑄊𑄩𑄚𑄣 𑄝𑄧𑄚𑄧 𑄝𑄨𑄦𑄢𑄴) বাংলাদেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটি বিহার। প্রতিবছর এখানে বৈশাখী পূর্ণিমা (বুদ্ধ পূর্ণিমা)[১] ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।[২] দিঘীনালা বনবিহার বাংলাদেশের অন্যতম বৌদ্ধ তীর্থ স্থান।[৩]
ইতিহাস
সম্পাদনাএটি দীঘিনালা উপজেলা সদরে অবস্থিত। ১৯৬০ দশকে "ধনপাতায়" কাপ্তাই বাঁধের কারণে সাধনায় অনুপযোগী হওয়ায় রথীন্দ্র শ্রামণ'কে (বনশ্রামণ) সাধনা করার জন্য দিঘীনালা মিঙিনিতে শ্রদ্ধাবান উপাসক নিশিমনি চাক্মা ফাং করে আনেন। পরবর্তীতে (২০০০) সালে নন্দপাল মহাথের এবং তার শিষ্যদের বসবাসের জন্য ভক্তকূল এই বিহারটি নির্মাণ করে দেন। তৎকালীন পার্বত্য পূর্ণ মন্ত্রী কল্পরঞ্জন চাকমা তত্ত্বাবধানে দিঘীনালা বনবিহার রক্ষণাবেক্ষনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়।
অবস্থান
সম্পাদনাপার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মীয় মহাসাধক আর্য পুরুষ, শ্রাবক বুদ্ধ শ্রদ্ধেয় শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির। তাঁর জন্ম রাঙামাটি সদর উপজেলার ধনপাতা গ্রামে। বন ভান্তের প্রথম সাধনাস্থলকে ঘিরে তৈরি হয়েছে ২০ একর ভূমির ওপর দীঘিনালা বন বিহার। এ বিহারে রয়েছে ২৩ ফুট উচ্চতার ধ্যানমগ্ন গৌতমবুদ্ধের মূর্তি, ১৩ ফুট উচ্চতার সীবলী মূর্তি, উপগুপ্ত বুদ্ধ (জলবুদ্ধ) সহ বিহার কমপ্লেক্সের স্থাপনা।
খাগড়াছড়ি শহরের উত্তর পূর্ব দিকে দিঘীনালা উপজেলা সদরে বিহারটি অবস্থিত। সবুজ বনানীর ছায়ায় অবস্থিত এই দিঘীনালা বনবিহার। দিঘীনালা বাস স্টেশন থেকে দুই/তিন মিনিটেই বিহারে পৌঁছানো যায়।[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "দীঘিনালা বন বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত"। chttimes24.com। ২০২১-০৫-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২১।
- ↑ "খাগড়াছড়িতে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান"। newsbangla24.com। ২০২০-১১-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২১।
- ↑ "দীঘিনালায় বিহারে বিহারে কঠিন চীবর দান"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "দীঘিনালা বন বিহার"। dighinala.khagrachhari.gov.bd। ২০১৯-০৫-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২১।