দশপল্লা রাজ্য
দশপল্লা রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷[১] রাজ্যটির রাজধানী ছিলো বর্তমান দশপল্লা শহরের সামান্য উত্তরে অবস্থিত কুঞ্জবনগড় অঞ্চলে৷ এটি বর্তমানে ওড়িশা রাজ্যের নয়াগড় জেলায় অবস্থিত৷ [২]
দশপল্লা রাজ্য ଦଶପଲ୍ଲା | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৪৯৮–১৯৪৮ | |||||||
ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত দশপল্লা রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯০১ | ১,৪৭১ বর্গকিলোমিটার (৫৬৮ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯০১ | ৫১,৯৮৭ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৪৯৮ | ||||||
১৯৪৮ | |||||||
|
ইতিহাস
সম্পাদনাবিভিন্ন নথি এবং পুরাতন পুস্তক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এটা বলা যেতে পারে যে শুরুর দিকে দশপল্লা নামে কোন রাজ্য ছিল না। বরং এটি রাজপুত রাজাদের ভঞ্জ রাজবংশজ দ্বারা শাসিত বৌধ রাজ্যের অংশ ছিল। রাজা বীর ভঞ্জের সময়কালে তিনি এবং তাঁর ভাই শালভঞ্জের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। শাল ভঞ্জ বৌধ রাজ্য ত্যাগ করে পূর্বতন জগন্নাথ সড়ক বরাবর পুরীর গজপতি রাজার নিকট যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তিনি এবং তার অনুগামীগণের পদ্মটোলা বনাঞ্চলে বিশ্রামরত অবস্থার খবর জানতে পেরে নয়াগড়ের রাজা তার নিকট সন্ধি-প্রস্তাব প্রেরণ করেন। সন্ধি প্রস্তাব অনুযায়ী নয়াগড়ের রাজা শাল ভঞ্জকে বৌধ রাজ্যের রাজা ঘোষিত করেন। এই খবর পেয়ে ক্রুদ্ধ বীর ভঞ্জ শাল ভঞ্জকে আটক করার জন্য সৈন্য প্রেরণ করেন। কিন্তু শাল ভঞ্জ ও নয়াগড়ের রাজা সৈন্যের কাছে তারা পরাজিত হয়। যশ বৃদ্ধির ফলে রাজা শাল ভঞ্জ নিজের রাজ্যের নাম রাখেন 'যশপল্লা', যা পরবর্তীকালে দশপল্লা নামে পরিচিতি পায়। আবার অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন রাজা শাল ভঞ্জ মাত্র ১০ টি গ্রাম (পল্লী)-এর উপর কর্তৃত্ব কায়েম করতে সক্ষম হওয়ায় রাজ্যটির এইরূপ নাম। এই ঘটনা মোটামুটি ১৪৯৫ খ্রিস্টাব্দের সমসাময়িক। রাজা শাল ভঞ্জ তিন বছর রাজত্ব করার পর তার পুত্র নারান ভঞ্জ সিংহাসনে আরোহণ করেন। [৩] দশপল্লার সদর বড়মূল থেকে গনিয়া, গনিয়া থেকে মধ্যখণ্ড এবং মধ্যখণ্ড থেকে পুরান দশপল্লায় স্থানান্তরিত হয়৷ রাজ্যের নবম শাসক পদ্মনাভ ভঞ্জ মৃগয়ার সময়ে লক্ষ্য করেন অদ্ভুতভাবে কোনো উপায়ে এক তিলা ঘুঘু এক শিকারী পাখিকেও হার মানায়৷ স্থানের মাহাত্ম্য কল্পনা করে তিনি তার রাজধানী পুরান দশপল্লা থেকে ঐ স্থানে নিয়ে আসেন৷[৪] ঐ সময়ে এক কন্ধ দলপতি কুঞ্জ মালিক তাঁর হাতে পরাজিত হলে তিনি ঐ স্থানের নামকরণ করেন কুঞ্জবনগড়৷ ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে গুরিচরণ দেওভঞ্জ সিংহাসনে বসেন৷[৫][৬]
নামমাত্র রাজা
সম্পাদনা- ১৬৫৩ – ১৭০১ : চক্রধর দেওভঞ্জ
- ১৭০১ – ১৭৫৩ : পদ্মনাভ দেওভঞ্জ
- ১৭৫৩ – ১৭৭৫ : ত্রিলোচন দেওভঞ্জ
- ১৭৭৫ – ১৭৯৫ : মুকুন্দভক্ত দেওভঞ্জ
- ১৭৯৫ – ১৮০৫ : গুরিচরণ দেওভঞ্জ
- ১৮০৫ – ১৮৪৫ : কৃষ্ণচন্দ্র দেওভঞ্জ
- ১৮৪৫ – ১৮৬১ : মধুসূদন দেওভঞ্জ
- ১৮৬১ – জানুয়ারি ১৮৭৩ : নরসিংহ দেওভঞ্জ
- জানুয়ারি ১৮৭৩ – ২১ মে ১৮৭৪ : চৈতন দেওভঞ্জ
শাসকবর্গ
সম্পাদনা- ২১ মে ১৮৭৪ – ১৮৯৬ : চৈতন দেওভঞ্জ
- ১৮৯৬ – ১১ ডিসেম্বর ১৯১৩ : নারায়ণ দেওভঞ্জ
- ১১ ডিসেম্বর ১৯১৩ – ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ কিশোরচন্দ্র দেওভঞ্জ
- ১১ ডিসেম্বর ১৯১৩ – ৩ মার্চ ১৯৩০ - রাজপ্রতিনিধি
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Malleson, G. B.: An historical sketch of the native states of India, London 1875, Reprint Delhi 1984
- ↑ History ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে Retrieved 9 October 2017.
- ↑ http://www.uppercrustindia.com/oldsite/15crust/fifteen/season5.htm
- ↑ https://shodhganga.inflibnet.ac.in/jspui/bitstream/10603/282748/13/13_chapter%25206.pdf&ved=2ahUKEwjxoL3SnarsAhWTX30KHUmjBGk4ChAWMAJ6BAgHEAE&usg=AOvVaw16koFuvnTPfVX_mC75jAPS
- ↑ http://www.indianrajputs.com/view/daspalla
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৮ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২০।