তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব হলো ধর্ম নিয়ে গবেষণার বিভিন্ন শাখার অন্যতম শাখা। এটা পৃথিবীর ধর্মগুলোর বিভিন্ন আইন-কানুন ও বিধি-বিধানের তুলনামূলক আলোচনা করে। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধর্মের অভ্যন্তরীণ মৌলিক দর্শন যথা নৈতিকতা, অধিবিদ্যা ও চিরমুক্তির ধারণা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান দান করে। এটা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান একজন মানুষকে আধ্যাত্মিকতা, ধর্ম ও বিশ্বাস সম্পর্কে গভীর জ্ঞান দান করে।
ভৌগোলিক বিভাজন
সম্পাদনাচার্লস জোশেস অ্যাডামস এর মতানুসারে, বিশ্ব ধর্মগুলোর বিভাজনের ক্ষেত্রে পৃথিবীর ভৌগোলিক বিভাজনের রয়েছে একটি লক্ষ্যণীয় ভূমিকা [১]
- মধ্যপ্রাচ্যের ধর্মসমূহ যথা: প্রাচীন মিশরীয় ধর্ম, ইহুদিধর্ম, খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম, জরাথুষ্ট্রীয় ও বিভিন্ন প্রাচীন ধর্মসমূহ;
- পূর্ব এশিয়ার ধর্মসমূহ যথা: চীন, জাপান ও কোরিয়ার অধিবাসীদের ধর্মসমূহ যথা কনফুসিয় ধর্ম, তাও ধর্ম, মহাযান বৌদ্ধধর্ম ও শিন্তো
- ভারতীয় ধর্মসমূহ যথা: প্রাচীন বৌদ্ধধর্ম, হিন্দুধর্ম, জৈনধর্ম, শিখধর্ম ও হিন্দু-বৌদ্ধধর্মের মিশ্রণে গড়ে ওঠা বেশকিছু ধর্মবিশ্বাস;
- আফ্রিকান ধর্মসমূহ তথা সাহারা অঞ্চলের আফ্রিকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আচরিত ধর্মসমূহ; মিশরের প্রাচীন ধর্মসমূহ এর বাইরে থাকবে। সেগুলো পরিগণিত হবে মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন ধর্মগুলোর ভেতরে;
- আমেরিকান ধর্মসমূহ তথা দুই আমেরিকা মহাদেশের প্রাচীন ও প্রকৃত অধিবাসী রেড ইন্ডিয়ানদের ধর্মসমূহ;
- ওশেনীয় ধর্মসমূহ তথা প্রশান্ত মহাসগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের অধিবাসীদের ধর্মসমূহ; এবং
- প্রাচীন গ্রিস ও রোমের ধর্মসমূহ ও তৎপরবর্তীতে গ্রিক সংস্কৃতি সম্ভূত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ধর্ম।
মধ্যপ্রাচ্যের ধর্মসমূহ
সম্পাদনাইব্রাহিমীয় বা পশ্চিম এশীয় ধর্ম
সম্পাদনাতুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের আলোচনায় ইব্রাহিমীয়/আব্রাহামীয় ধর্ম বলতে [ইহুদি ধর্ম];[খ্রিস্টধর্ম] ও [ইসলাম ধর্ম] এই তিনটি ধর্মকে বোঝায়। উল্লিখিত তিনটি ধর্মেই ইব্রাহিম (আ:) কে তাদের জাতির পিতা মান্য করে এবং ধর্ম ও ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে।
ভারতীয় ধর্মসমূহ
সম্পাদনাভারতীয় ধর্ম বলতে ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত বিভিন্ন ধর্মকে বোঝায়। এর ভেতরে রয়েছে হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম ও শিখধর্ম।
পূর্ব এশীয় কিংবা তাওধর্ম
সম্পাদনাতাও ধর্ম মূলত পূর্ব এশিয়ার তাও মতবাদ থেকে সৃষ্ট একটি ধর্ম কিংবা ধর্ম-দর্শন। পূর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে বৌদ্ধধর্ম অনেকাংশে তাওধর্মে পরিণত হয়েছে।
তূলনামূলক ক্ষেত্রসমূহ
সম্পাদনা- স্রষ্টা সম্পর্কিত ধারণা।
- বিভিন্ন আদেশ-নির্দেশের যৌক্তিকতা।
পাদটীকা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- Eastman, Roger (1999) The Ways of Religion: An Introduction to the Major Traditions. Oxford University Press, USA; 3 edition. আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫১১৮৩৫-৩.
- Momen, Moojan (২০০৯) [Originally published as The Phenomenon of Religion in 1999]। Understanding Religion: A Thematic Approach। Oxford, UK: Oneworld Publications। আইএসবিএন 978-1-85168-599-8।
- Muhiyaddin, M. A. (1984) A Comparative Study of the Religions of Today. Vantage Press, USA. আইএসবিএন ৯৭৮-০৫৩৩০৫৯৬৩৮.
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Patheos.com's Side-By-Side Comparative "Lenses"
- ReligiousTolerance.org ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে
- ReligionFacts.com
- Comparative-religion.com
- Studies in Comparative Religion
- Answers to Questions of Faith From Several Worldviews
- Comparative Religion studies inspired by Aldous Huxley's - The Perennial Philosophy